লাউকাঠি নদীতীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২২ জানুয়ারি ২০২২, ০৬: ৪৭
আপডেট : ২২ জানুয়ারি ২০২২, ১৯: ১০

পটুয়াখালীর লাউকাঠি নদীতীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহীন মাহমুদের নেতৃত্বে প্রথম দিনে লঞ্চঘাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে বলে প্রশাসন থেকে নিশ্চিত করা হয়।

জানা যায়, পটুয়াখালী জেলা শহরের দুই পাশ দিয়ে বহমান লাউকাঠি ও লোহালিয়া নদী। লোহালিয়া নদীতীরের জৈনকাঠি থেকে শুরু হয়ে লাউকাঠি নদীর সেতু পর্যন্ত সহস্রাধিক অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। এসব স্থাপনার মধ্যে শতাধিক রয়েছে বহুতল ভবন। বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় প্রশাসন এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করলেও আবার দখল হয়ে যায়।

এদিকে পুনর্বাসন না করে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করায় বিপাকে পড়েছে শতাধিক অসহায় পরিবার। এসব পরিবার এখন শহীদ আলাউদ্দিন শিশুপার্কে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে।

দিনমজুর মো. নিজাম সিকদার বলেন, ‘এখন কোথায় যাব, কার কাছে যাব? এই মাঘ মাসের শীতের মধ্যে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়া কীভাবে দিন কাটাব? আমাদের দুইটা মাস সময় দিলেও হতো।’

ওই এলাকার বৃষ্টি এন্টারপ্রাইজ ভবনের মালিক মো. হাফিজুর রহমান সবির গাজী বলেন, ‘এই নদীর তীরে অন্তত ৩৯টি স্থাপনা নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা রয়েছে এবং আদালতের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে। তাই আদালতের মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসন এসব ঘর ভাঙতে পারে না।’

এলাকার পৌর কাউন্সিলর আলাউদ্দিন আলাল বলেন, ‘এই পরিবারগুলোর জন্য অফিসে অফিসে গিয়েছি যেন তাঁদের পুনর্বাসন করা হয়। অন্তত খালি জায়গা যেন দেওয়া হয়, যাতে তারা ঘর উঠিয়ে এই মহামারির মধ্যে থাকতে পারে।’

উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহীন মাহমুদ বলেন, ‘নদীতীরের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। তবে যাঁরা উচ্চ আদালতের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার কাগজপত্র দেখাতে পারবেন, শুধু তাঁদেরগুলো ভাঙা আপাতত স্থগিত রাখা হবে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত