মানবর্দ্ধন পাল
১৫ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে ২০২৪ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত ১০ জনের নাম প্রকাশ করেছে। তাতে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধক্ষেত্রে তিনজন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে একজন, ক্রীড়াক্ষেত্রে একজন, সংস্কৃতিতে একজন, চিকিৎসাবিদ্যায় একজন এবং সমাজসেবা জনসেবায় ঘোষিত হয়েছে তিনজনের নাম। আমরা তাঁদের অভিনন্দন জানাই। তবে সর্বক্ষেত্রে নিরঙ্কুশভাবে সবাইকে অভিনন্দন জানাতে পারছি না বলে দুঃখিত। কেন পারছি না, সে কথাই স্পষ্ট করে বলি।
আমরা জানি স্বাধীনতা পুরস্কার বাংলাদেশের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার। বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃতিত্বপূর্ণ অবদান এবং মুক্তিযুদ্ধে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার জন্য জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের মধ্য থেকে তুলনামূলক সেরা ১০ জনকে প্রতিবছর স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করা হয়। স্বাধীনতাযুদ্ধের বীর শহীদদের পুণ্য স্মৃতির স্মরণে ১৯৭৭ সাল থেকে রাষ্ট্র এই পুরস্কার প্রদান করছে। একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে পদক কমিটি বাছাইকৃত নামের তালিকা মন্ত্রিপরিষদে উত্থাপন করে। পরে সেটি প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে প্রকাশিত হয়। প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে সেই পুরস্কার প্রদান করেন।
এবার নাম ঘোষণার পর থেকে সমাজসেবা জনসেবায় ঘোষিত একটি নাম সম্পর্কে প্রথম কানাঘুষা ও ফিসফাস শুরু হয় এবং ক্রমান্বয়ে তা গুঞ্জনে রূপ নেয়। সেই থেকে ফেসবুক, বিভিন্ন যোগাযোগমাধ্যম ও পত্রপত্রিকায় একটি নামের বিষয়ে নানা রকম আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। সেই সমালোচনা ক্রমেই প্রতিবাদে রূপ নিয়েছে। সরাসরিই বলা যায়, সেই নামটি হলো অরণ্য চিরান। তিনি ১৯৭৫ সালের ২০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার দীঘলবাড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৮ সালে নাসিরাবাদ কলেজ থেকে এইচএসসি ও ২০০০ সালে ডিপ্লোমা করেন। ২০০২ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত একটি মিশনারি স্কুলে শিক্ষকতা করেন তিনি। পরে এনজিওকর্মী হিসেবে স্থায়ী কর্মজীবন শুরু। বর্তমানে তিনি দ্বিধাবিভক্ত ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের একাংশের সভাপতি।
ময়মনসিংহের উত্তরাঞ্চলে আমার কয়েকজন ফেসবুক বন্ধুর পোস্ট থেকে জানা যায়, এনজিওর চাকরি করে কয়েকটি প্রচারমূলক বই তিনি লিখেছেন। সেই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কিছু মানুষকে বার্ষিক সাহায্য-সহযোগিতা এবং বিশেষভাবে ময়মনসিংহের উত্তরাঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কিছু গারো শিক্ষার্থীকে শিক্ষা-উপকরণ দেওয়া ছাড়া আর কোনো সামাজিক কাজ বা জনসেবামূলক কর্মের উদাহরণ তাঁর আছে বলে জানা যায় না! সত্যিকার অর্থে এই যদি হয় অরণ্য চিরানের সমাজসেবামূলক কর্মের নমুনা, তবে এমন শত শত সমাজসেবী দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে আছে। এমন ‘সমাজসেবী’ অনুসন্ধানের জন্য বিশেষ কমিটির প্রয়োজন নেই। সাধারণের চোখেই তা দিবালোকের মতো সুস্পষ্ট। তাই এ বছর অরণ্য চিরানের নাম স্বাধীনতা পুরস্কারের তালিকায় মুদ্রিত হওয়ায় সচেতন মানুষের মনে প্রশ্ন জেগেছে। অনেকে ফেসবুকে সমালোচনা করছেন, নিন্দার ঝড় উঠিয়েছেন এবং পত্রপত্রিকার মাধ্যমে তাঁর নাম পুনর্বিবেচনার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছেন।
সঞ্জীব দ্রং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ও বিশিষ্ট লেখক। তিনি সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘অতি সম্মানের ও মর্যাদার স্বাধীনতা পদক দেওয়ার মধ্যে একটি প্রক্রিয়াগত সমস্যা আছে। তা হলো এই পুরস্কারের জন্য আবেদন করতে হয়। প্রকৃত সম্মানীয় ব্যক্তিদের অনেকে আবেদন করেন না। কখনো করবেনও না। ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠীদের কাউকে যদি এই পদক দিতে হয়, অনেক যোগ্য ও সর্বজনশ্রদ্ধেয় সিনিয়র ব্যক্তিকে দেওয়া উচিত। বীর বিক্রম বা বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারাও আছেন। নিরপেক্ষ তদন্ত হলে পরিষ্কার হবে যে অরণ্য চিরান কোনোভাবেই রাষ্ট্রীয় এই পুরস্কারের যোগ্য নন। তাঁর পদকপ্রাপ্তির খবরে আমাদের সমাজ স্তম্ভিত হয়ে গেছে।’
তা ছাড়া ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের অন্য একাংশের চেয়ারম্যান সুবাস চন্দ্র বর্মণ অরণ্য চিরানকে ‘বিতর্কিত ও দুর্নীতিবাজ’ আখ্যা দিয়ে তাঁর পদক বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। সুবাস চন্দ্র বর্মণ ১৬ মার্চ অরণ্য চিরানের পদক বাতিলের জন্য ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ময়মনসিংহ মহানগর শাখার সম্পাদক আলী ইউসুফ বলেন, ‘অরণ্য চিরান স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হওয়ার খবরে আমি বিস্মিত। এ পুরস্কার যাকে-তাকে দেওয়া যায় না। স্বাধীনতা পুরস্কারের তালিকা থেকে অরণ্য চিরানের নাম প্রত্যাহার করা হোক।’
২০২৪-এর স্বাধীনতা পুরস্কার নিয়ে এমন ক্ষোভ, প্রতিক্রিয়া ও প্রতিবাদ আরও ব্যাপক মানুষের মধ্যে লক্ষ করা যাচ্ছে। অবশ্য এটা নতুন কিছু নয়। সরকার নিয়ন্ত্রিত যে পদক নির্বাচন কমিটি এ কাজটি প্রতিবছর সম্পন্ন করে, বিগত বছরগুলোতে তাদের হেলাফেলা এবং অযোগ্যতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। স্বাধীনতা পুরস্কারের মতো আমাদের জাতিরাষ্ট্রের সর্বোত্তম পদকের সুযোগ্য প্রাপক মনোনয়নে স্বজন ও পেশা প্রীতির লজ্জাজনক পরিচয়ও পাওয়া গেছে। তাই লক্ষ করা যায়, ২০২০ ও ২০২২ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত এস এম রইজ উদ্দিন আহম্মদ ও আমির হামজার নাম ঘোষিত হওয়ার পর সমালোচনার মুখে সেই সব নাম বাতিল করা হয়েছে। সেসব খবর সর্বজনবিদিত। স্বজনপ্রীতি, সংকীর্ণতা ও আত্মিক দীনতা মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের নামে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কারটির গুরুত্ব ম্লান করে জাতিকে একাধিকবার কলঙ্কিত করেছে। সেই কলঙ্কের পুনরাবৃত্তি যাতে না-ঘটে, সেই পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য স্বাধীনতা পুরস্কার কর্তৃপক্ষ এবং সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
লেখক: শিক্ষাবিদ ও প্রাবন্ধিক
১৫ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে ২০২৪ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত ১০ জনের নাম প্রকাশ করেছে। তাতে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধক্ষেত্রে তিনজন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে একজন, ক্রীড়াক্ষেত্রে একজন, সংস্কৃতিতে একজন, চিকিৎসাবিদ্যায় একজন এবং সমাজসেবা জনসেবায় ঘোষিত হয়েছে তিনজনের নাম। আমরা তাঁদের অভিনন্দন জানাই। তবে সর্বক্ষেত্রে নিরঙ্কুশভাবে সবাইকে অভিনন্দন জানাতে পারছি না বলে দুঃখিত। কেন পারছি না, সে কথাই স্পষ্ট করে বলি।
আমরা জানি স্বাধীনতা পুরস্কার বাংলাদেশের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার। বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃতিত্বপূর্ণ অবদান এবং মুক্তিযুদ্ধে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার জন্য জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের মধ্য থেকে তুলনামূলক সেরা ১০ জনকে প্রতিবছর স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করা হয়। স্বাধীনতাযুদ্ধের বীর শহীদদের পুণ্য স্মৃতির স্মরণে ১৯৭৭ সাল থেকে রাষ্ট্র এই পুরস্কার প্রদান করছে। একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে পদক কমিটি বাছাইকৃত নামের তালিকা মন্ত্রিপরিষদে উত্থাপন করে। পরে সেটি প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে প্রকাশিত হয়। প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে সেই পুরস্কার প্রদান করেন।
এবার নাম ঘোষণার পর থেকে সমাজসেবা জনসেবায় ঘোষিত একটি নাম সম্পর্কে প্রথম কানাঘুষা ও ফিসফাস শুরু হয় এবং ক্রমান্বয়ে তা গুঞ্জনে রূপ নেয়। সেই থেকে ফেসবুক, বিভিন্ন যোগাযোগমাধ্যম ও পত্রপত্রিকায় একটি নামের বিষয়ে নানা রকম আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। সেই সমালোচনা ক্রমেই প্রতিবাদে রূপ নিয়েছে। সরাসরিই বলা যায়, সেই নামটি হলো অরণ্য চিরান। তিনি ১৯৭৫ সালের ২০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার দীঘলবাড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৮ সালে নাসিরাবাদ কলেজ থেকে এইচএসসি ও ২০০০ সালে ডিপ্লোমা করেন। ২০০২ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত একটি মিশনারি স্কুলে শিক্ষকতা করেন তিনি। পরে এনজিওকর্মী হিসেবে স্থায়ী কর্মজীবন শুরু। বর্তমানে তিনি দ্বিধাবিভক্ত ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের একাংশের সভাপতি।
ময়মনসিংহের উত্তরাঞ্চলে আমার কয়েকজন ফেসবুক বন্ধুর পোস্ট থেকে জানা যায়, এনজিওর চাকরি করে কয়েকটি প্রচারমূলক বই তিনি লিখেছেন। সেই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কিছু মানুষকে বার্ষিক সাহায্য-সহযোগিতা এবং বিশেষভাবে ময়মনসিংহের উত্তরাঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কিছু গারো শিক্ষার্থীকে শিক্ষা-উপকরণ দেওয়া ছাড়া আর কোনো সামাজিক কাজ বা জনসেবামূলক কর্মের উদাহরণ তাঁর আছে বলে জানা যায় না! সত্যিকার অর্থে এই যদি হয় অরণ্য চিরানের সমাজসেবামূলক কর্মের নমুনা, তবে এমন শত শত সমাজসেবী দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে আছে। এমন ‘সমাজসেবী’ অনুসন্ধানের জন্য বিশেষ কমিটির প্রয়োজন নেই। সাধারণের চোখেই তা দিবালোকের মতো সুস্পষ্ট। তাই এ বছর অরণ্য চিরানের নাম স্বাধীনতা পুরস্কারের তালিকায় মুদ্রিত হওয়ায় সচেতন মানুষের মনে প্রশ্ন জেগেছে। অনেকে ফেসবুকে সমালোচনা করছেন, নিন্দার ঝড় উঠিয়েছেন এবং পত্রপত্রিকার মাধ্যমে তাঁর নাম পুনর্বিবেচনার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছেন।
সঞ্জীব দ্রং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ও বিশিষ্ট লেখক। তিনি সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘অতি সম্মানের ও মর্যাদার স্বাধীনতা পদক দেওয়ার মধ্যে একটি প্রক্রিয়াগত সমস্যা আছে। তা হলো এই পুরস্কারের জন্য আবেদন করতে হয়। প্রকৃত সম্মানীয় ব্যক্তিদের অনেকে আবেদন করেন না। কখনো করবেনও না। ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠীদের কাউকে যদি এই পদক দিতে হয়, অনেক যোগ্য ও সর্বজনশ্রদ্ধেয় সিনিয়র ব্যক্তিকে দেওয়া উচিত। বীর বিক্রম বা বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারাও আছেন। নিরপেক্ষ তদন্ত হলে পরিষ্কার হবে যে অরণ্য চিরান কোনোভাবেই রাষ্ট্রীয় এই পুরস্কারের যোগ্য নন। তাঁর পদকপ্রাপ্তির খবরে আমাদের সমাজ স্তম্ভিত হয়ে গেছে।’
তা ছাড়া ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের অন্য একাংশের চেয়ারম্যান সুবাস চন্দ্র বর্মণ অরণ্য চিরানকে ‘বিতর্কিত ও দুর্নীতিবাজ’ আখ্যা দিয়ে তাঁর পদক বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। সুবাস চন্দ্র বর্মণ ১৬ মার্চ অরণ্য চিরানের পদক বাতিলের জন্য ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ময়মনসিংহ মহানগর শাখার সম্পাদক আলী ইউসুফ বলেন, ‘অরণ্য চিরান স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হওয়ার খবরে আমি বিস্মিত। এ পুরস্কার যাকে-তাকে দেওয়া যায় না। স্বাধীনতা পুরস্কারের তালিকা থেকে অরণ্য চিরানের নাম প্রত্যাহার করা হোক।’
২০২৪-এর স্বাধীনতা পুরস্কার নিয়ে এমন ক্ষোভ, প্রতিক্রিয়া ও প্রতিবাদ আরও ব্যাপক মানুষের মধ্যে লক্ষ করা যাচ্ছে। অবশ্য এটা নতুন কিছু নয়। সরকার নিয়ন্ত্রিত যে পদক নির্বাচন কমিটি এ কাজটি প্রতিবছর সম্পন্ন করে, বিগত বছরগুলোতে তাদের হেলাফেলা এবং অযোগ্যতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। স্বাধীনতা পুরস্কারের মতো আমাদের জাতিরাষ্ট্রের সর্বোত্তম পদকের সুযোগ্য প্রাপক মনোনয়নে স্বজন ও পেশা প্রীতির লজ্জাজনক পরিচয়ও পাওয়া গেছে। তাই লক্ষ করা যায়, ২০২০ ও ২০২২ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত এস এম রইজ উদ্দিন আহম্মদ ও আমির হামজার নাম ঘোষিত হওয়ার পর সমালোচনার মুখে সেই সব নাম বাতিল করা হয়েছে। সেসব খবর সর্বজনবিদিত। স্বজনপ্রীতি, সংকীর্ণতা ও আত্মিক দীনতা মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের নামে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কারটির গুরুত্ব ম্লান করে জাতিকে একাধিকবার কলঙ্কিত করেছে। সেই কলঙ্কের পুনরাবৃত্তি যাতে না-ঘটে, সেই পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য স্বাধীনতা পুরস্কার কর্তৃপক্ষ এবং সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
লেখক: শিক্ষাবিদ ও প্রাবন্ধিক
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে