জাকির হোসেন, সুনামগঞ্জ
কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সতেজ হয়ে গেছে ধানগাছ। সুনামগঞ্জের হাওরজুড়ে এখন সবুজের সমারোহ। বাতাসে দুলছে ধানের শিষ। স্থানীয় কিষান-কিষানি আর কিছুদিন পর সোনালি ধান কেটে গোলায় তুলবেন। তাঁদের প্রত্যাশা কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে এবারও বোরোর বাম্পার ফলন হবে।
হাওর অধ্যুষিত জেলার অধিকাংশ আবাদি জমিতেই বোরোর আবাদ হয়ে থাকে। এসব এলাকার মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশই একমাত্র ফসল বোরো উৎপাদনের ওপর নির্ভরশীল এবং জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সুনামগঞ্জের ১২ উপজেলায় ১৪২ হাওরে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এবার বোরোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২ লাখ ২২ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে। তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আবাদ বেশি হয়েছে। ধানের শিষ বেরিয়েছে।
ধান পরিপক্ব হলে ৭ এপ্রিল থেকে ধান কাটা শুরু করা যাবে।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, সুনামগঞ্জে বোরো ফসল দিয়ে জাতীয় খাদ্য চাহিদার ১২ থেকে ১৩ দিন পূরণ করা হয়। সুনামগঞ্জের হাওর থেকে এবার ১৩ লাখ ৫৩ হাজার টন ধান এবং চালের হিসাবে ৯ লাখ ২ হাজার টন চাল পাওয়া যাবে। টাকার হিসাবে যা ৩ হাজার ৮০০ কোটি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুনামগঞ্জের উপপরিচালক বিমল চন্দ সোম আজকের পত্রিকাকে বলেন, চৈত্রের মাঝামাঝি সময়ে বৃষ্টি হওয়ায় এবার ধানের ভালো ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে অন্য বছরের তুলনায় ফলন বেশি পাওয়া যাবে।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার লালপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল হাই বলেন, ‘এইবার ফলন ভালা হইতাছে। দিন যদি ভালা থাকে আমরা অনেক বেশি ধান পাইমু।’
এদিকে হাওরাঞ্চলে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শতভাগ শেষ হওয়ায় কৃষকের মধ্যে স্বস্তি বিরাজ করছে। তবে কিছু কিছু বাঁধে বৃষ্টির কারণে সমস্যা দেখা দিয়েছে। সেগুলো সঙ্গে সঙ্গে সংস্কার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
আবহাওয়া ও ফসল রক্ষা বাঁধের ওপর নির্ভর করেই সাধারণত সুনামগঞ্জের বোরো চাষাবাদ করা হয়ে থাকেন। এই অঞ্চলের জমি অধিকাংশই নিম্নাঞ্চল হওয়ায় এবং নদীগুলোর তলদেশে ভরাট হয়ে পড়ায় প্রায়ই কয়েক বছর পর পর ধান কাটার মৌসুমে আগাম বন্যায় ফসল তলিয়ে যায়। এতে খেতের ধান হারিয়ে কৃষকেরা হাহাকার করেন। সারা বছরের একমাত্র সফল ঘরে তুলতে না পেরে ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে কৃষককে পথে বসতে হয়। নতুন করে আরও ঋণর ফাঁদে আটকা পড়তে থাকেন তাঁরা। বিশেষ করে স্থানীয় মহাজন ও বিভিন্ন এনজিওর কাছে এসব বিপদগ্রস্ত কৃষক জিম্মি হয়ে পড়েন। তাঁরা চড়া সুদে ঋণ নেন। পরে
শোধ করতে হিমশিম খান। তাই হাওর এলাকার কৃষকেরা আগাম বন্যায় ফসল হারানোর দুশ্চিন্তায় ভোগেন।
এদিকে সরকার প্রতিবছর বোরোর ফসল রক্ষায় শতকোটি টাকা বরাদ্দ দেয় বাঁধ নির্মাণ করার জন্য। এবারও বাঁধের জন্য প্রায় ২০৪ কোটি টাকা বরাদ্দ ধরা হয় বলে জানিয়েছে পাউবো। পাউবোর সিলেটের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইতিমধ্যে জেলার ১ হাজার ৭৫টি প্রকল্পের মাধ্যমে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আমাদের লোকজন সার্বক্ষণিক বাঁধের কাছেই আছেন। যেসব বাঁধে সমস্যা দেখা যাবে, তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে সংস্কার করে দেবেন।’
কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সতেজ হয়ে গেছে ধানগাছ। সুনামগঞ্জের হাওরজুড়ে এখন সবুজের সমারোহ। বাতাসে দুলছে ধানের শিষ। স্থানীয় কিষান-কিষানি আর কিছুদিন পর সোনালি ধান কেটে গোলায় তুলবেন। তাঁদের প্রত্যাশা কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে এবারও বোরোর বাম্পার ফলন হবে।
হাওর অধ্যুষিত জেলার অধিকাংশ আবাদি জমিতেই বোরোর আবাদ হয়ে থাকে। এসব এলাকার মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশই একমাত্র ফসল বোরো উৎপাদনের ওপর নির্ভরশীল এবং জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সুনামগঞ্জের ১২ উপজেলায় ১৪২ হাওরে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এবার বোরোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২ লাখ ২২ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে। তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আবাদ বেশি হয়েছে। ধানের শিষ বেরিয়েছে।
ধান পরিপক্ব হলে ৭ এপ্রিল থেকে ধান কাটা শুরু করা যাবে।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, সুনামগঞ্জে বোরো ফসল দিয়ে জাতীয় খাদ্য চাহিদার ১২ থেকে ১৩ দিন পূরণ করা হয়। সুনামগঞ্জের হাওর থেকে এবার ১৩ লাখ ৫৩ হাজার টন ধান এবং চালের হিসাবে ৯ লাখ ২ হাজার টন চাল পাওয়া যাবে। টাকার হিসাবে যা ৩ হাজার ৮০০ কোটি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুনামগঞ্জের উপপরিচালক বিমল চন্দ সোম আজকের পত্রিকাকে বলেন, চৈত্রের মাঝামাঝি সময়ে বৃষ্টি হওয়ায় এবার ধানের ভালো ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে অন্য বছরের তুলনায় ফলন বেশি পাওয়া যাবে।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার লালপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল হাই বলেন, ‘এইবার ফলন ভালা হইতাছে। দিন যদি ভালা থাকে আমরা অনেক বেশি ধান পাইমু।’
এদিকে হাওরাঞ্চলে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শতভাগ শেষ হওয়ায় কৃষকের মধ্যে স্বস্তি বিরাজ করছে। তবে কিছু কিছু বাঁধে বৃষ্টির কারণে সমস্যা দেখা দিয়েছে। সেগুলো সঙ্গে সঙ্গে সংস্কার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
আবহাওয়া ও ফসল রক্ষা বাঁধের ওপর নির্ভর করেই সাধারণত সুনামগঞ্জের বোরো চাষাবাদ করা হয়ে থাকেন। এই অঞ্চলের জমি অধিকাংশই নিম্নাঞ্চল হওয়ায় এবং নদীগুলোর তলদেশে ভরাট হয়ে পড়ায় প্রায়ই কয়েক বছর পর পর ধান কাটার মৌসুমে আগাম বন্যায় ফসল তলিয়ে যায়। এতে খেতের ধান হারিয়ে কৃষকেরা হাহাকার করেন। সারা বছরের একমাত্র সফল ঘরে তুলতে না পেরে ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে কৃষককে পথে বসতে হয়। নতুন করে আরও ঋণর ফাঁদে আটকা পড়তে থাকেন তাঁরা। বিশেষ করে স্থানীয় মহাজন ও বিভিন্ন এনজিওর কাছে এসব বিপদগ্রস্ত কৃষক জিম্মি হয়ে পড়েন। তাঁরা চড়া সুদে ঋণ নেন। পরে
শোধ করতে হিমশিম খান। তাই হাওর এলাকার কৃষকেরা আগাম বন্যায় ফসল হারানোর দুশ্চিন্তায় ভোগেন।
এদিকে সরকার প্রতিবছর বোরোর ফসল রক্ষায় শতকোটি টাকা বরাদ্দ দেয় বাঁধ নির্মাণ করার জন্য। এবারও বাঁধের জন্য প্রায় ২০৪ কোটি টাকা বরাদ্দ ধরা হয় বলে জানিয়েছে পাউবো। পাউবোর সিলেটের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইতিমধ্যে জেলার ১ হাজার ৭৫টি প্রকল্পের মাধ্যমে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আমাদের লোকজন সার্বক্ষণিক বাঁধের কাছেই আছেন। যেসব বাঁধে সমস্যা দেখা যাবে, তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে সংস্কার করে দেবেন।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে