ক্রীড়া প্রতিবেদক, ঢাকা
ক্লান্তিতে যখন নুয়ে পড়ে শরীর, মনোযোগটা তখনই বেশি দেওয়া দরকার। তখন ‘কিছুতেই গা ছেড়ে দেয়া যাবে না’—প্রত্যয়ে নতুন উদ্যমে খেলা উচিত। বারবার একই ভুলের ভুক্তভোগী হওয়ার পরও আবার একই ভুল। চলতি সাফে লেবাননের বিপক্ষে সেই ভুলের মাশুল দিয়েছে বাংলাদেশ। শেষ ১৬ মিনিটে জোড়া গোল হজম করে সেমিফাইনালের সমীকরণটাকে জটিল করে তুলেছে। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে টিকে থাকতে, সেমির সম্ভাবনায় নিজেদের ধরে রাখতে আগামীকাল মালদ্বীপের বিপক্ষে জিততেই হবে বাংলাদেশ দলকে।
এমন পরিস্থিতিতে মালদ্বীপের বিপক্ষে লড়াইটিকে ‘ফাইনাল’ হিসেবেই দেখছে বাংলাদেশ শিবির। গতকাল দুপুরে অনুশীলন শেষে বেঙ্গালুরুতে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন সোহেল রানা, অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া ও কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। বাফুফে প্রেরিত তাঁদের সে কথোপকথনের ভিডিওতে সবারই এক কথা, মালদ্বীপের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প নেই তাঁদের সামনে, জয় ছাড়া কিছু ভাবছেনও না তাঁরা।
এমনকি ভাবছেন না লেবানন ম্যাচ নিয়েও। ম্যাচটি জিতলে ‘ভালো হতো’, কিন্তু ৮০ মিনিট প্রতিপক্ষকে আটকে রেখেও শেষ পর্যন্ত হেরে যাওয়ার যন্ত্রণার আগুনে পুড়তে চান না মিডফিল্ডার সোহেল রানা, ‘লেবানন নয়, আমরা সামনের ম্যাচ নিয়ে ভাবছি। প্রথম ম্যাচ জিতলে ভালো হতো। কিন্তু হেরে গেলেও দলের মনোভাব অটুট আছে। সবকিছু ঠিক আছে। সামনের ম্যাচে ভালো কিছু করতে পারব ইনশা আল্লাহ।’ সেই ‘ভালো’টা যে জয়, সেটি আর না বললেও চলছে। তো মালদ্বীপের বিপক্ষে ভালো করার আত্মবিশ্বাসের ভিত্তি কী? এই প্রশ্নে কিন্তু পেছনেই ফিরলেন সোহেল, ‘শারীরিক কিংবা দক্ষতায় (স্কিল) তারা আমাদের চেয়ে এগিয়ে ছিল। শেষটা যদিও ভালো হয়নি কিন্তু তাদের বিপক্ষেও ভালোভাবে শুরু করেছিলাম। ম্যাচে একবারও মনে হয়নি আমরা হেরে যাব। হারলেও আমরা খারাপ খেলিনি।
পারফরম্যান্সটাকে ইতিবাচক দৃষ্টিতেই দেখছেন কোচ। এই ম্যাচের শিক্ষা নিয়ে পরের ম্যাচ খেলব আমরা।’ এরপরই ফাইনালের কথা মুখে আনলেন সোহেল, ‘আমাদের সব মনোযোগ এখন এই ম্যাচ নিয়ে। এই ম্যাচ এখন আমাদের জন্য ফাইনাল। আশা করি, আমরা আমাদের সেরাটা দিয়ে জিততে পারব।’
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৯৩। লেবাননের ৯৯। আর মালদ্বীপের ১৫৪। এ হিসাবে লেবাননের চেয়ে তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষই মালদ্বীপ। ‘সহজ’ শব্দটা মুখে আনেননি জামাল ভূঁইয়া। কিন্তু প্রথম ম্যাচে জোর দিয়ে ‘জিতবোই’ বলতে না পারলেও মালদ্বীপ ম্যাচ নিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক আকারে-ইঙ্গিতে বলতে চাইলেন, ‘জিততেই হবে’! ‘আগের ম্যাচে যা হয়েছে, সেটা ভুলে যেতে হবে আমাদের।’ জামাল ভূঁইয়া বলে গেলেন, ‘আমাদের সব মনোযোগ এখন মালদ্বীপ নিয়ে। মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচটি আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটিই আমাদের ফাইনাল।’
আর ‘ফাইনাল’ খেলতে হয় নিজেদের সেরাটা দিয়ে। আগামীকালের ম্যাচে শিষ্যদের কাছে সেই সেরাটাই চাইবেন কাবরেরা—এ আর নতুন কী! গতকাল অনুশীলন শেষে জাতীয় দলের স্প্যানিশ কোচের মুখেও উঠে এল মালদ্বীপ নামটা, ‘সবাই ইতিবাচক রয়েছে। আগের ম্যাচের ইতিবাচক দিকগুলো মাথায় রেখে মালদ্বীপ ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে দল।’
একসময় মালদ্বীপকে বলেকয়ে হারাত বাংলাদেশ। সেই মালদ্বীপ এগিয়ে গেলেও বাংলাদেশের ফুটবল দাঁড়িয়ে আছে এক জায়গায়। দুই দলের সবশেষ ছয় সাক্ষাতের পাঁচটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। এই পাঁচ হারের পরও দ্বীপ দেশটির বিপক্ষে একসময়ের দোর্দণ্ড দাপটের কল্যাণেই জয়-পরাজয়ের পরিসংখ্যানে এখনো দারুণ একটা ভারসাম্য। দুই দলের এ পর্যন্ত ১৫ বারের সাক্ষাতে ৬টি করে জয় দুই দলেরই। বাকি ৩টি ম্যাচ ড্র।
‘ফাইনাল’-এ জিততে চাইলে গোল করতে হবে বাংলাদেশকে। আর গোল পাওয়া জাতীয় দলের স্ট্রাইকারদের কাছে যেন ‘সোনার হরিণ’।তবে স্ট্রাইকারদের আড়ালই করতে চাইলেন জামাল ভূঁইয়া, ‘শুধু স্ট্রাইকারদের ওপর দায় দিয়ে হবে না।’
গোলের জন্য ফরোয়ার্ডরা সমালোচনায় থাকলেও অধিনায়ক জামাল তাঁদের ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন, ‘স্ট্রাইকারদের দোষারোপ করে লাভ নেই। সবাইকে গোল করতে হবে।’
ক্লান্তিতে যখন নুয়ে পড়ে শরীর, মনোযোগটা তখনই বেশি দেওয়া দরকার। তখন ‘কিছুতেই গা ছেড়ে দেয়া যাবে না’—প্রত্যয়ে নতুন উদ্যমে খেলা উচিত। বারবার একই ভুলের ভুক্তভোগী হওয়ার পরও আবার একই ভুল। চলতি সাফে লেবাননের বিপক্ষে সেই ভুলের মাশুল দিয়েছে বাংলাদেশ। শেষ ১৬ মিনিটে জোড়া গোল হজম করে সেমিফাইনালের সমীকরণটাকে জটিল করে তুলেছে। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে টিকে থাকতে, সেমির সম্ভাবনায় নিজেদের ধরে রাখতে আগামীকাল মালদ্বীপের বিপক্ষে জিততেই হবে বাংলাদেশ দলকে।
এমন পরিস্থিতিতে মালদ্বীপের বিপক্ষে লড়াইটিকে ‘ফাইনাল’ হিসেবেই দেখছে বাংলাদেশ শিবির। গতকাল দুপুরে অনুশীলন শেষে বেঙ্গালুরুতে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন সোহেল রানা, অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া ও কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। বাফুফে প্রেরিত তাঁদের সে কথোপকথনের ভিডিওতে সবারই এক কথা, মালদ্বীপের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প নেই তাঁদের সামনে, জয় ছাড়া কিছু ভাবছেনও না তাঁরা।
এমনকি ভাবছেন না লেবানন ম্যাচ নিয়েও। ম্যাচটি জিতলে ‘ভালো হতো’, কিন্তু ৮০ মিনিট প্রতিপক্ষকে আটকে রেখেও শেষ পর্যন্ত হেরে যাওয়ার যন্ত্রণার আগুনে পুড়তে চান না মিডফিল্ডার সোহেল রানা, ‘লেবানন নয়, আমরা সামনের ম্যাচ নিয়ে ভাবছি। প্রথম ম্যাচ জিতলে ভালো হতো। কিন্তু হেরে গেলেও দলের মনোভাব অটুট আছে। সবকিছু ঠিক আছে। সামনের ম্যাচে ভালো কিছু করতে পারব ইনশা আল্লাহ।’ সেই ‘ভালো’টা যে জয়, সেটি আর না বললেও চলছে। তো মালদ্বীপের বিপক্ষে ভালো করার আত্মবিশ্বাসের ভিত্তি কী? এই প্রশ্নে কিন্তু পেছনেই ফিরলেন সোহেল, ‘শারীরিক কিংবা দক্ষতায় (স্কিল) তারা আমাদের চেয়ে এগিয়ে ছিল। শেষটা যদিও ভালো হয়নি কিন্তু তাদের বিপক্ষেও ভালোভাবে শুরু করেছিলাম। ম্যাচে একবারও মনে হয়নি আমরা হেরে যাব। হারলেও আমরা খারাপ খেলিনি।
পারফরম্যান্সটাকে ইতিবাচক দৃষ্টিতেই দেখছেন কোচ। এই ম্যাচের শিক্ষা নিয়ে পরের ম্যাচ খেলব আমরা।’ এরপরই ফাইনালের কথা মুখে আনলেন সোহেল, ‘আমাদের সব মনোযোগ এখন এই ম্যাচ নিয়ে। এই ম্যাচ এখন আমাদের জন্য ফাইনাল। আশা করি, আমরা আমাদের সেরাটা দিয়ে জিততে পারব।’
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৯৩। লেবাননের ৯৯। আর মালদ্বীপের ১৫৪। এ হিসাবে লেবাননের চেয়ে তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষই মালদ্বীপ। ‘সহজ’ শব্দটা মুখে আনেননি জামাল ভূঁইয়া। কিন্তু প্রথম ম্যাচে জোর দিয়ে ‘জিতবোই’ বলতে না পারলেও মালদ্বীপ ম্যাচ নিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক আকারে-ইঙ্গিতে বলতে চাইলেন, ‘জিততেই হবে’! ‘আগের ম্যাচে যা হয়েছে, সেটা ভুলে যেতে হবে আমাদের।’ জামাল ভূঁইয়া বলে গেলেন, ‘আমাদের সব মনোযোগ এখন মালদ্বীপ নিয়ে। মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচটি আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটিই আমাদের ফাইনাল।’
আর ‘ফাইনাল’ খেলতে হয় নিজেদের সেরাটা দিয়ে। আগামীকালের ম্যাচে শিষ্যদের কাছে সেই সেরাটাই চাইবেন কাবরেরা—এ আর নতুন কী! গতকাল অনুশীলন শেষে জাতীয় দলের স্প্যানিশ কোচের মুখেও উঠে এল মালদ্বীপ নামটা, ‘সবাই ইতিবাচক রয়েছে। আগের ম্যাচের ইতিবাচক দিকগুলো মাথায় রেখে মালদ্বীপ ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে দল।’
একসময় মালদ্বীপকে বলেকয়ে হারাত বাংলাদেশ। সেই মালদ্বীপ এগিয়ে গেলেও বাংলাদেশের ফুটবল দাঁড়িয়ে আছে এক জায়গায়। দুই দলের সবশেষ ছয় সাক্ষাতের পাঁচটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। এই পাঁচ হারের পরও দ্বীপ দেশটির বিপক্ষে একসময়ের দোর্দণ্ড দাপটের কল্যাণেই জয়-পরাজয়ের পরিসংখ্যানে এখনো দারুণ একটা ভারসাম্য। দুই দলের এ পর্যন্ত ১৫ বারের সাক্ষাতে ৬টি করে জয় দুই দলেরই। বাকি ৩টি ম্যাচ ড্র।
‘ফাইনাল’-এ জিততে চাইলে গোল করতে হবে বাংলাদেশকে। আর গোল পাওয়া জাতীয় দলের স্ট্রাইকারদের কাছে যেন ‘সোনার হরিণ’।তবে স্ট্রাইকারদের আড়ালই করতে চাইলেন জামাল ভূঁইয়া, ‘শুধু স্ট্রাইকারদের ওপর দায় দিয়ে হবে না।’
গোলের জন্য ফরোয়ার্ডরা সমালোচনায় থাকলেও অধিনায়ক জামাল তাঁদের ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন, ‘স্ট্রাইকারদের দোষারোপ করে লাভ নেই। সবাইকে গোল করতে হবে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে