সাইফুল মাসুম, ঢাকা
স্বাদুপানির মাছ উৎপাদনে গত বছরও বাংলাদেশ তৃতীয় স্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়। একই বছর চাষের মাছে বাংলাদেশ দুই ধাপ এগিয়ে তৃতীয় অবস্থানে উঠে আসে। চাষের মাছের উৎপাদনে ছয় বছর ধরে পঞ্চম অবস্থানে ছিল দেশ। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে।
মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্যমতে, ১২ বছরে দেশে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে ৮৫ শতাংশ। বাজারে বড় আকারের (৮০০ থেকে ১০০০ গ্রাম ওজনের) ইলিশের প্রাপ্যতা ২৫ শতাংশ বেড়েছে। মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, ২০২১-২২ অর্থবছরে ইলিশ উৎপাদন হয়েছে ৫ দশমিক ৬৭ লাখ টন যা ২০০৮-০৯ অর্থবছরের চেয়ে ৮৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি।
তবে বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, পরিসংখ্যানে মাছের উৎপাদন অনেক বাড়ার তথ্য দেওয়া হলেও তা ভোক্তাদের কাছে সহজলভ্য হয়নি। বরং সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) তথ্যমতে, বর্তমানে এক-দুই কেজি ওজনের ইলিশের দাম দেড় হাজার টাকার ওপরে। অথচ ২০১১ সালে তা ছিল ৬৫০ টাকা। ১২ বছরে দেশি রুই মাছের দামও দ্বিগুণ হয়েছে। ২০১১ সালে দেশি রুই মাছের দাম ছিল কেজিপ্রতি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। ২০২৩ সালে তা ২৮০-৩০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
এমন বাস্তবতার মধ্যে আজ ২৪ জুলাই শুরু হচ্ছে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৩, যা ৩০ জুলাই পর্যন্ত চলবে। এবার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘নিরাপদ মাছে ভরব দেশ, গড়ব স্মার্ট বাংলাদেশ’।
ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মৎস্য অধিদপ্তর যে পরিসংখ্যানের কথা বলছে, তার তো প্রতিফলন বাজারে দেখছি না। এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছের দাম দুই হাজার টাকার কাছাকাছি, যা মধ্যবিত্তের কারও কেনার সামর্থ্য নেই। এক কেজি চাষের পাঙাশের দাম ২৫০-৩০০ টাকা। আগে পাঙাশ ও তেলাপিয়া নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ছিল। এখন তা আর নেই। আমরা বাজারে গিয়ে তো মাছ কিনতে পারছি না।’
মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে ২০২১-২২ অর্থবছরে মৎস্য উৎপাদন হয় ৪৭ দশমিক ৫৯ লাখ টন যা ২০০৭-০৮ সালের মোট উৎপাদনের (২৫ দশমিক ৬৩ লাখ টন) চেয়ে ৮৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেশি এবং ২০১০-১১ সালের মোট উৎপাদনের (৩০ দশমিক ৬২ লাখ টন) চেয়ে ৫৫ দশমিক ৪২ শতাংশ বেশি।
ক্যাবের তথ্যমতে, ২০১১ সালে চাষের পাঙাশ মাছের দাম ছিল ৯৫ টাকা। বর্তমানে তা ২৫০-৩০০ টাকা।তবে মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক শোনালেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, ‘রুই-কাতলা মাছের দাম সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।
তবে ফিডের (মাছের খাবার) দাম বেড়ে যাওয়ায় পাঙাশ ও তেলাপিয়ার দাম কিছুটা বেড়েছে। এখনো বাজারে ১৫০ টাকায় তাজা মাছ পাওয়া যাচ্ছে।’ স্থানভেদে মাছের দাম অনেক বেশি হয়—এমন তথ্য জানানোর পর তিনি বলেন, ‘মৎস্য অধিদপ্তর মাছের উৎপাদনব্যবস্থা বাড়াতে কাজ করে, বাজারে জোগান নিশ্চিত করে। তবে বাজারে মাছের দাম নিয়ন্ত্রণ আমি-আপনি—কেউই করতে পারি না।’
স্বাদুপানির মাছ উৎপাদনে গত বছরও বাংলাদেশ তৃতীয় স্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়। একই বছর চাষের মাছে বাংলাদেশ দুই ধাপ এগিয়ে তৃতীয় অবস্থানে উঠে আসে। চাষের মাছের উৎপাদনে ছয় বছর ধরে পঞ্চম অবস্থানে ছিল দেশ। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে।
মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্যমতে, ১২ বছরে দেশে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে ৮৫ শতাংশ। বাজারে বড় আকারের (৮০০ থেকে ১০০০ গ্রাম ওজনের) ইলিশের প্রাপ্যতা ২৫ শতাংশ বেড়েছে। মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, ২০২১-২২ অর্থবছরে ইলিশ উৎপাদন হয়েছে ৫ দশমিক ৬৭ লাখ টন যা ২০০৮-০৯ অর্থবছরের চেয়ে ৮৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি।
তবে বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, পরিসংখ্যানে মাছের উৎপাদন অনেক বাড়ার তথ্য দেওয়া হলেও তা ভোক্তাদের কাছে সহজলভ্য হয়নি। বরং সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) তথ্যমতে, বর্তমানে এক-দুই কেজি ওজনের ইলিশের দাম দেড় হাজার টাকার ওপরে। অথচ ২০১১ সালে তা ছিল ৬৫০ টাকা। ১২ বছরে দেশি রুই মাছের দামও দ্বিগুণ হয়েছে। ২০১১ সালে দেশি রুই মাছের দাম ছিল কেজিপ্রতি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। ২০২৩ সালে তা ২৮০-৩০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
এমন বাস্তবতার মধ্যে আজ ২৪ জুলাই শুরু হচ্ছে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৩, যা ৩০ জুলাই পর্যন্ত চলবে। এবার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘নিরাপদ মাছে ভরব দেশ, গড়ব স্মার্ট বাংলাদেশ’।
ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মৎস্য অধিদপ্তর যে পরিসংখ্যানের কথা বলছে, তার তো প্রতিফলন বাজারে দেখছি না। এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছের দাম দুই হাজার টাকার কাছাকাছি, যা মধ্যবিত্তের কারও কেনার সামর্থ্য নেই। এক কেজি চাষের পাঙাশের দাম ২৫০-৩০০ টাকা। আগে পাঙাশ ও তেলাপিয়া নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ছিল। এখন তা আর নেই। আমরা বাজারে গিয়ে তো মাছ কিনতে পারছি না।’
মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে ২০২১-২২ অর্থবছরে মৎস্য উৎপাদন হয় ৪৭ দশমিক ৫৯ লাখ টন যা ২০০৭-০৮ সালের মোট উৎপাদনের (২৫ দশমিক ৬৩ লাখ টন) চেয়ে ৮৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেশি এবং ২০১০-১১ সালের মোট উৎপাদনের (৩০ দশমিক ৬২ লাখ টন) চেয়ে ৫৫ দশমিক ৪২ শতাংশ বেশি।
ক্যাবের তথ্যমতে, ২০১১ সালে চাষের পাঙাশ মাছের দাম ছিল ৯৫ টাকা। বর্তমানে তা ২৫০-৩০০ টাকা।তবে মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক শোনালেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, ‘রুই-কাতলা মাছের দাম সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।
তবে ফিডের (মাছের খাবার) দাম বেড়ে যাওয়ায় পাঙাশ ও তেলাপিয়ার দাম কিছুটা বেড়েছে। এখনো বাজারে ১৫০ টাকায় তাজা মাছ পাওয়া যাচ্ছে।’ স্থানভেদে মাছের দাম অনেক বেশি হয়—এমন তথ্য জানানোর পর তিনি বলেন, ‘মৎস্য অধিদপ্তর মাছের উৎপাদনব্যবস্থা বাড়াতে কাজ করে, বাজারে জোগান নিশ্চিত করে। তবে বাজারে মাছের দাম নিয়ন্ত্রণ আমি-আপনি—কেউই করতে পারি না।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে