Ajker Patrika

হামলায় নৌকার ৭ সমর্থক আহত

আটঘরিয়া (পাবনা) ও বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬: ১৮
হামলায় নৌকার ৭ সমর্থক আহত

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার একদন্ত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় নৌকা প্রার্থীর ভাইসহ ছয়জন গুরুতর আহত হয়েছেন। এদিকে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার জোনাইল ইউপি নির্বাচনের দিন কথা-কাটাকাটির জেরে নৌকার এক কর্মীকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

একদন্ত ইউপি নির্বাচনে গত বুধবার রাতে নৌকার প্রার্থী প্রচারকাজে শিবপুর যাচ্ছিলেন। এ সময় একদন্ত বাজারে বিদ্রোহী প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য মো. লিয়াকত হোসেন আলাল সরদারের নেতৃত্বে হামলা করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে আটঘরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও একদন্ত ইউপির নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মহসিন আলী মোল্লার চাচাতো ভাই রফিকুল ইসলাম ভাষানী, রকিবুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, মো. মাসুম, মিলন ও রিপন হোসেন গুরুতর আহত হন। তাঁরা পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

মহসিন আলী বলেন, ‘নৌকা প্রতীক পাওয়ার পর থেকেই বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ও বিদ্রোহী প্রার্থী আলাল আমার কর্মী-সমর্থকদের নানাভাবে ভয় দেখিয়ে আসছেন। গত বুধবার সন্ধ্যায় আমি নির্বাচনী প্রচারে শিবপুর যাওয়ার পথে একদন্ত বাজারে আলালের নেতৃত্বে অতর্কিতে হামলা চালানো হয়। এতে আমার চাচাতো ভাইসহ ছয়জন গুরুতর আহত হন এবং পাঁচটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে।’

বিদ্রোহী প্রার্থী আলাল সর্দার বলেন, ‘নৌকার সমর্থকেরা আমার ক্লাবের সামনে এসে নৌকার স্লোগান দেন। একপর্যায়ে ক্লাবে ভাঙচুর চালানোর চেষ্টা করেন। তাঁদের প্রতিহত করতে আমার কর্মী-সমর্থকেরা বাধা দেন। এ সময় আমার তিনজন সমর্থক আহত হয়েছেন।’

আটঘরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম রতন বলেন, তিনি একদন্ত ইউপিতে নৌকার সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনাটি শুনেছেন। নৌকার বিরুদ্ধে যাঁরাই কাজ করবেন এবং দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবেন, তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।

আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে বড়াইগ্রাম উপজেলার জোনাইল ইউপিতে নৌকা প্রার্থীর কর্মীকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার রাতে ইউনিয়নের চামটা ফকিরপাড়া সাদেকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ওই কর্মীর নাম টিপু সুলতান (৩০)। তিনি চামটা ইন্দ্রাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত টিপু সুলতান বলেন, গত ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে তিনি নৌকার প্রার্থীর কর্মী ছিলেন। ভোটের দিন তাঁর সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজনের কথা-কাটাকাটি হয়। তাঁর ভাইদের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসার জন্য চামটা ফকিরপাড়া সাদেকের বাড়িতে ডাকেন আব্দুর রাজ্জাক। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পরপরই আব্দুর রাজ্জাকের নির্দেশে ২০-২৫ জন রড, লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাঁর ওপর হামলা করেন। এতে তাঁর মাথা ফেটে যায়।

জানতে চাইলে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমি কাউকে ডেকে নিয়ে যাইনি। টিপু সুলতান বা তাঁর ভাইদের সঙ্গেও আমার কোনো কথা হয়নি।’

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডলি রানী বলেন, টিপু সুলতানের মাথায় ৯টি সেলাই দেওয়া হয়েছে।

বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক নজরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মাসুদ আহমেদের সব পদ স্থগিত

টিআইএন নেওয়ার পরে কিন্তু ঘুমাইতে পারবেন না: এনবিআর চেয়ারম্যান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত