বাগেরহাট প্রতিনিধি
নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই ফাটল দেখা দিয়েছে বাগেরহাট সদর উপজেলার ভাতছালা-মুনিগঞ্জ বেড়িবাঁধে। কয়েক জায়গা ধসেও গেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাঁধ নির্মাণে বেশি বালু এবং বাঁধের কাছ থেকে মাটি নেওয়ায় এই ফাটল ও ধসের সৃষ্টি হয়েছে।
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, জোয়ার-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় ৬০ বা ৭০ দশকে বাগেরহাট সদর উপজেলার ভৈরব নদের পাড়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়। দীর্ঘদিন আগে নির্মিত বাঁধটি নিচু থাকায়, কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বর্ষা মৌসুমে অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে নদের পানিতে মুনিগঞ্জ, ভাতছালা, ভদ্রপাড়া ও চরগ্রাম প্লাবিত হতো।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগ লাঘবে গত বছরের নভেম্বরে ভাতছালা থেকে মুনিগঞ্জ পর্যন্ত তিন কিলোমিটার এই বাঁধ উঁচু করে পুনর্নির্মাণ শুরু হয়। এতে ব্যয় ধরা হয় ৯০ লাখ টাকা। এ টাকায় আগের চেয়ে তিন থেকে চার ফুট উঁচু করা হবে বাঁধটি।
নাজিরপুর উপপ্রকল্পের অধীনে জরুরি ভিত্তিতে ডিপিএম (সরাসরি ক্রয়) পদ্ধতিতে এই বাঁধ তৈরির কাজ পেয়েছেন ঠিকাদার শেখ শহিদুল ইসলাম। চলতি জানুয়ারি মাসেই শেষ হওয়ার কথা রয়েছে তিন মাস মেয়াদি এই প্রকল্পের কাজ।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাঁধের বিভিন্ন স্থানে বালুর ব্যবহার করা হয়েছে। চরগ্রামের আবুল বাশারের বাড়ির অদূরে ধসে গেছে। ফাটল ধরেছে কয়েক জায়গায়। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে বাঁধের গোড়া থেকে ১৫-২০ ফুট গভীর করে মাটি নেওয়া হয়েছে। ফলে বৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাসে বাঁধ ধসে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া বাঁধের দুই পাশে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ির উঠোন, বাগান ও ধানি জমি থেকে জোর করে মাটি নেওয়ার চিহ্ন দেখা যায়। মাটি নেওয়ার ফলে স্থানীয় ফাতেমা জান্নাতের ভবনের সামনের উঠোনে ফাটল ধরেছে। অনেকের গাছ পড়ে গেছে এবং মাটি ধসে গেছে।
স্থানীয় ফাতেমা জান্নাত বলেন, ‘নিষেধ করার পরেও বাড়ির সামনে থেকে জোর করে মাটি কেটে নিয়েছে। অতিরিক্ত গভীর করায়, মাটি ধসে একটি নারকেলগাছসহ কয়েকটি গাছ পড়ে গেছে। এ ছাড়া আমার ভবনের সামনের উঠানে ফাটল ধরেছে।’
চরগ্রাম গ্রামের শাহজাহান শেখ বলেন, ‘বাঁধের গোড়া থেকে মাটি কাটিছে। এই বাঁধ টেকবে কী করে? নদীর পাড়, চর কাইটে নিয়ে আসতিছে। সেই মাটি-বালি দিয়ে বাঁধ করলে, কোনো দিন থাকবে না। কয়েক জাগায় দেখেন পুরো বালি, কাদামাটি দিয়ে বাঁইধে গেছে। নদীর পাশের বাঁধের গোড়ার দে মাটি নিছে। পানির চাপ দিলি তো একবারে ধইসে নদীতে চলে যাবে।’
ঠিকাদার শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘২২ বছর পর এই বাঁধের সংস্কার হচ্ছে। এটা ইমারজেন্সি কাজ। এখানে মাটি কিনে নেওয়ার কোনো বরাদ্দ শিডিউলে নেই। গ্রামবাসীর সহযোগিতায় আমরা কাজটা করছি।’
পাউবোর বাগেরহাট কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘দরপত্র অনুযায়ী এই বাঁধটা ৩ দশমিক ৫ লেভেলে হবে; যাতে কোথাও দুই ফুট, কোথাও চার ফুট উঁচু হবে। জরুরি ফান্ড থেকে এই কাজ করা হচ্ছে। দরপত্রে বলা আছে, মাটি ও লোকাল ম্যাটেরিয়াল দিয়ে কাজটি করতে হবে। এ জন্য জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণের কোনো সংস্থান আমাদের নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাঁধে বালুর ব্যবহার করা যাবে, তবে মাটির পরিমাণই বেশি থাকবে। বালুটা আমরা মাঝেই দিই। তবে চেষ্টা করি, যত কম দেওয়া যায়।’
নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই ফাটল দেখা দিয়েছে বাগেরহাট সদর উপজেলার ভাতছালা-মুনিগঞ্জ বেড়িবাঁধে। কয়েক জায়গা ধসেও গেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাঁধ নির্মাণে বেশি বালু এবং বাঁধের কাছ থেকে মাটি নেওয়ায় এই ফাটল ও ধসের সৃষ্টি হয়েছে।
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, জোয়ার-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় ৬০ বা ৭০ দশকে বাগেরহাট সদর উপজেলার ভৈরব নদের পাড়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়। দীর্ঘদিন আগে নির্মিত বাঁধটি নিচু থাকায়, কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বর্ষা মৌসুমে অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে নদের পানিতে মুনিগঞ্জ, ভাতছালা, ভদ্রপাড়া ও চরগ্রাম প্লাবিত হতো।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগ লাঘবে গত বছরের নভেম্বরে ভাতছালা থেকে মুনিগঞ্জ পর্যন্ত তিন কিলোমিটার এই বাঁধ উঁচু করে পুনর্নির্মাণ শুরু হয়। এতে ব্যয় ধরা হয় ৯০ লাখ টাকা। এ টাকায় আগের চেয়ে তিন থেকে চার ফুট উঁচু করা হবে বাঁধটি।
নাজিরপুর উপপ্রকল্পের অধীনে জরুরি ভিত্তিতে ডিপিএম (সরাসরি ক্রয়) পদ্ধতিতে এই বাঁধ তৈরির কাজ পেয়েছেন ঠিকাদার শেখ শহিদুল ইসলাম। চলতি জানুয়ারি মাসেই শেষ হওয়ার কথা রয়েছে তিন মাস মেয়াদি এই প্রকল্পের কাজ।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাঁধের বিভিন্ন স্থানে বালুর ব্যবহার করা হয়েছে। চরগ্রামের আবুল বাশারের বাড়ির অদূরে ধসে গেছে। ফাটল ধরেছে কয়েক জায়গায়। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে বাঁধের গোড়া থেকে ১৫-২০ ফুট গভীর করে মাটি নেওয়া হয়েছে। ফলে বৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাসে বাঁধ ধসে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া বাঁধের দুই পাশে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ির উঠোন, বাগান ও ধানি জমি থেকে জোর করে মাটি নেওয়ার চিহ্ন দেখা যায়। মাটি নেওয়ার ফলে স্থানীয় ফাতেমা জান্নাতের ভবনের সামনের উঠোনে ফাটল ধরেছে। অনেকের গাছ পড়ে গেছে এবং মাটি ধসে গেছে।
স্থানীয় ফাতেমা জান্নাত বলেন, ‘নিষেধ করার পরেও বাড়ির সামনে থেকে জোর করে মাটি কেটে নিয়েছে। অতিরিক্ত গভীর করায়, মাটি ধসে একটি নারকেলগাছসহ কয়েকটি গাছ পড়ে গেছে। এ ছাড়া আমার ভবনের সামনের উঠানে ফাটল ধরেছে।’
চরগ্রাম গ্রামের শাহজাহান শেখ বলেন, ‘বাঁধের গোড়া থেকে মাটি কাটিছে। এই বাঁধ টেকবে কী করে? নদীর পাড়, চর কাইটে নিয়ে আসতিছে। সেই মাটি-বালি দিয়ে বাঁধ করলে, কোনো দিন থাকবে না। কয়েক জাগায় দেখেন পুরো বালি, কাদামাটি দিয়ে বাঁইধে গেছে। নদীর পাশের বাঁধের গোড়ার দে মাটি নিছে। পানির চাপ দিলি তো একবারে ধইসে নদীতে চলে যাবে।’
ঠিকাদার শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘২২ বছর পর এই বাঁধের সংস্কার হচ্ছে। এটা ইমারজেন্সি কাজ। এখানে মাটি কিনে নেওয়ার কোনো বরাদ্দ শিডিউলে নেই। গ্রামবাসীর সহযোগিতায় আমরা কাজটা করছি।’
পাউবোর বাগেরহাট কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘দরপত্র অনুযায়ী এই বাঁধটা ৩ দশমিক ৫ লেভেলে হবে; যাতে কোথাও দুই ফুট, কোথাও চার ফুট উঁচু হবে। জরুরি ফান্ড থেকে এই কাজ করা হচ্ছে। দরপত্রে বলা আছে, মাটি ও লোকাল ম্যাটেরিয়াল দিয়ে কাজটি করতে হবে। এ জন্য জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণের কোনো সংস্থান আমাদের নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাঁধে বালুর ব্যবহার করা যাবে, তবে মাটির পরিমাণই বেশি থাকবে। বালুটা আমরা মাঝেই দিই। তবে চেষ্টা করি, যত কম দেওয়া যায়।’
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে