নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁ সদর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামের কৃষক লিটন হোসেন বল সুন্দরী বরই চাষে সফলতা পেয়েছেন। ধান-চালের এই জেলায় বরই চাষে সফলতা পেয়ে আরও বড় পরিসরে শুরুর পরিকল্পনা করছেন তিনি। তাঁর সফলতা দেখে এখন স্থানীয় অনেক কৃষক আগ্রহী হচ্ছেন বরই চাষে।
জানা গেছে, উপজেলার বর্ষাইল ইউনিয়নের মকমলপুর নামক প্রত্যন্ত গ্রামের কৃষক আব্দুল করিমের ছেলে লিটন হোসেন। ছোট থেকেই কৃষিতে ভালোবাসা ছিল লিটনের। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আধুনিক কৃষিতে মনোযোগী হন লিটন। এর ধারাবাহিকতায় উন্নত জাতের কাশ্মীরি ও বল সুন্দরী বরই চাষ শুরু করেন তিনি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, অস্ট্রেলিয়ান জাতের বল সুন্দরী গাছের প্রতিটিতে থোকায় থোকায় বরই ঝুলছে। আর এই সুস্বাদু বাহারি রঙের বরই তিনি গাছে থেকে পেড়েই বিক্রি করছেন। পোকা ও পাখির আক্রমণ থেকে রক্ষায় বাগানের চারপাশে জালের বেড়া দিয়েছেন। বল সুন্দরী বরই চাষ করে তিনি এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। এ বছর তাঁর বরই বিক্রি প্রায় শেষ। এই বরই এক বছরেই পাল্টে দিয়েছে কৃষক লিটনের ভাগ্য।
বাগানে কথা হয় কৃষক লিটন হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, তাঁর নিজের কোনো জমি না থাকায় দুই বিঘা জমি লিজ নিয়ে গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুর দিকে চুয়াডাঙ্গা থেকে ৩০০ কাশ্মীরি ও বল সুন্দরীর ১২৫টি চারা এনে রোপণ করেন। স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ সঠিক পরিচর্যায় মাত্র ১১ মাসেই তাঁর সব কটি গাছেই বরই এসেছে। তিনি বলেন, এই পর্যন্ত তাঁর বরইবাগানে খরচ হয়েছে ৭০-৮০ হাজার টাকা। খরচ বাদ দিয়ে ইতিমধ্যেই প্রায় ২ লাখ টাকা আয় হয়েছে, সামনে আরও লাখখানেক টাকা বিক্রির আশা তাঁর।
লিটন বলেন, অন্যান্য ফসলের চেয়ে বরই চাষে খরচ ও রোগবালাই কম। তাই আগামী বছর আরও বেশি পরিমাণ জমিতে বরই চাষের পরিকল্পনা করছেন তিনি। ইতিমধ্যে তিনি চারা সংগ্রহ করে জমি প্রস্তুত করেছেন।
লিটনের এই বাগান দেখে এখন অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠছেন বরই চাষে। প্রতিদিনই বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ আসছে তাঁর বল সুন্দরীর এই বাগান দেখতে।
স্থানীয় কৃষক আব্দুল লতিফ বলেন, এই অঞ্চলে মূলত ধান অথবা সবজি চাষ হয়। ধানের জন্য এই এলাকার নাম আছে। তবে কখনো বরই চাষ চোখে পড়েনি। কৃষক লিটন দুই বিঘা জমিতে বরইয়ের বাগান করেছেন। ভালো ফলন আর দাম পেয়ে অল্প সময়ে অধিক লাভবান হয়েছেন লিটন। তাঁকে দেখে এখন অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন।
বাগান দেখতে আসা মল্লিকপুর গ্রামের বেলাল হোসেন জানান, বল সুন্দরীর এই বাগান দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়েছেন তিনি। খরচ বাদ দিয়ে বেশ ভালো লাভ হয়েছে এই বাগানে। কৃষি বিভাগ সহযোগিতা করলে তিনিও বরই চাষ করবেন।
এ বিষয়ে উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রতন আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, বরই চাষে কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় বরই চাষে খরচ কম ও লাভ বেশি। কৃষক লিটনকেও কৃষি অফিস থেকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এ বছর তাঁর বরইয়ের বাগান থেকে অন্তত ৩ লাখ টাকা লাভ করতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি।
নওগাঁ সদর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামের কৃষক লিটন হোসেন বল সুন্দরী বরই চাষে সফলতা পেয়েছেন। ধান-চালের এই জেলায় বরই চাষে সফলতা পেয়ে আরও বড় পরিসরে শুরুর পরিকল্পনা করছেন তিনি। তাঁর সফলতা দেখে এখন স্থানীয় অনেক কৃষক আগ্রহী হচ্ছেন বরই চাষে।
জানা গেছে, উপজেলার বর্ষাইল ইউনিয়নের মকমলপুর নামক প্রত্যন্ত গ্রামের কৃষক আব্দুল করিমের ছেলে লিটন হোসেন। ছোট থেকেই কৃষিতে ভালোবাসা ছিল লিটনের। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আধুনিক কৃষিতে মনোযোগী হন লিটন। এর ধারাবাহিকতায় উন্নত জাতের কাশ্মীরি ও বল সুন্দরী বরই চাষ শুরু করেন তিনি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, অস্ট্রেলিয়ান জাতের বল সুন্দরী গাছের প্রতিটিতে থোকায় থোকায় বরই ঝুলছে। আর এই সুস্বাদু বাহারি রঙের বরই তিনি গাছে থেকে পেড়েই বিক্রি করছেন। পোকা ও পাখির আক্রমণ থেকে রক্ষায় বাগানের চারপাশে জালের বেড়া দিয়েছেন। বল সুন্দরী বরই চাষ করে তিনি এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। এ বছর তাঁর বরই বিক্রি প্রায় শেষ। এই বরই এক বছরেই পাল্টে দিয়েছে কৃষক লিটনের ভাগ্য।
বাগানে কথা হয় কৃষক লিটন হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, তাঁর নিজের কোনো জমি না থাকায় দুই বিঘা জমি লিজ নিয়ে গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুর দিকে চুয়াডাঙ্গা থেকে ৩০০ কাশ্মীরি ও বল সুন্দরীর ১২৫টি চারা এনে রোপণ করেন। স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ সঠিক পরিচর্যায় মাত্র ১১ মাসেই তাঁর সব কটি গাছেই বরই এসেছে। তিনি বলেন, এই পর্যন্ত তাঁর বরইবাগানে খরচ হয়েছে ৭০-৮০ হাজার টাকা। খরচ বাদ দিয়ে ইতিমধ্যেই প্রায় ২ লাখ টাকা আয় হয়েছে, সামনে আরও লাখখানেক টাকা বিক্রির আশা তাঁর।
লিটন বলেন, অন্যান্য ফসলের চেয়ে বরই চাষে খরচ ও রোগবালাই কম। তাই আগামী বছর আরও বেশি পরিমাণ জমিতে বরই চাষের পরিকল্পনা করছেন তিনি। ইতিমধ্যে তিনি চারা সংগ্রহ করে জমি প্রস্তুত করেছেন।
লিটনের এই বাগান দেখে এখন অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠছেন বরই চাষে। প্রতিদিনই বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ আসছে তাঁর বল সুন্দরীর এই বাগান দেখতে।
স্থানীয় কৃষক আব্দুল লতিফ বলেন, এই অঞ্চলে মূলত ধান অথবা সবজি চাষ হয়। ধানের জন্য এই এলাকার নাম আছে। তবে কখনো বরই চাষ চোখে পড়েনি। কৃষক লিটন দুই বিঘা জমিতে বরইয়ের বাগান করেছেন। ভালো ফলন আর দাম পেয়ে অল্প সময়ে অধিক লাভবান হয়েছেন লিটন। তাঁকে দেখে এখন অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন।
বাগান দেখতে আসা মল্লিকপুর গ্রামের বেলাল হোসেন জানান, বল সুন্দরীর এই বাগান দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়েছেন তিনি। খরচ বাদ দিয়ে বেশ ভালো লাভ হয়েছে এই বাগানে। কৃষি বিভাগ সহযোগিতা করলে তিনিও বরই চাষ করবেন।
এ বিষয়ে উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রতন আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, বরই চাষে কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় বরই চাষে খরচ কম ও লাভ বেশি। কৃষক লিটনকেও কৃষি অফিস থেকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এ বছর তাঁর বরইয়ের বাগান থেকে অন্তত ৩ লাখ টাকা লাভ করতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে