ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
আগাম বন্যার কবল থেকে বোরো ধান রক্ষায় সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠন করে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। তবে উপজেলার তিনটি হাওরের বাঁধ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবোর) অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় ঠিকমতো তদারকি হয় না। ফলে কয়েক দিনের বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলার নদীগুলোতে পানি বাড়ায় বাঁধ ভেঙে ফসল তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকেরা।
শালদিঘা হাওর, মরচাকুরি হাওর ও হাঁসের আনি হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ পাউবোর অন্তর্ভুক্ত হয়নি। ফলে বাঁধ নির্মাণে পিআইসিও গঠন করা হয়নি। এ কারণে বাঁধ তিনটি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে মেরামত করা হয়। এমন অবস্থায় বাঁধ টেকসই হওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে সদর ইউনিয়নের শালদিঘা হাওরের গোবরিয়া খালের ওপর ফসল রক্ষা বাঁধে মাটি পড়েছে নামমাত্র। ওই হাওরে পানি ঢোকার মুখগুলোতে যে পরিমাণ মাটি পড়েছে তা পর্যাপ্ত নয়। ক্লোজারগুলোতে দেওয়া হয়নি বাঁশ, জিওব্যাগ, বাঁশের চাটাই।
পাউবো সূত্রে জানা গেছে, চন্দ্রসোনারতাল, কাইল্যানী, সোনামোড়ল, গুরমা, গুরমার বর্ধিতাংশ, রুইবিল উপপ্রকল্প, গোড়াডোবা, জয়ধনা, ধানকুনিয়া হাওরে বাঁধ নির্মাণে ১৫৭টি প্রকল্প গঠন করা হয়। ১৭০ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ ও মেরামতের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ কোটি ৩০ লাখ ৪১ হাজার টাকা।
হাওর অঞ্চলের কৃষক ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বাঁধ তিনটি কয়েক বছর ধরে পাউবোসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেও এখন পর্যন্ত পাউবোর আওতাভুক্ত করা যায়নি। প্রতিবছর উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে কোনো রকমে বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে শালদিঘা হাওরটি নদীর মোহনায় অবস্থিত। শালদিঘা হাওরের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ১০টি হাওর সংযুক্ত। এ হাওরে পানি ঢুকলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে উপজেলার প্রায় ১০টি হাওর। তাঁদের দাবি, দ্রুত হাওরটি পাউবোর অন্তর্ভুক্ত করা হোক।
শালদিঘা হাওরের কৃষক মাসুম হোসেন বলেন, গোবরিয়া খালে তিন থেকে সাড়ে তিন ফুট মাটি দেওয়া হয়েছে, যা বাঁধ রক্ষার জন্য যথেষ্ট নয়। পর্যাপ্ত মাটি না দিলে যে কোনো মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে ফসল নষ্ট হয়ে যাবে।
ফারুকনগর গ্রামের কৃষক রোপণ সরকার বলেন, ‘হাওরের একমাত্র ফসল বোরো ধান। বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে সর্বনাশ হইয়া যাইব।’
গলইখালী গ্ৰামের কৃষক দুলাল সরকার বলেন, ‘হাওরটি স্থায়ীভাবে বেড়িবাঁধের আওতায় আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করি।’
হাওর বাঁচাও আন্দোলন ধর্মপাশা উপজেলার সদস্যসচিব চয়ন কান্তি দাস বলেন, ‘শালদিঘা হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধসহ আরও দুটি হাওরের বাঁধ পাউবোর অন্তর্ভুক্ত করতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছি। কিন্তু তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি। অথচ যেখানে বাঁধের প্রয়োজন নেই, সেখানে পাউবো বাঁধ তৈরি করছে।’
মধ্যনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সঞ্জীব রঞ্জন তালুকদার টিটু বলেন, ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মৌখিক নির্দেশনায় আমরা নিজ উদ্যোগে শালদিঘা হাওরের গোবরিয়া খাল, কালভার্টের মুখসহ মরিচাকুরি হাওর ফসল রক্ষা বাঁধ ও কাটাখালী বাঁধের মুখে মাটি দিচ্ছি। ওই সব হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধগুলো পাউবোর অন্তর্ভুক্ত করার জোর দাবি জানাই।’
এ বিষয়ে ইউএনও মো. মুনতাসির হাসান বলেন, ‘এ বাঁধগুলো পিআইসি কমিটির বহির্ভূত। আমরা অন্য খাত থেকে বাঁধের কাজ করাচ্ছি। পরবর্তীকালে যাতে পাউবোর অন্তর্ভুক্ত করা হয়, সে জন্য আমরা প্রস্তাব পাঠিয়েছি।’
আগাম বন্যার কবল থেকে বোরো ধান রক্ষায় সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠন করে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। তবে উপজেলার তিনটি হাওরের বাঁধ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবোর) অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় ঠিকমতো তদারকি হয় না। ফলে কয়েক দিনের বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলার নদীগুলোতে পানি বাড়ায় বাঁধ ভেঙে ফসল তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকেরা।
শালদিঘা হাওর, মরচাকুরি হাওর ও হাঁসের আনি হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ পাউবোর অন্তর্ভুক্ত হয়নি। ফলে বাঁধ নির্মাণে পিআইসিও গঠন করা হয়নি। এ কারণে বাঁধ তিনটি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে মেরামত করা হয়। এমন অবস্থায় বাঁধ টেকসই হওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে সদর ইউনিয়নের শালদিঘা হাওরের গোবরিয়া খালের ওপর ফসল রক্ষা বাঁধে মাটি পড়েছে নামমাত্র। ওই হাওরে পানি ঢোকার মুখগুলোতে যে পরিমাণ মাটি পড়েছে তা পর্যাপ্ত নয়। ক্লোজারগুলোতে দেওয়া হয়নি বাঁশ, জিওব্যাগ, বাঁশের চাটাই।
পাউবো সূত্রে জানা গেছে, চন্দ্রসোনারতাল, কাইল্যানী, সোনামোড়ল, গুরমা, গুরমার বর্ধিতাংশ, রুইবিল উপপ্রকল্প, গোড়াডোবা, জয়ধনা, ধানকুনিয়া হাওরে বাঁধ নির্মাণে ১৫৭টি প্রকল্প গঠন করা হয়। ১৭০ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ ও মেরামতের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ কোটি ৩০ লাখ ৪১ হাজার টাকা।
হাওর অঞ্চলের কৃষক ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বাঁধ তিনটি কয়েক বছর ধরে পাউবোসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেও এখন পর্যন্ত পাউবোর আওতাভুক্ত করা যায়নি। প্রতিবছর উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে কোনো রকমে বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে শালদিঘা হাওরটি নদীর মোহনায় অবস্থিত। শালদিঘা হাওরের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ১০টি হাওর সংযুক্ত। এ হাওরে পানি ঢুকলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে উপজেলার প্রায় ১০টি হাওর। তাঁদের দাবি, দ্রুত হাওরটি পাউবোর অন্তর্ভুক্ত করা হোক।
শালদিঘা হাওরের কৃষক মাসুম হোসেন বলেন, গোবরিয়া খালে তিন থেকে সাড়ে তিন ফুট মাটি দেওয়া হয়েছে, যা বাঁধ রক্ষার জন্য যথেষ্ট নয়। পর্যাপ্ত মাটি না দিলে যে কোনো মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে ফসল নষ্ট হয়ে যাবে।
ফারুকনগর গ্রামের কৃষক রোপণ সরকার বলেন, ‘হাওরের একমাত্র ফসল বোরো ধান। বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে সর্বনাশ হইয়া যাইব।’
গলইখালী গ্ৰামের কৃষক দুলাল সরকার বলেন, ‘হাওরটি স্থায়ীভাবে বেড়িবাঁধের আওতায় আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করি।’
হাওর বাঁচাও আন্দোলন ধর্মপাশা উপজেলার সদস্যসচিব চয়ন কান্তি দাস বলেন, ‘শালদিঘা হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধসহ আরও দুটি হাওরের বাঁধ পাউবোর অন্তর্ভুক্ত করতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছি। কিন্তু তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি। অথচ যেখানে বাঁধের প্রয়োজন নেই, সেখানে পাউবো বাঁধ তৈরি করছে।’
মধ্যনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সঞ্জীব রঞ্জন তালুকদার টিটু বলেন, ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মৌখিক নির্দেশনায় আমরা নিজ উদ্যোগে শালদিঘা হাওরের গোবরিয়া খাল, কালভার্টের মুখসহ মরিচাকুরি হাওর ফসল রক্ষা বাঁধ ও কাটাখালী বাঁধের মুখে মাটি দিচ্ছি। ওই সব হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধগুলো পাউবোর অন্তর্ভুক্ত করার জোর দাবি জানাই।’
এ বিষয়ে ইউএনও মো. মুনতাসির হাসান বলেন, ‘এ বাঁধগুলো পিআইসি কমিটির বহির্ভূত। আমরা অন্য খাত থেকে বাঁধের কাজ করাচ্ছি। পরবর্তীকালে যাতে পাউবোর অন্তর্ভুক্ত করা হয়, সে জন্য আমরা প্রস্তাব পাঠিয়েছি।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে