মিলন উল্লাহ, কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়ায় চালের বাজার আবারও অস্থিতিশীল। ভারত থেকে আমদানির খবরে বাজার কিছুটা স্থিতিশীল হলেও সপ্তাহ ব্যবধানে সব ধরনের চালে কেজিতে বেড়েছে দুই টাকা করে।
এদিকে কিছুদিন পরপর এভাবে চালের দাম বাড়ায় ক্রেতাদের পাশাপাশি বিপাকে খুচরা বিক্রেতারাও।
গতকাল বুধবার সকালে কুষ্টিয়ার খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ৬৮ থেকে ৭০ কেজি দরে। যা সাত দিন আগেও ছিল ৬৬ থেকে ৬৮ টাকা। কাজল লতা ৫৮ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকায়, আটাশ ৫০ থেকে বেড়ে ৫২ টাকায় এবং বাঁশমতি ৭৮ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে এর আগে কয়েক দফায় মিলমালিক, আড়তদার এবং খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টরা। মিলে চালানো হয়েছে অভিযান। করা হয়েছে জরিমানাও। খাদ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে চালের দাম আর না বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন চাল ব্যবসায়ী। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই আবারও বাড়ল চালের দাম।
কুষ্টিয়ার পৌরবাজারের খুচরা চাল ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারের চাল আমদানির সিদ্ধান্তের পর বাজার কিছুটা স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু ৮ থেকে ১০ দিনের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে দুই টাকা বেড়েছে। সামনের দিকে আরও বাড়তে পাড়ে।’
কালাচাঁদ স্টোরের মালিক কালাচাঁদ বলেন, ‘আমরা যে দামে চাল বিক্রি করি সেই দাম চার্টে ঝুলিয়ে রাখতে হয়। এখানে কারসাজির কোনো সুযোগ নেই। ধানের দাম বৃদ্ধি এবং ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে চালের দাম বাড়ছে।’
হাবিবুর নামে আরেক দোকানি বলেন, ‘বাইরে থেকে যে চাল আমদানি করা হলো সেই চাল বাজারে এখানো চোখে পড়েনি। তাহলে আমদানি করে লাভ হলো কী।’
এদিকে দফায় দফায় চালের মূল্য বৃদ্ধিতে চরম বিপাকে পড়েছে জেলার নিম্ন আয়ের মানুষ। শুধু চালই নয় নিত্য প্রয়োজনীয় সবকিছুর দাম বাড়ায় তাদের জীবনযাপন করাই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। জানতে চাইলে দেলোয়ার নামের এক রিকশাচালক বলেন, ‘দিনে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা আয় করি। চারজনের সংসার। দুই কেজি চাল, একটু তেল কিনতে গেলেই উপার্জনের সব টাকা ফুরিয়ে যায়। সবকিছুর দাম বাড়ছে। তরকারির কথা না হয় বাদই দিলাম। কীভাবে সংসারের সদস্যদের মুখে চারটে ভাত তুলে দেব সেটাই এখন চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
এসব বিষয়ে জেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন প্রধান বলেন, ‘বর্তমানে দেশের বাজারে চাহিদা মতো ধান পাওয়া যাচ্ছে না। যে পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে তার দামও অনেক বেশি। এ ছাড়া চাল আমদানির অনুমতির পর থেকেই ডলারের দাম অনেকটাই বেড়েছে, ফলে বাইরে থেকে আমদানি করতে গেলেও দাম দেশে উৎপাদিত চালের মতোই পড়ে যাচ্ছে। এ জন্য ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে চাল আমদানি করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এসবে প্রভাব পড়ছে চালের বাজারে। নতুন ধান বাজারে না আসা পর্যন্ত এ অবস্থার পরিবর্তন হবে না।’
জেলা প্রশাসক সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বাজারে নজরদারি বাড়িয়েছি। কাল (বৃহস্পতিবার) থেকেই তদারকি দল বাজারে কাজ করবে। এরপরও কেউ কারসাজি করে চালের বাজার অস্থির করার চেষ্টা করলে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কুষ্টিয়ায় চালের বাজার আবারও অস্থিতিশীল। ভারত থেকে আমদানির খবরে বাজার কিছুটা স্থিতিশীল হলেও সপ্তাহ ব্যবধানে সব ধরনের চালে কেজিতে বেড়েছে দুই টাকা করে।
এদিকে কিছুদিন পরপর এভাবে চালের দাম বাড়ায় ক্রেতাদের পাশাপাশি বিপাকে খুচরা বিক্রেতারাও।
গতকাল বুধবার সকালে কুষ্টিয়ার খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ৬৮ থেকে ৭০ কেজি দরে। যা সাত দিন আগেও ছিল ৬৬ থেকে ৬৮ টাকা। কাজল লতা ৫৮ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকায়, আটাশ ৫০ থেকে বেড়ে ৫২ টাকায় এবং বাঁশমতি ৭৮ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে এর আগে কয়েক দফায় মিলমালিক, আড়তদার এবং খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টরা। মিলে চালানো হয়েছে অভিযান। করা হয়েছে জরিমানাও। খাদ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে চালের দাম আর না বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন চাল ব্যবসায়ী। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই আবারও বাড়ল চালের দাম।
কুষ্টিয়ার পৌরবাজারের খুচরা চাল ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারের চাল আমদানির সিদ্ধান্তের পর বাজার কিছুটা স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু ৮ থেকে ১০ দিনের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে দুই টাকা বেড়েছে। সামনের দিকে আরও বাড়তে পাড়ে।’
কালাচাঁদ স্টোরের মালিক কালাচাঁদ বলেন, ‘আমরা যে দামে চাল বিক্রি করি সেই দাম চার্টে ঝুলিয়ে রাখতে হয়। এখানে কারসাজির কোনো সুযোগ নেই। ধানের দাম বৃদ্ধি এবং ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে চালের দাম বাড়ছে।’
হাবিবুর নামে আরেক দোকানি বলেন, ‘বাইরে থেকে যে চাল আমদানি করা হলো সেই চাল বাজারে এখানো চোখে পড়েনি। তাহলে আমদানি করে লাভ হলো কী।’
এদিকে দফায় দফায় চালের মূল্য বৃদ্ধিতে চরম বিপাকে পড়েছে জেলার নিম্ন আয়ের মানুষ। শুধু চালই নয় নিত্য প্রয়োজনীয় সবকিছুর দাম বাড়ায় তাদের জীবনযাপন করাই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। জানতে চাইলে দেলোয়ার নামের এক রিকশাচালক বলেন, ‘দিনে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা আয় করি। চারজনের সংসার। দুই কেজি চাল, একটু তেল কিনতে গেলেই উপার্জনের সব টাকা ফুরিয়ে যায়। সবকিছুর দাম বাড়ছে। তরকারির কথা না হয় বাদই দিলাম। কীভাবে সংসারের সদস্যদের মুখে চারটে ভাত তুলে দেব সেটাই এখন চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
এসব বিষয়ে জেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন প্রধান বলেন, ‘বর্তমানে দেশের বাজারে চাহিদা মতো ধান পাওয়া যাচ্ছে না। যে পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে তার দামও অনেক বেশি। এ ছাড়া চাল আমদানির অনুমতির পর থেকেই ডলারের দাম অনেকটাই বেড়েছে, ফলে বাইরে থেকে আমদানি করতে গেলেও দাম দেশে উৎপাদিত চালের মতোই পড়ে যাচ্ছে। এ জন্য ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে চাল আমদানি করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এসবে প্রভাব পড়ছে চালের বাজারে। নতুন ধান বাজারে না আসা পর্যন্ত এ অবস্থার পরিবর্তন হবে না।’
জেলা প্রশাসক সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বাজারে নজরদারি বাড়িয়েছি। কাল (বৃহস্পতিবার) থেকেই তদারকি দল বাজারে কাজ করবে। এরপরও কেউ কারসাজি করে চালের বাজার অস্থির করার চেষ্টা করলে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে