মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
ছিল ময়লা-আবর্জনার স্তূপ, দুর্গন্ধে হাঁটাও দায় ছিল। পথচারীরা নাক চেপে চলাচল করত। সেখানে এখন ফুটে আছে নানা জাতের ফুল।
মুক্তিযুদ্ধের সময় হানাদার বাহিনীর সদস্যরা মৌলভীবাজার শহরের শাহ মোস্তফা সড়কের বেরীলেক-সংলগ্ন স্থানে অনেক মানুষকে হত্যা করে পুঁতে রাখে। দেশ স্বাধীন হওয়ার দীর্ঘ সময় পর এই গণকবরের স্থানটিতে স্মৃতিসৌধ নির্মিত হলেও অযত্নে পড়ে ছিল।
গণকবর ও স্মৃতিসৌধের দুরবস্থা দেখে এগিয়ে এলেন খেটে খাওয়া দুই ভাই। তাঁরা উদ্যোগ নিলেন রক্ষণাবেক্ষণ ও সৌন্দর্য বর্ধনের। ছয় বছর ধরে গণকবরের স্থানটি বিনা পারিশ্রমিকে পরিচর্যা করে আসছেন দুই ভাই। তাঁরা হলেন মো. সাইফুল মিয়া (৪৬) ও জাহাঙ্গীর হোসেন (৪৮)। থাকেন শহরের দরগা মহল্লা এলাকায়।
গণকবর-সংলগ্ন আশপাশের দোকান ও বাসাবাড়ির আবর্জনা সেখানে ফেলা হতো দেখে নিজের কাছে খুবই খারাপ লাগত জানান রিকশাচালক সাইফুল মিয়া।
বড় ভাইকে সঙ্গে নিয়ে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করে প্রথম ১০টি গাঁদা ফুলের গাছ লাগান। পরে জবা ও গোলাপ ফুল লাগিয়ে এখন শত ফুলগাছের বাগানে পরিণত হয়েছে গণকবরের স্থানটি।
চার সন্তানের বাবা মো. সাইফুল মিয়া সকাল সাতটা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত রিকশা চালান। পরে বিকেলের দিকে গণকবরের পাশে ভ্যানগাড়িতে বাদাম বিক্রি করেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি, তবে বড়দের কাছে শুনে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা জমে মনের মধ্যে। সেই থেকেই আমার এলাকার এই গণকবরের জায়গাটির যত্নআত্তি করছি।’
মৌলভীবাজার শহরকে ফুলের শহর গড়তে কাজ করছেন অনেকে, এর মধ্যে অন্যতম শিক্ষাবিদ আব্দুল খালিক। তিনি বলেন, ‘গণকবর ও স্মৃতিসৌধ ঘিরে যে কাজ এই মানুষগুলো করছেন, তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। আমরা যাঁরা শহরের সৌন্দর্যের জন্য কাজ করছি, তাঁরা তাঁদের কাজের সঙ্গে একাত্ম হব। মেয়র ফজলুর রহমানের সঙ্গে আলাপ করে সহযোগিতা করব।’
মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা রহমান বলেন, ‘এমন একটি মহৎ কাজ তাঁরা করছেন, সত্যিই প্রেরণার। তাঁদের এই মহৎ কাজের কথা আমি জানতাম না। পরে একজন মুক্তিযোদ্ধার মাধ্যমে জেনে দেখতে যাই। তাঁদের সঙ্গে আলাপ করে বুঝলাম, মন থেকে খুব যত্ন করে তাঁরা এই গণকবরে ফুলের বাগান করেছেন।
তাঁদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।’
ছিল ময়লা-আবর্জনার স্তূপ, দুর্গন্ধে হাঁটাও দায় ছিল। পথচারীরা নাক চেপে চলাচল করত। সেখানে এখন ফুটে আছে নানা জাতের ফুল।
মুক্তিযুদ্ধের সময় হানাদার বাহিনীর সদস্যরা মৌলভীবাজার শহরের শাহ মোস্তফা সড়কের বেরীলেক-সংলগ্ন স্থানে অনেক মানুষকে হত্যা করে পুঁতে রাখে। দেশ স্বাধীন হওয়ার দীর্ঘ সময় পর এই গণকবরের স্থানটিতে স্মৃতিসৌধ নির্মিত হলেও অযত্নে পড়ে ছিল।
গণকবর ও স্মৃতিসৌধের দুরবস্থা দেখে এগিয়ে এলেন খেটে খাওয়া দুই ভাই। তাঁরা উদ্যোগ নিলেন রক্ষণাবেক্ষণ ও সৌন্দর্য বর্ধনের। ছয় বছর ধরে গণকবরের স্থানটি বিনা পারিশ্রমিকে পরিচর্যা করে আসছেন দুই ভাই। তাঁরা হলেন মো. সাইফুল মিয়া (৪৬) ও জাহাঙ্গীর হোসেন (৪৮)। থাকেন শহরের দরগা মহল্লা এলাকায়।
গণকবর-সংলগ্ন আশপাশের দোকান ও বাসাবাড়ির আবর্জনা সেখানে ফেলা হতো দেখে নিজের কাছে খুবই খারাপ লাগত জানান রিকশাচালক সাইফুল মিয়া।
বড় ভাইকে সঙ্গে নিয়ে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করে প্রথম ১০টি গাঁদা ফুলের গাছ লাগান। পরে জবা ও গোলাপ ফুল লাগিয়ে এখন শত ফুলগাছের বাগানে পরিণত হয়েছে গণকবরের স্থানটি।
চার সন্তানের বাবা মো. সাইফুল মিয়া সকাল সাতটা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত রিকশা চালান। পরে বিকেলের দিকে গণকবরের পাশে ভ্যানগাড়িতে বাদাম বিক্রি করেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি, তবে বড়দের কাছে শুনে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা জমে মনের মধ্যে। সেই থেকেই আমার এলাকার এই গণকবরের জায়গাটির যত্নআত্তি করছি।’
মৌলভীবাজার শহরকে ফুলের শহর গড়তে কাজ করছেন অনেকে, এর মধ্যে অন্যতম শিক্ষাবিদ আব্দুল খালিক। তিনি বলেন, ‘গণকবর ও স্মৃতিসৌধ ঘিরে যে কাজ এই মানুষগুলো করছেন, তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। আমরা যাঁরা শহরের সৌন্দর্যের জন্য কাজ করছি, তাঁরা তাঁদের কাজের সঙ্গে একাত্ম হব। মেয়র ফজলুর রহমানের সঙ্গে আলাপ করে সহযোগিতা করব।’
মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা রহমান বলেন, ‘এমন একটি মহৎ কাজ তাঁরা করছেন, সত্যিই প্রেরণার। তাঁদের এই মহৎ কাজের কথা আমি জানতাম না। পরে একজন মুক্তিযোদ্ধার মাধ্যমে জেনে দেখতে যাই। তাঁদের সঙ্গে আলাপ করে বুঝলাম, মন থেকে খুব যত্ন করে তাঁরা এই গণকবরে ফুলের বাগান করেছেন।
তাঁদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে