সিফাত খান, দোহা
কাতার বিশ্বকাপে এমন অনেক কিছু ঘটছে, যেটা নানা হিসাব ও পরিসংখ্যানে এবারই প্রথম। সেসব তথ্য পাঠকেরা জানেন বেশ আগে থেকে এবং ভালোভাবেই। তবে এর বাইরেও কিছু বিষয় এমন রয়ে গেছে, যেটা এ বিশ্বকাপের দেশে বাস না করলে হয়তো অনুভব করা কঠিন।
ইতিহাসে আর কোনো ফুটবল বিশ্বকাপ কি এমন অতীতে হয়েছে যেখানে এত বেশিসংখ্যক বাংলাদেশি শ্রমিকের অবদান মিশে আছে? এ কাতার বিশ্বকাপের প্রতিটি পর্বের অজস্র স্মৃতি এখন কাতারপ্রবাসী বাংলাদেশিদের মনে শিহরণ জাগাচ্ছে।
সংক্ষেপে বলা চলে, এ বিশ্বকাপই কাতারে বাংলাদেশি কর্মীদের শ্রমবাজার ব্যাপকভাবে খুলে দেওয়ার একমাত্র উপলক্ষ হয়ে ছিল গত এক যুগ ধরে। ঠিক এ মুহূর্তে কাতারে প্রায় সাড়ে চার লাখ বাংলাদেশির যে সমৃদ্ধ বসবাস, এর দুই-তৃতীয়াংশের আগমন ঘটেছে কাতার বিশ্বকাপকেন্দ্রিক শ্রমবাজারে।
নয়তো ২০১০ সালের আগে এ কাতারে বাংলাদেশি কর্মীর বসবাস ছিল অন্য দেশের অভিবাসীর মতোই। বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার গৌরব লাভের পর কাতারে যে বিপুল কর্মযজ্ঞ শুরু হয়, তাতে হাতেগোনা যে দু-একটি দেশের লাখো শ্রমিক কাতারে আসেন, এর মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষে।
শুধু কি কাতারে বিশ্বকাপের আটটি স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজে বাংলাদেশিদের অবদান? মোটেও তা নয়। বরং বাংলাদেশের মেধা ও শ্রম মিশে আছে এ দেশের আরও অনেক অবকাঠামোগত নির্মাণকাজে।
কাতারে এ সময়ে সবচেয়ে সহজ, জনপ্রিয় ও পর্যটকবান্ধব পরিবহন দোহা মেট্রোরেল থেকে শুরু করে নতুন বিমানবন্দর নির্মাণ ও সম্প্রসারণ প্রকল্প এবং শতাধিক হোটেল ও পর্যটনকেন্দ্র এবং সাগরসৈকত তৈরি ও শোভাবর্ধনে দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করেছেন লাখো বাংলাদেশি শ্রমিক।
এই অবদানের কথা বলতে গেলে সংক্ষিপ্ত পরিসারে তা শুধু তালিকা দিয়েও বোঝানো সম্ভব নয়। আজকের দোহাসহ পুরো কাতারে দৃশ্যমান ঝকঝকে সুপ্রশস্ত সুবিশাল মহাসড়ক থেকে শুরু করে উড়াল সেতু, টানেল এবং সবচেয়ে আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব শহর লুসাইল সিটি নির্মাণে বাংলাদেশিদের অবদান মোটেও তুচ্ছ করে দেখার মতো নয়।
কাতারি কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন কর্তাব্যক্তিরা তাই নানা সময়ে নিজেদের তরফেই স্বীকার করেছেন এই অবদানের কথা। বলেছেন, কাতারের এ উন্নয়নযাত্রায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের অবদান অবিস্মরণীয়।
আজ কাতার বিশ্বকাপ শুরুর এই আনন্দঘন সময়ে কাতারপ্রবাসী অনেক তরুণ নিজেদের ফেসবুক টাইমলাইনে শেয়ার করছেন বিভিন্ন স্টেডিয়াম নির্মাণে তাদের দিনগুলোর স্মৃতিছবি। বেশ গৌরবের সঙ্গে তাঁরা বলছেন, এ বিশ্বকাপের সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমার কত প্রহর।
এমনই একজন ঢাকার সূত্রাপুরের তরুণ কাতারপ্রবাসী আবদুল রহিম বাদশা (২৭)। আজকের পত্রিকাকে নিজের অনুভূতি জানিয়ে বললেন, ‘এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে কাজ করেছিলাম। আজ সেই স্টেডিয়ামসহ কাতারের সব স্টেডিয়াম বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত। ভাবতেই ভালো লাগছে।’
শুধু বিশ্বকাপকেন্দ্রিক প্রস্তুতি পর্ব নয়, বরং এখন এ বিশ্বকাপ সফল করে তোলার প্রতিটি ধাপেও আছে বাংলাদেশি তরুণ স্বেচ্ছাসেবকদের অবদান। শত শত কাতারপ্রবাসী তরুণ এখন ফিফার নিবন্ধিত স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে আট স্টেডিয়ামসহ বিমানবন্দর এবং অন্যান্য স্থাপনায় স্বেচ্ছাশ্রম দিচ্ছেন বিরামহীন।
কাতারের বাংলাদেশ দূতাবাসের বর্তমান চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ড. মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বিশ্বকাপের প্রস্তুতি পর্ব থেকে শুরু করে সফল করে তোলার প্রতিটি ধাপে বাংলাদেশিদের অবদান আমি মনে করি সর্বোচ্চ। এখন কাতারে বাংলাদেশি তরুণদের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ভূমিকা পালনের পাশাপাশি বিদেশি দর্শকদের জন্য যেসব ফ্যান জোন তৈরি করা হয়েছে, সেখানেও বাংলাদেশি প্রবাসীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা থাকছে। এমন অনেক আয়োজনের মাধ্যমে কাতার বিশ্বকাপ বাংলাদেশি প্রবাসীদের স্মৃতিতে যুগ যুগ ধরে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
কাতারে বিশ্বকাপ দেখতে আসছেন যে লাখো দর্শক, তাঁরা বিমানবন্দরে নামার পর থেকে যেদিকেই তাকাবেন বাংলাদেশের প্রবল উপস্থিতি টের পাবেন। ট্যাক্সিচালক থেকে শুরু করে দোকানের কর্মী—কোথায় নেই বাংলাদেশি?
কাতার বিশ্বকাপে এমন অনেক কিছু ঘটছে, যেটা নানা হিসাব ও পরিসংখ্যানে এবারই প্রথম। সেসব তথ্য পাঠকেরা জানেন বেশ আগে থেকে এবং ভালোভাবেই। তবে এর বাইরেও কিছু বিষয় এমন রয়ে গেছে, যেটা এ বিশ্বকাপের দেশে বাস না করলে হয়তো অনুভব করা কঠিন।
ইতিহাসে আর কোনো ফুটবল বিশ্বকাপ কি এমন অতীতে হয়েছে যেখানে এত বেশিসংখ্যক বাংলাদেশি শ্রমিকের অবদান মিশে আছে? এ কাতার বিশ্বকাপের প্রতিটি পর্বের অজস্র স্মৃতি এখন কাতারপ্রবাসী বাংলাদেশিদের মনে শিহরণ জাগাচ্ছে।
সংক্ষেপে বলা চলে, এ বিশ্বকাপই কাতারে বাংলাদেশি কর্মীদের শ্রমবাজার ব্যাপকভাবে খুলে দেওয়ার একমাত্র উপলক্ষ হয়ে ছিল গত এক যুগ ধরে। ঠিক এ মুহূর্তে কাতারে প্রায় সাড়ে চার লাখ বাংলাদেশির যে সমৃদ্ধ বসবাস, এর দুই-তৃতীয়াংশের আগমন ঘটেছে কাতার বিশ্বকাপকেন্দ্রিক শ্রমবাজারে।
নয়তো ২০১০ সালের আগে এ কাতারে বাংলাদেশি কর্মীর বসবাস ছিল অন্য দেশের অভিবাসীর মতোই। বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার গৌরব লাভের পর কাতারে যে বিপুল কর্মযজ্ঞ শুরু হয়, তাতে হাতেগোনা যে দু-একটি দেশের লাখো শ্রমিক কাতারে আসেন, এর মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষে।
শুধু কি কাতারে বিশ্বকাপের আটটি স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজে বাংলাদেশিদের অবদান? মোটেও তা নয়। বরং বাংলাদেশের মেধা ও শ্রম মিশে আছে এ দেশের আরও অনেক অবকাঠামোগত নির্মাণকাজে।
কাতারে এ সময়ে সবচেয়ে সহজ, জনপ্রিয় ও পর্যটকবান্ধব পরিবহন দোহা মেট্রোরেল থেকে শুরু করে নতুন বিমানবন্দর নির্মাণ ও সম্প্রসারণ প্রকল্প এবং শতাধিক হোটেল ও পর্যটনকেন্দ্র এবং সাগরসৈকত তৈরি ও শোভাবর্ধনে দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করেছেন লাখো বাংলাদেশি শ্রমিক।
এই অবদানের কথা বলতে গেলে সংক্ষিপ্ত পরিসারে তা শুধু তালিকা দিয়েও বোঝানো সম্ভব নয়। আজকের দোহাসহ পুরো কাতারে দৃশ্যমান ঝকঝকে সুপ্রশস্ত সুবিশাল মহাসড়ক থেকে শুরু করে উড়াল সেতু, টানেল এবং সবচেয়ে আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব শহর লুসাইল সিটি নির্মাণে বাংলাদেশিদের অবদান মোটেও তুচ্ছ করে দেখার মতো নয়।
কাতারি কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন কর্তাব্যক্তিরা তাই নানা সময়ে নিজেদের তরফেই স্বীকার করেছেন এই অবদানের কথা। বলেছেন, কাতারের এ উন্নয়নযাত্রায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের অবদান অবিস্মরণীয়।
আজ কাতার বিশ্বকাপ শুরুর এই আনন্দঘন সময়ে কাতারপ্রবাসী অনেক তরুণ নিজেদের ফেসবুক টাইমলাইনে শেয়ার করছেন বিভিন্ন স্টেডিয়াম নির্মাণে তাদের দিনগুলোর স্মৃতিছবি। বেশ গৌরবের সঙ্গে তাঁরা বলছেন, এ বিশ্বকাপের সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমার কত প্রহর।
এমনই একজন ঢাকার সূত্রাপুরের তরুণ কাতারপ্রবাসী আবদুল রহিম বাদশা (২৭)। আজকের পত্রিকাকে নিজের অনুভূতি জানিয়ে বললেন, ‘এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে কাজ করেছিলাম। আজ সেই স্টেডিয়ামসহ কাতারের সব স্টেডিয়াম বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত। ভাবতেই ভালো লাগছে।’
শুধু বিশ্বকাপকেন্দ্রিক প্রস্তুতি পর্ব নয়, বরং এখন এ বিশ্বকাপ সফল করে তোলার প্রতিটি ধাপেও আছে বাংলাদেশি তরুণ স্বেচ্ছাসেবকদের অবদান। শত শত কাতারপ্রবাসী তরুণ এখন ফিফার নিবন্ধিত স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে আট স্টেডিয়ামসহ বিমানবন্দর এবং অন্যান্য স্থাপনায় স্বেচ্ছাশ্রম দিচ্ছেন বিরামহীন।
কাতারের বাংলাদেশ দূতাবাসের বর্তমান চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ড. মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বিশ্বকাপের প্রস্তুতি পর্ব থেকে শুরু করে সফল করে তোলার প্রতিটি ধাপে বাংলাদেশিদের অবদান আমি মনে করি সর্বোচ্চ। এখন কাতারে বাংলাদেশি তরুণদের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ভূমিকা পালনের পাশাপাশি বিদেশি দর্শকদের জন্য যেসব ফ্যান জোন তৈরি করা হয়েছে, সেখানেও বাংলাদেশি প্রবাসীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা থাকছে। এমন অনেক আয়োজনের মাধ্যমে কাতার বিশ্বকাপ বাংলাদেশি প্রবাসীদের স্মৃতিতে যুগ যুগ ধরে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
কাতারে বিশ্বকাপ দেখতে আসছেন যে লাখো দর্শক, তাঁরা বিমানবন্দরে নামার পর থেকে যেদিকেই তাকাবেন বাংলাদেশের প্রবল উপস্থিতি টের পাবেন। ট্যাক্সিচালক থেকে শুরু করে দোকানের কর্মী—কোথায় নেই বাংলাদেশি?
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে