সাজিদ মোহন, শিশুসাহিত্যিক
ঘোষণা হয়ে গেল বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২১। এবার ১১টি ক্ষেত্রে পুরস্কার পাচ্ছেন মোট ১৫ জন। বাংলাদেশের সামগ্রিক সাহিত্যের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার। প্রতিবছর জানুয়ারি মাস থেকে চলে এ পুরস্কার কে বা কারা পাচ্ছেন, তা নিয়ে আলাপ-আলোচনা-পূর্বাভাস। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর পুরস্কার ঘোষণার আগে পুরস্কারের আলোচনায় বাড়তি মাত্রা যোগ করেন কথাসাহিত্যিক জাকির তালুকদার। ‘বাংলা একাডেমি কি জানে, আমাদের পশ লেখকেরা কি জানেন?’ শিরোনামে এক লেখায় তিনি হোসেনউদ্দিন হোসেন নামের এক লেখকের পরিচয়, সাহিত্যকর্ম ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির বৃত্তান্ত তুলে ধরে বাংলা একাডেমি এখনো কেন তাঁকে পুরস্কার দেয়নি তার সমালোচনা করেন। নাগরিক সমাজে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে ঘটনাটি।
কাকতালীয় কি না, জানি না, এ বছর প্রবন্ধ শাখায় বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন হোসেনউদ্দিন হোসেন। পুরস্কার ঘোষণার পর এবার আরও একদফা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয় লেখকের পুরস্কার পাওয়ার ‘ক্ষেত্র’ নিয়ে। হোসেনউদ্দিন হোসেনকে তাঁর লেখালেখির মূল ক্ষেত্র কথাসাহিত্যে না দিয়ে প্রবন্ধ শাখায় পুরস্কার দেওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করেন জাকির তালুকদারসহ অন্যরা।
কথাসাহিত্যে না পেয়ে প্রবন্ধ শাখায় হোসেনউদ্দিন হোসেনের পুরস্কার পাওয়ার ঘটনা আরেকটি ঘটনাকে মনে করিয়ে দেয়। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন প্রবর্তিত একুশে পুরস্কার ২০২০-এ একজন কবিকে কবিতা শাখায় পুরস্কার না দিয়ে শিশুসাহিত্য শাখায় পুরস্কার দিলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। অভিযোগ ওঠে জুরিবোর্ডের একজন প্রভাবশালী সদস্যের সঙ্গে পুরস্কৃত ব্যক্তির ব্যক্তিগত সম্পর্কের সুবাদে শিশুসাহিত্যে একাধিক যোগ্য লোক থাকা সত্ত্বেও তাঁদের মূল্যায়ন করা হয়নি। জুরিবোর্ডের সদস্যদের পুরস্কার দেওয়ার আগে অনেক হিসাব-নিকাশ করতে হয়। বিভিন্ন মহলের চাপ বা ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে কাউকে যখন পুরস্কার দিতেই হবে—এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, কিন্তু ব্যক্তিটিকে পুরস্কার দিলে সমালোচনার সৃষ্টি হবে। শ্যাম রাখি না কুল রাখি অবস্থা। জুরিবোর্ড তখন আপাতত কম আলোচিত, অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ কোনো শাখায় ব্যক্তিটিকে পুরস্কার দিয়ে দায় সারে। আবার ‘প্রবাসী’ তকমা দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রবাসী বাংলাদেশি লেখকদের সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ পুরস্কার দিয়ে মূলধারার বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার থেকে আলাদা করে রাখা হয়।
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারের পাশাপাশি সাহিত্যে অবদানের জন্য আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার দেওয়া হয় বাংলাদেশে। একটি স্বাধীনতা পুরস্কার আরেকটি একুশে পদক। এই দুটি পুরস্কার নিয়েও বিতর্ক হয়।
বারবার বিতর্ক সৃষ্টি করার ফলে গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় এসব পুরস্কার ধীরে ধীরে মর্যাদার জায়গা হারিয়ে ফেলছে। এসব পুরস্কার সম্পর্কে সাধারণ মানুষের বিশ্বাসটা এখন অনেকটা এ রকম—গ্রহণযোগ্যতার পর্দা হিসেবে দু-একজনকে পুরস্কার দেওয়া হবে, যাঁরা আগেই প্রতিষ্ঠিত, বিতর্কের ঊর্ধ্বে। এর পেছনে পুরস্কার পাবেন কয়েকজন স্তাবক। নিরপেক্ষ দু-একজনকে পুরস্কার দিয়ে দলবাজির অভিযোগ ধামাচাপা দেওয়া হবে।
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ এ তিনটি পুরস্কার ছাড়াও প্রতিবছর সাহিত্যে বিভিন্ন পুরস্কার দেওয়া হয়। জেমকন সাহিত্য পুরস্কার, আইএফআইসি ব্যাংক-কালি ও কলম সাহিত্য পুরস্কার, ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল হুমায়ূন আহমেদ পুরস্কার, সিটি ব্যাংক-আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার, এক্সিম ব্যাংক-অন্য আলো সাহিত্য পুরস্কার, অগ্রণী ব্যাংক-শিশু একাডেমি শিশুসাহিত্য পুরস্কার, নুরুল কাদের শিশুসাহিত্য পুরস্কার, অধ্যাপক খালেদ শিশুসাহিত্য পুরস্কার, অনুবাদ সাহিত্য পুরস্কার, জীবনানন্দ দাশ পাণ্ডুলিপি পুরস্কার ইত্যাদি। এসব পুরস্কার প্রদানের প্রক্রিয়া নিয়েও সমালোচনা আছে।
পুরস্কার যত দিন থাকবে, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, আমলাপ্রীতি, বিতর্ক থাকবে। সাহিত্য পুরস্কারের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে পুরস্কার পাওয়া এমন অনেকের নাম পাওয়া যায়, যাঁদের আজ আর কেউ চেনেন না, পড়েন না। আবার এমন অনেকে আছেন, পাঠক বোদ্ধাদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন, যাঁরা কখনো পুরস্কার পাননি। সাহিত্য পুরস্কারের ক্ষেত্রে পাঠকের ভালোবাসাই একজন লেখকের সবচেয়ে বড় পুরস্কার।
ঘোষণা হয়ে গেল বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২১। এবার ১১টি ক্ষেত্রে পুরস্কার পাচ্ছেন মোট ১৫ জন। বাংলাদেশের সামগ্রিক সাহিত্যের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার। প্রতিবছর জানুয়ারি মাস থেকে চলে এ পুরস্কার কে বা কারা পাচ্ছেন, তা নিয়ে আলাপ-আলোচনা-পূর্বাভাস। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর পুরস্কার ঘোষণার আগে পুরস্কারের আলোচনায় বাড়তি মাত্রা যোগ করেন কথাসাহিত্যিক জাকির তালুকদার। ‘বাংলা একাডেমি কি জানে, আমাদের পশ লেখকেরা কি জানেন?’ শিরোনামে এক লেখায় তিনি হোসেনউদ্দিন হোসেন নামের এক লেখকের পরিচয়, সাহিত্যকর্ম ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির বৃত্তান্ত তুলে ধরে বাংলা একাডেমি এখনো কেন তাঁকে পুরস্কার দেয়নি তার সমালোচনা করেন। নাগরিক সমাজে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে ঘটনাটি।
কাকতালীয় কি না, জানি না, এ বছর প্রবন্ধ শাখায় বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন হোসেনউদ্দিন হোসেন। পুরস্কার ঘোষণার পর এবার আরও একদফা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয় লেখকের পুরস্কার পাওয়ার ‘ক্ষেত্র’ নিয়ে। হোসেনউদ্দিন হোসেনকে তাঁর লেখালেখির মূল ক্ষেত্র কথাসাহিত্যে না দিয়ে প্রবন্ধ শাখায় পুরস্কার দেওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করেন জাকির তালুকদারসহ অন্যরা।
কথাসাহিত্যে না পেয়ে প্রবন্ধ শাখায় হোসেনউদ্দিন হোসেনের পুরস্কার পাওয়ার ঘটনা আরেকটি ঘটনাকে মনে করিয়ে দেয়। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন প্রবর্তিত একুশে পুরস্কার ২০২০-এ একজন কবিকে কবিতা শাখায় পুরস্কার না দিয়ে শিশুসাহিত্য শাখায় পুরস্কার দিলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। অভিযোগ ওঠে জুরিবোর্ডের একজন প্রভাবশালী সদস্যের সঙ্গে পুরস্কৃত ব্যক্তির ব্যক্তিগত সম্পর্কের সুবাদে শিশুসাহিত্যে একাধিক যোগ্য লোক থাকা সত্ত্বেও তাঁদের মূল্যায়ন করা হয়নি। জুরিবোর্ডের সদস্যদের পুরস্কার দেওয়ার আগে অনেক হিসাব-নিকাশ করতে হয়। বিভিন্ন মহলের চাপ বা ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে কাউকে যখন পুরস্কার দিতেই হবে—এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, কিন্তু ব্যক্তিটিকে পুরস্কার দিলে সমালোচনার সৃষ্টি হবে। শ্যাম রাখি না কুল রাখি অবস্থা। জুরিবোর্ড তখন আপাতত কম আলোচিত, অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ কোনো শাখায় ব্যক্তিটিকে পুরস্কার দিয়ে দায় সারে। আবার ‘প্রবাসী’ তকমা দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রবাসী বাংলাদেশি লেখকদের সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ পুরস্কার দিয়ে মূলধারার বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার থেকে আলাদা করে রাখা হয়।
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারের পাশাপাশি সাহিত্যে অবদানের জন্য আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার দেওয়া হয় বাংলাদেশে। একটি স্বাধীনতা পুরস্কার আরেকটি একুশে পদক। এই দুটি পুরস্কার নিয়েও বিতর্ক হয়।
বারবার বিতর্ক সৃষ্টি করার ফলে গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় এসব পুরস্কার ধীরে ধীরে মর্যাদার জায়গা হারিয়ে ফেলছে। এসব পুরস্কার সম্পর্কে সাধারণ মানুষের বিশ্বাসটা এখন অনেকটা এ রকম—গ্রহণযোগ্যতার পর্দা হিসেবে দু-একজনকে পুরস্কার দেওয়া হবে, যাঁরা আগেই প্রতিষ্ঠিত, বিতর্কের ঊর্ধ্বে। এর পেছনে পুরস্কার পাবেন কয়েকজন স্তাবক। নিরপেক্ষ দু-একজনকে পুরস্কার দিয়ে দলবাজির অভিযোগ ধামাচাপা দেওয়া হবে।
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ এ তিনটি পুরস্কার ছাড়াও প্রতিবছর সাহিত্যে বিভিন্ন পুরস্কার দেওয়া হয়। জেমকন সাহিত্য পুরস্কার, আইএফআইসি ব্যাংক-কালি ও কলম সাহিত্য পুরস্কার, ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল হুমায়ূন আহমেদ পুরস্কার, সিটি ব্যাংক-আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার, এক্সিম ব্যাংক-অন্য আলো সাহিত্য পুরস্কার, অগ্রণী ব্যাংক-শিশু একাডেমি শিশুসাহিত্য পুরস্কার, নুরুল কাদের শিশুসাহিত্য পুরস্কার, অধ্যাপক খালেদ শিশুসাহিত্য পুরস্কার, অনুবাদ সাহিত্য পুরস্কার, জীবনানন্দ দাশ পাণ্ডুলিপি পুরস্কার ইত্যাদি। এসব পুরস্কার প্রদানের প্রক্রিয়া নিয়েও সমালোচনা আছে।
পুরস্কার যত দিন থাকবে, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, আমলাপ্রীতি, বিতর্ক থাকবে। সাহিত্য পুরস্কারের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে পুরস্কার পাওয়া এমন অনেকের নাম পাওয়া যায়, যাঁদের আজ আর কেউ চেনেন না, পড়েন না। আবার এমন অনেকে আছেন, পাঠক বোদ্ধাদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন, যাঁরা কখনো পুরস্কার পাননি। সাহিত্য পুরস্কারের ক্ষেত্রে পাঠকের ভালোবাসাই একজন লেখকের সবচেয়ে বড় পুরস্কার।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে