আজ হানাদারমুক্ত হয়েছিল সাঁথিয়া

সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি 
প্রকাশ : ০৯ ডিসেম্বর ২০২১, ০৮: ০৪
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১২: ২৮

পাবনার সাঁথিয়া হানাদারমুক্ত দিবস আজ, ৯ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে সাঁথিয়া থানা সম্পূর্ণ শত্রুমুক্ত হয়েছিল। দিবসটি উপলক্ষে সাঁথিয়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে জাতীয় ও সংগঠনের পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আনন্দ শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা।

জানা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তৎকালীন জাতীয় পরিষদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপক আবু সাইয়িদের নির্দেশে সাঁথিয়া হাইস্কুলের তৎকালীন শিক্ষক রুস্তম আলী, তোফাজ্জল হোসেন, কাশিনাথপুর হাইস্কুলের শিক্ষক আয়েজ উদ্দিন এলাকার ছাত্রসমাজ ও যুব তরুণদের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিতে উদ্বুদ্ধ করতে থাকেন। সাঁথিয়ার বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, নজরুল ইসলাম (চাদু), আব্দুস সামাদ, দারা হোসেন, শাহজাহান আলীসহ অসংখ্য নিরীহ মানুষ শহীদ হন। ৫ ডিসেম্বর সাঁথিয়ার কোনবাড়িয়া গ্রামে হানাদার বাহিনী হানা দিয়ে চলে যায়। ৬ ডিসেম্বর সাঁথিয়ার চক নন্দনপুর ও নন্দনপুর মাঠে হানাদার বাহিনী আবার হানা দিলে মুক্তিযোদ্ধাদের বাধার মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয়। ৭ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাঁদের শক্তি বৃদ্ধি করে ভোরে সাঁথিয়ার নন্দনপুর স্বরূপ গ্রামে প্রবেশ করার পর পরই মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধ বেঁধে যায়। একপর্যায়ে হানাদার বাহিনী পিছু হটে চলে যায়।

৮ ডিসেম্বর ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে পাকিস্তানি হানাদারেরা আবারও সাঁথিয়া আক্রমণের উদ্দেশ্যে আসতে থাকেন। সাঁথিয়ার মুক্তিযোদ্ধারা একত্র হয়ে জোড়গাছা ও ছেন্দহ সেতু ভেঙে দেন। মুক্তিযোদ্ধাদের তীব্র বাধার মুখে পাকিস্তানি সেনারা পিছু হটে চলে যায়।

পরদিন ৯ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা সাঁথিয়া থানা চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সাঁথিয়া থানাকে শত্রুমুক্ত ঘোষণা করেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত