সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার তিতাস ও মেঘনা নদীতে নিষিদ্ধ ঘের দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। নদীতে বাঁশ পুঁতে ও গাছের ডালপালা ফেলে অন্তত ২০০টি ঘের তৈরি করা হয়েছে। এতে নৌযান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। তা ছাড়া পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। নাব্য সংকটে ভুগছে নদী। বংশবিস্তার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে মাছের।
দেখা গেছে, উপজেলার অরুয়াইল ও পাকশিমুল ইউনিয়নের পাশ দিয়ে বহমান তিতাস ও মেঘনা নদীতে ঘের দেওয়া হয়েছে। এসব ঘেরে মাছের খাবার ফেলা হয়। খাবার খেতে মাছ ঘেরের ভেতরে আসে। পরে ঘেরের চারদিকে জাল দিয়ে আটকানো হয়। আটকা পড়া মাছ শিকার করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এসব ঘেরে ছোট ছিদ্রযুক্ত জাল ব্যবহার করায় মা ও পোনাসহ সব ধরনের মাছ আটকা পড়ছে। এতে জীববৈচিত্র্য ও মৎস্যসম্পদ ধ্বংস হচ্ছে। তা ছাড়া নদীগুলো নাব্যতা হারাচ্ছে। কারণ ঘেরের স্থানে পলি জমে। এ সময় সেখানে চর জাগে।
উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের একজন মৎস্যজীবী বলেন, নদীতে এখন আর আগের মতো মাছ পাওয়া যায় না। নদীতে ঠিকমতো নামতেও পারেন না জেলেরা। যেখানে-সেখানে ঘের তৈরি করার ফলে নৌকা চলাচলেও সমস্যা হয়। এ ছাড়া ঘেরের আশপাশে মাছ ধরতেও তাঁদের বাধা দেওয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব ঘের দেওয়ার কারণে প্রায়ই নদীতে দুর্ঘটনা ঘটছে। শুধুমাত্র তিতাস নদীতে এ বছর আটটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া আব্দুল গাফফার নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘গত বছর এমন দিনেই সন্ধ্যা ৭টার দিকে ১০ থেকে ১২ যাত্রী নিয়ে আমাদের নৌকাটি তিতাস নদীতে এসব ঘেরের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় অন্য একটি নৌকার সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমাদের নৌকাটি ডুবে যায়। পরে অন্য একটি নৌকা এসে আমাদের পানি থেকে উদ্ধার করে। সেদিন ভাবছিলাম মরে যাব। ভাগ্যের জোরে বেঁচে গিয়েছিলাম।’
তিতাস নদী দিয়ে উপজেলার অরুয়াইল বাজারে প্রতিদিন যাত্রী আনা-নেওয়া করেন বাছির মাঝি। তিনি বলেন, নদীতে ঘের বা ঝোপ দেওয়ার কারণে নৌকা চলাচলের পথ অনেকটা ছোট হয়ে গেছে। এই সংকীর্ণ পথ দিয়ে নৌকা চলাচলের সময় প্রায়ই সংঘর্ষ হয়। বিশেষ করে রাতে ও শীতকালে কুয়াশার কারণে যাত্রীবাহী নৌকা ঘেরের মধ্যে উঠে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি আরও জানান, গত বছর রজব আলী মাঝির নৌকার সঙ্গে অন্য একটি নৌকার সংঘর্ষে মারাত্মকভাবে আহত হয় ফতেপুর গ্রামের হাজি মাজু মিয়া (৬৮)। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠায়। এতে প্রায় ৬ লাখ টাকা খরচ করে তিনি এখন মোটামুটি সুস্থ আছেন।
কিতিন্দ্র চন্দ্র দাস জানান, তিতাস নদীতে তাঁর ১০টি মাছের ঘের আছে। ৭০ বছর ধরে তাঁদের ঘেরের ব্যবসা। তাঁর বাবাও ঘের দিয়ে মাছ শিকার করতেন। তাঁরা পূর্ব পুরুষ থেকেই জেলে। নদীতে ঘের দিয়ে মাছ শিকার করেই তাঁরা জীবিকা নির্বাহ করেন। দুর্ঘটনা এড়াতে নদীর পাড় ঘেঁষে ঘের দেন।
এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মায়মুন জাহান বলেন, ‘আমরা নদী থেকে ঘেরগুলো ওঠানোর চেষ্টা করছি। কিছু ঘের উঠিয়েছি। যাঁরা আমাদের কথা শুনছেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ নদীতে ঘের বা ঝোপ দিয়ে মাছ শিকার নিষিদ্ধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর ফলে নাব্য হারায় নদী এবং মাছের বংশবিস্তার বাধাগ্রস্ত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার তিতাস ও মেঘনা নদীতে নিষিদ্ধ ঘের দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। নদীতে বাঁশ পুঁতে ও গাছের ডালপালা ফেলে অন্তত ২০০টি ঘের তৈরি করা হয়েছে। এতে নৌযান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। তা ছাড়া পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। নাব্য সংকটে ভুগছে নদী। বংশবিস্তার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে মাছের।
দেখা গেছে, উপজেলার অরুয়াইল ও পাকশিমুল ইউনিয়নের পাশ দিয়ে বহমান তিতাস ও মেঘনা নদীতে ঘের দেওয়া হয়েছে। এসব ঘেরে মাছের খাবার ফেলা হয়। খাবার খেতে মাছ ঘেরের ভেতরে আসে। পরে ঘেরের চারদিকে জাল দিয়ে আটকানো হয়। আটকা পড়া মাছ শিকার করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এসব ঘেরে ছোট ছিদ্রযুক্ত জাল ব্যবহার করায় মা ও পোনাসহ সব ধরনের মাছ আটকা পড়ছে। এতে জীববৈচিত্র্য ও মৎস্যসম্পদ ধ্বংস হচ্ছে। তা ছাড়া নদীগুলো নাব্যতা হারাচ্ছে। কারণ ঘেরের স্থানে পলি জমে। এ সময় সেখানে চর জাগে।
উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের একজন মৎস্যজীবী বলেন, নদীতে এখন আর আগের মতো মাছ পাওয়া যায় না। নদীতে ঠিকমতো নামতেও পারেন না জেলেরা। যেখানে-সেখানে ঘের তৈরি করার ফলে নৌকা চলাচলেও সমস্যা হয়। এ ছাড়া ঘেরের আশপাশে মাছ ধরতেও তাঁদের বাধা দেওয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব ঘের দেওয়ার কারণে প্রায়ই নদীতে দুর্ঘটনা ঘটছে। শুধুমাত্র তিতাস নদীতে এ বছর আটটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া আব্দুল গাফফার নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘গত বছর এমন দিনেই সন্ধ্যা ৭টার দিকে ১০ থেকে ১২ যাত্রী নিয়ে আমাদের নৌকাটি তিতাস নদীতে এসব ঘেরের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় অন্য একটি নৌকার সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমাদের নৌকাটি ডুবে যায়। পরে অন্য একটি নৌকা এসে আমাদের পানি থেকে উদ্ধার করে। সেদিন ভাবছিলাম মরে যাব। ভাগ্যের জোরে বেঁচে গিয়েছিলাম।’
তিতাস নদী দিয়ে উপজেলার অরুয়াইল বাজারে প্রতিদিন যাত্রী আনা-নেওয়া করেন বাছির মাঝি। তিনি বলেন, নদীতে ঘের বা ঝোপ দেওয়ার কারণে নৌকা চলাচলের পথ অনেকটা ছোট হয়ে গেছে। এই সংকীর্ণ পথ দিয়ে নৌকা চলাচলের সময় প্রায়ই সংঘর্ষ হয়। বিশেষ করে রাতে ও শীতকালে কুয়াশার কারণে যাত্রীবাহী নৌকা ঘেরের মধ্যে উঠে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি আরও জানান, গত বছর রজব আলী মাঝির নৌকার সঙ্গে অন্য একটি নৌকার সংঘর্ষে মারাত্মকভাবে আহত হয় ফতেপুর গ্রামের হাজি মাজু মিয়া (৬৮)। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠায়। এতে প্রায় ৬ লাখ টাকা খরচ করে তিনি এখন মোটামুটি সুস্থ আছেন।
কিতিন্দ্র চন্দ্র দাস জানান, তিতাস নদীতে তাঁর ১০টি মাছের ঘের আছে। ৭০ বছর ধরে তাঁদের ঘেরের ব্যবসা। তাঁর বাবাও ঘের দিয়ে মাছ শিকার করতেন। তাঁরা পূর্ব পুরুষ থেকেই জেলে। নদীতে ঘের দিয়ে মাছ শিকার করেই তাঁরা জীবিকা নির্বাহ করেন। দুর্ঘটনা এড়াতে নদীর পাড় ঘেঁষে ঘের দেন।
এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মায়মুন জাহান বলেন, ‘আমরা নদী থেকে ঘেরগুলো ওঠানোর চেষ্টা করছি। কিছু ঘের উঠিয়েছি। যাঁরা আমাদের কথা শুনছেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ নদীতে ঘের বা ঝোপ দিয়ে মাছ শিকার নিষিদ্ধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর ফলে নাব্য হারায় নদী এবং মাছের বংশবিস্তার বাধাগ্রস্ত হয়।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে