ফারুক মেহেদী, ঢাকা
আর মাত্র সপ্তাহখানেক পরেই ঘোষিত হবে নতুন বাজেট। এটি এমন এক সময়ে পেশ হতে যাচ্ছে, যখন নিত্যপণ্যের লাগামহীন দামের উত্তাপে পুড়ছে মধ্যবিত্ত। যাদের আয় তেমন না বাড়লেও ব্যয় বেড়েছে অনেক। আয়-ব্যয়ে ভারসাম্য রাখতে অনেক কিছুই কাটছাঁট করতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। কোনো ক্ষেত্রে ঋণও করতে হচ্ছে।
এমন এক পরিস্থিতিতে সরকারও ধারকর্জের আরেকটি ঘাটতি বাজেট দিতে যাচ্ছে। ওই বাজেটে অতিরিক্ত কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৪৪ হাজার কোটি টাকা। ফলে নিত্যপণ্যের বাড়তি দাম দিয়ে অতিষ্ঠ ভোক্তাকে নতুন অর্থবছরে বাড়তি করের বোঝা বইতে হতে পারে। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, নিত্যপণ্যের বাড়তি দামের সঙ্গে বাজেটে নতুন করের বোঝা চাপলে মধ্যবিত্তের জন্য তা কঠিন হবে। তাই সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে আর্থিকভাবে দুর্বল জনগোষ্ঠীকে সহায়তা দেওয়া অব্যাহত রাখতে হবে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, খালি কর আরোপ করে, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক থেকে ধার করে খরচ করেই যাব, অর্থনীতিতে এর কী প্রভাব, সাধারণ মানুষের জীবন–জীবিকার ওপর কী প্রভাব, কর্মসংস্থান হচ্ছে কি না সেটা না দেখে শুধু বড় বড় অঙ্ক আর আয়–ব্যয়ের হিসাব দেওয়া–এ ধরনের বাজেটে কোনো লাভ হবে না। করোনা পরবর্তী চ্যালেঞ্জ, ইউক্রেন যুদ্ধ আর দেশে মূল্যস্ফীতি ও রিজার্ভের সংকট এসব বিবেচনায় নিতে হবে। আমাদের শুধু রপ্তানি হচ্ছে, কিন্তু সার্বিক উৎপাদন বাড়ছে না। সুতরাং উৎপাদন যাতে বাড়ে, এসএমইর যাতে প্রসার হয় সেটা দেখা। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো দেশে উৎপাদন বাড়লে, কর্মসংস্থান বাড়বে, সাধারণের আয় বাড়বে, তাতে মূল্যস্ফীতি হলেও তা সহ্য করা যাবে। এখন মানুষের আয় বাড়েনি, অনেকে বেকার, এর ভেতরে যদি চাপ বাড়ে সেটাতো অসহ্য ব্যাপার হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রায় চূড়ান্ত। আগামী ৯ জুন সংসদে তা উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এবারের বাজেটের আকার কমবেশি প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার কোটি টাকা। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, নতুন বাজেটে আহামরি বৈচিত্র্য না থাকলেও অঙ্কের হিসাবে তা আগের ধারাবাহিকতা মেনে আকার বাড়ানো হয়েছে। চলতি বাজেটটি যখন গত বছরের জুনে ঘোষণা করা হয়, তখনো অর্থমন্ত্রী মানুষকে আশার বাণী শুনিয়েছিলেন। করোনাকালেও ঋণনির্ভর বড় বাজেট দিয়ে বিনিয়োগ-কর্মসংস্থান বাড়ানোর স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। অথচ অর্থবছরের শেষ পর্যায়ে বাস্তবায়নের খাতায় সাফল্যের চেয়ে ব্যর্থতাই বেশি। রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যপূরণ এখনো অনেক দূর।
কর বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, অর্থ বছরের প্রথম ১০ মাসে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার রাজস্বের প্রায় এক লাখ কোটি টাকাই ঘাটতি। বাকি দুই মাসে তা অর্জন করা প্রায় অসম্ভব। রাজস্বের বড় বড় লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হলেও তা অর্জনের জন্য কর প্রশাসনকে যেভাবে ঢেলে সাজানো দরকার তা না করায় কাঙ্ক্ষিত সাফল্য আসছে না। বর্তমানে প্রায় ৭০ লাখ টিআইএনধারী করদাতার বিপরীতে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন মাত্র ২৫ লাখ করদাতা। সব মিলিয়ে বলা যায়, সরকারের রাজস্ব বাজেটটি বাস্তবায়নের মুখ দেখছে না। এই পরিস্থিতিতে গতানুগতিক হিসাব নিকাশের আরেকটি বড় রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার বাজেট দেওয়া হচ্ছে। আসছে অর্থবছরে মোট রাজস্ব আয় করতে হবে ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা, যা বর্তমান বাজেটের চেয়ে ৪৪ হাজার কোটি টাকা বেশি। এর মধ্যে এনবিআরের রাজস্ব লক্ষ্য প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা বেশি।
এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর সাবেক চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন খাতে কর বাড়লে তা মানুষের ওপর চাপ তৈরি করবে। শুনতে পাচ্ছি ভ্যাটের আওতাও বাড়বে। যদি তা বাড়ে, তাতেও সাধারণ মানুষের ওপর চাপ পড়বে। তবে শোনা যাচ্ছে, আয়করের আওতা বাড়ানো হবে। যদি এটা করা যায়, তখন চাপটা কমে আসবে। যেহেতু রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ছে। সুতরাং তা কোনো না কোনো ভাবে মানুষের ওপরই পড়ে। তিনি বলেন, ‘সামনে আমদানিনির্ভর পণ্যের দাম কমবে না। এটাও সবার জন্য একটু চাপ হবে। তাই সরকার যা করতে পারে, তা হলো–দরিদ্র বা অসহায়দের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাড়ানো, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন উপায়ে সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করা, এনজিওর মাধ্যমে দরিদ্রদের ঋণের পরিধি বাড়ানো গেলে একটি শ্রেণির আয় বাড়বে। নিত্যপণ্যের বাড়তি দামের বোঝাটা তাদের জন্য সহনীয় হবে।’
সংশ্লিষ্টরা জানান, বাজেট প্রায় চূড়ান্ত। সেখানে খুব নতুন কিছু নেই, আছে আগের ধারাবাহিকতা। যে দু-একটি নতুন ঘোষণা আসতে পারে তার মধ্যে রয়েছে, বিদেশ থেকে কালোটাকা এনে বৈধ করার সুযোগ। এর আগে তা দেওয়া হয়নি। বিনা প্রশ্নে অবৈধ টাকার মালিকদের এ সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় আসার পর বিতর্ক হচ্ছে। এ ছাড়া নতুন বাজেটে আরেকটি নতুন ঘোষণা আসতে পারে। আগামী অর্থবছরে আয়কর রিটার্নের সঙ্গে শুধু টিআইএন নয়; আগের অর্থবছরে রিটার্ন জমার প্রাপ্তি স্বীকারপত্রও জমা দিতে হবে। শুধু তাই নয়; এটি সরকারি সেবা নেওয়ার ক্ষেত্রেও প্রয়োজন হতে পারে।
নতুন অর্থবছরে বেশি কর দিতে হতে পারে হাঁস-মুরগির খামারিদের। বর্তমানে হাঁস-মুরগির খামারের মালিকদের ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত। এটি কমিয়ে ১০ লাখ টাকা করা হচ্ছে। রাজস্বের লক্ষ্য পূরণে কিছু পণ্যের ওপর ভ্যাট বাড়ানো হতে পারে। স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এবার ভ্যাট আরোপ হতে পারে। পাশাপাশি মোবাইল সেট বিক্রয় পর্যায়ে ভ্যাট নেই। ব্যবসা পর্যায়ে মোবাইল সেটের ওপর পাঁচ শতাংশ ভ্যাট বসানো হতে পারে। এতে মোবাইলের দামও বাড়তে পারে।
বিশ্লেষকেরা মনে করেন, নতুন বাজেট আকারে যত বড়ই হোক না কেন, তা সরকারের ভেতরে আত্মতৃপ্তি জাগালেও ভোক্তার খরচ বাড়াবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ বেশি কর আদায় করে বড় বাজেট বাস্তবায়নের চেষ্টা করবে সরকার। এরপরও পুরো খরচের টাকা জোগান দেওয়া সম্ভব হবে না বলে ঘাটতি বাজেট নেওয়া হচ্ছে। সেই ঘাটতির টাকা ব্যাংক, সঞ্চয়পত্র বা বিদেশি সংস্থা থেকে ধার করা হবে। ফলে নতুন বাজেটে ভোক্তার জন্য কঠিন হতে পারে।
আর মাত্র সপ্তাহখানেক পরেই ঘোষিত হবে নতুন বাজেট। এটি এমন এক সময়ে পেশ হতে যাচ্ছে, যখন নিত্যপণ্যের লাগামহীন দামের উত্তাপে পুড়ছে মধ্যবিত্ত। যাদের আয় তেমন না বাড়লেও ব্যয় বেড়েছে অনেক। আয়-ব্যয়ে ভারসাম্য রাখতে অনেক কিছুই কাটছাঁট করতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। কোনো ক্ষেত্রে ঋণও করতে হচ্ছে।
এমন এক পরিস্থিতিতে সরকারও ধারকর্জের আরেকটি ঘাটতি বাজেট দিতে যাচ্ছে। ওই বাজেটে অতিরিক্ত কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৪৪ হাজার কোটি টাকা। ফলে নিত্যপণ্যের বাড়তি দাম দিয়ে অতিষ্ঠ ভোক্তাকে নতুন অর্থবছরে বাড়তি করের বোঝা বইতে হতে পারে। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, নিত্যপণ্যের বাড়তি দামের সঙ্গে বাজেটে নতুন করের বোঝা চাপলে মধ্যবিত্তের জন্য তা কঠিন হবে। তাই সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে আর্থিকভাবে দুর্বল জনগোষ্ঠীকে সহায়তা দেওয়া অব্যাহত রাখতে হবে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, খালি কর আরোপ করে, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক থেকে ধার করে খরচ করেই যাব, অর্থনীতিতে এর কী প্রভাব, সাধারণ মানুষের জীবন–জীবিকার ওপর কী প্রভাব, কর্মসংস্থান হচ্ছে কি না সেটা না দেখে শুধু বড় বড় অঙ্ক আর আয়–ব্যয়ের হিসাব দেওয়া–এ ধরনের বাজেটে কোনো লাভ হবে না। করোনা পরবর্তী চ্যালেঞ্জ, ইউক্রেন যুদ্ধ আর দেশে মূল্যস্ফীতি ও রিজার্ভের সংকট এসব বিবেচনায় নিতে হবে। আমাদের শুধু রপ্তানি হচ্ছে, কিন্তু সার্বিক উৎপাদন বাড়ছে না। সুতরাং উৎপাদন যাতে বাড়ে, এসএমইর যাতে প্রসার হয় সেটা দেখা। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো দেশে উৎপাদন বাড়লে, কর্মসংস্থান বাড়বে, সাধারণের আয় বাড়বে, তাতে মূল্যস্ফীতি হলেও তা সহ্য করা যাবে। এখন মানুষের আয় বাড়েনি, অনেকে বেকার, এর ভেতরে যদি চাপ বাড়ে সেটাতো অসহ্য ব্যাপার হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রায় চূড়ান্ত। আগামী ৯ জুন সংসদে তা উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এবারের বাজেটের আকার কমবেশি প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার কোটি টাকা। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, নতুন বাজেটে আহামরি বৈচিত্র্য না থাকলেও অঙ্কের হিসাবে তা আগের ধারাবাহিকতা মেনে আকার বাড়ানো হয়েছে। চলতি বাজেটটি যখন গত বছরের জুনে ঘোষণা করা হয়, তখনো অর্থমন্ত্রী মানুষকে আশার বাণী শুনিয়েছিলেন। করোনাকালেও ঋণনির্ভর বড় বাজেট দিয়ে বিনিয়োগ-কর্মসংস্থান বাড়ানোর স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। অথচ অর্থবছরের শেষ পর্যায়ে বাস্তবায়নের খাতায় সাফল্যের চেয়ে ব্যর্থতাই বেশি। রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যপূরণ এখনো অনেক দূর।
কর বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, অর্থ বছরের প্রথম ১০ মাসে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার রাজস্বের প্রায় এক লাখ কোটি টাকাই ঘাটতি। বাকি দুই মাসে তা অর্জন করা প্রায় অসম্ভব। রাজস্বের বড় বড় লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হলেও তা অর্জনের জন্য কর প্রশাসনকে যেভাবে ঢেলে সাজানো দরকার তা না করায় কাঙ্ক্ষিত সাফল্য আসছে না। বর্তমানে প্রায় ৭০ লাখ টিআইএনধারী করদাতার বিপরীতে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন মাত্র ২৫ লাখ করদাতা। সব মিলিয়ে বলা যায়, সরকারের রাজস্ব বাজেটটি বাস্তবায়নের মুখ দেখছে না। এই পরিস্থিতিতে গতানুগতিক হিসাব নিকাশের আরেকটি বড় রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার বাজেট দেওয়া হচ্ছে। আসছে অর্থবছরে মোট রাজস্ব আয় করতে হবে ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা, যা বর্তমান বাজেটের চেয়ে ৪৪ হাজার কোটি টাকা বেশি। এর মধ্যে এনবিআরের রাজস্ব লক্ষ্য প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা বেশি।
এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর সাবেক চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন খাতে কর বাড়লে তা মানুষের ওপর চাপ তৈরি করবে। শুনতে পাচ্ছি ভ্যাটের আওতাও বাড়বে। যদি তা বাড়ে, তাতেও সাধারণ মানুষের ওপর চাপ পড়বে। তবে শোনা যাচ্ছে, আয়করের আওতা বাড়ানো হবে। যদি এটা করা যায়, তখন চাপটা কমে আসবে। যেহেতু রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ছে। সুতরাং তা কোনো না কোনো ভাবে মানুষের ওপরই পড়ে। তিনি বলেন, ‘সামনে আমদানিনির্ভর পণ্যের দাম কমবে না। এটাও সবার জন্য একটু চাপ হবে। তাই সরকার যা করতে পারে, তা হলো–দরিদ্র বা অসহায়দের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাড়ানো, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন উপায়ে সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করা, এনজিওর মাধ্যমে দরিদ্রদের ঋণের পরিধি বাড়ানো গেলে একটি শ্রেণির আয় বাড়বে। নিত্যপণ্যের বাড়তি দামের বোঝাটা তাদের জন্য সহনীয় হবে।’
সংশ্লিষ্টরা জানান, বাজেট প্রায় চূড়ান্ত। সেখানে খুব নতুন কিছু নেই, আছে আগের ধারাবাহিকতা। যে দু-একটি নতুন ঘোষণা আসতে পারে তার মধ্যে রয়েছে, বিদেশ থেকে কালোটাকা এনে বৈধ করার সুযোগ। এর আগে তা দেওয়া হয়নি। বিনা প্রশ্নে অবৈধ টাকার মালিকদের এ সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় আসার পর বিতর্ক হচ্ছে। এ ছাড়া নতুন বাজেটে আরেকটি নতুন ঘোষণা আসতে পারে। আগামী অর্থবছরে আয়কর রিটার্নের সঙ্গে শুধু টিআইএন নয়; আগের অর্থবছরে রিটার্ন জমার প্রাপ্তি স্বীকারপত্রও জমা দিতে হবে। শুধু তাই নয়; এটি সরকারি সেবা নেওয়ার ক্ষেত্রেও প্রয়োজন হতে পারে।
নতুন অর্থবছরে বেশি কর দিতে হতে পারে হাঁস-মুরগির খামারিদের। বর্তমানে হাঁস-মুরগির খামারের মালিকদের ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত। এটি কমিয়ে ১০ লাখ টাকা করা হচ্ছে। রাজস্বের লক্ষ্য পূরণে কিছু পণ্যের ওপর ভ্যাট বাড়ানো হতে পারে। স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এবার ভ্যাট আরোপ হতে পারে। পাশাপাশি মোবাইল সেট বিক্রয় পর্যায়ে ভ্যাট নেই। ব্যবসা পর্যায়ে মোবাইল সেটের ওপর পাঁচ শতাংশ ভ্যাট বসানো হতে পারে। এতে মোবাইলের দামও বাড়তে পারে।
বিশ্লেষকেরা মনে করেন, নতুন বাজেট আকারে যত বড়ই হোক না কেন, তা সরকারের ভেতরে আত্মতৃপ্তি জাগালেও ভোক্তার খরচ বাড়াবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ বেশি কর আদায় করে বড় বাজেট বাস্তবায়নের চেষ্টা করবে সরকার। এরপরও পুরো খরচের টাকা জোগান দেওয়া সম্ভব হবে না বলে ঘাটতি বাজেট নেওয়া হচ্ছে। সেই ঘাটতির টাকা ব্যাংক, সঞ্চয়পত্র বা বিদেশি সংস্থা থেকে ধার করা হবে। ফলে নতুন বাজেটে ভোক্তার জন্য কঠিন হতে পারে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে