সম্পাদকীয়
রংপুরের সফিয়ার রহমান ও শাহ মো. মেহেদী হাসান। এই পরিচয়ে একদিন দুই ব্যক্তি আসেন তিস্তার চরে। উদ্দেশ্য—সেখানে সোলার প্যানেল তৈরির কারখানা নির্মাণ করবেন। হ্যাঁ, এমনটাই তাঁরা বলেন স্থানীয় ব্যক্তিদের। কেউ কেউ তাঁদের প্রস্তাবে রাজিও হয়ে যান। তাঁদের শুধু ‘কোম্পানি’র কাছে নিজেদের জমি বিক্রি করতে হবে। কোন ‘কোম্পানি’, সেটা অবশ্য জানার জন্য তাঁরা মাথা ঘামাননি তখন। তাঁরা আমমোক্তারনামা বা পাওয়ার অব অ্যাটর্নির নামে স্বাক্ষর দিয়ে দেন সফিয়ার ও মেহেদীকে। এরপর তাঁদের অজান্তে সফিয়ার ও মেহেদী জাল দলিল তৈরি করে লিখে নেন চরের ১ হাজার ৩৯ একর জমি, যার বাজারমূল্য প্রায় শতকোটি টাকা!
এটি কোনো সিনেমার গল্প নয়। ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারীর ডিমলার তিস্তার চরে। সেখানে বাস করে প্রায় দুই হাজার পরিবার। সবাই এখন জমি হারিয়ে নিঃস্ব। পুরো তিস্তার চরের জমির মালিক এখন সফিয়ার ও মেহেদী। শুধু কৃষিজমি নয়, অনেকের বাড়ির নতুন মালিকও তাঁরা।
তিস্তার চরের জমি বেহাত হওয়ার এই ঘটনা ঘটেছে বেশ কিছুদিন আগে। জুনের ২২ তারিখ রাতে সফিয়ার ও মেহেদী তাঁদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ১০-১২ জনের স্বাক্ষর নিয়েছেন। মোট ২৭ জনের মধ্যে বাকিদের স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। যাঁদের স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে, তাঁরা নিজেরাই জানেন না জমি বেচাকেনার কথা। জমির প্রকৃত মালিকেরা প্রতারণার ব্যাপারটি জানতে পারেন আগস্ট মাসের মাঝামাঝি। এরপর তাঁরা উপজেলা ও জেলা প্রশাসনে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, তিনি অভিযোগের কপি পাননি, পেলেই ব্যবস্থা নেবেন।
শুধু সফিয়ার ও মেহেদীর পক্ষে তো এ কাজ করা সম্ভব নয়, নিশ্চয়ই তাঁদের সহযোগিতা করেছেন ডিমলার সাবরেজিস্ট্রার মনিষা রায় এবং দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মতিউর রহমান চৌধুরী; এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। ভূমি অফিস ও স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যায়, দলিল লেখক মতিউর রহমান চৌধুরীর সম্পাদনায় পাঁচটি দলিলের মাধ্যমে জমি হস্তান্তর হয়।
স্থানীয় ব্যক্তিদের আরও একটি অভিযোগ—ডিমলা উপজেলায় জাল দলিলের একটি চক্র সৃষ্টি হয়েছে। এর আগেও অনেকে এই চক্রের প্রতারণার শিকার হয়েছেন। প্রতিবাদ করলেই মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। তাহলে কেন চরবাসী একটু সতর্ক থাকলেন না? খালি কাগজে স্বাক্ষর না করা আর দলিল পড়ে স্বাক্ষর করার সতর্কবাণী কিন্তু পুরোনো।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা কেউই দায় স্বীকার করেননি। তাঁরা কি নিজেদের খুব ক্ষমতাধর ভাবছেন? আর এমনটা হলেই কি যে কারও সঙ্গে জুলুম বা প্রতারণা করা যায়? আশা করি, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ছলচাতুরী করা প্রতারকেরা ধরা পড়বে। তবে হয়রানির শিকার হয়ে স্থানীয়দের পিছিয়ে গেলে চলবে না, সতর্ক থাকতে হবে তাঁদেরও। এক জোট হয়ে সমবেত প্রতিবাদই পারে ছলচাতুরীর মতো যেকোনো অপরাধকে সমূলে উপড়ে ফেলতে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও অপরাধ দমনে উদ্যোগী হতে হবে। প্রশাসনের কাছে এই প্রত্যাশা কি অন্যায্য?
রংপুরের সফিয়ার রহমান ও শাহ মো. মেহেদী হাসান। এই পরিচয়ে একদিন দুই ব্যক্তি আসেন তিস্তার চরে। উদ্দেশ্য—সেখানে সোলার প্যানেল তৈরির কারখানা নির্মাণ করবেন। হ্যাঁ, এমনটাই তাঁরা বলেন স্থানীয় ব্যক্তিদের। কেউ কেউ তাঁদের প্রস্তাবে রাজিও হয়ে যান। তাঁদের শুধু ‘কোম্পানি’র কাছে নিজেদের জমি বিক্রি করতে হবে। কোন ‘কোম্পানি’, সেটা অবশ্য জানার জন্য তাঁরা মাথা ঘামাননি তখন। তাঁরা আমমোক্তারনামা বা পাওয়ার অব অ্যাটর্নির নামে স্বাক্ষর দিয়ে দেন সফিয়ার ও মেহেদীকে। এরপর তাঁদের অজান্তে সফিয়ার ও মেহেদী জাল দলিল তৈরি করে লিখে নেন চরের ১ হাজার ৩৯ একর জমি, যার বাজারমূল্য প্রায় শতকোটি টাকা!
এটি কোনো সিনেমার গল্প নয়। ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারীর ডিমলার তিস্তার চরে। সেখানে বাস করে প্রায় দুই হাজার পরিবার। সবাই এখন জমি হারিয়ে নিঃস্ব। পুরো তিস্তার চরের জমির মালিক এখন সফিয়ার ও মেহেদী। শুধু কৃষিজমি নয়, অনেকের বাড়ির নতুন মালিকও তাঁরা।
তিস্তার চরের জমি বেহাত হওয়ার এই ঘটনা ঘটেছে বেশ কিছুদিন আগে। জুনের ২২ তারিখ রাতে সফিয়ার ও মেহেদী তাঁদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ১০-১২ জনের স্বাক্ষর নিয়েছেন। মোট ২৭ জনের মধ্যে বাকিদের স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। যাঁদের স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে, তাঁরা নিজেরাই জানেন না জমি বেচাকেনার কথা। জমির প্রকৃত মালিকেরা প্রতারণার ব্যাপারটি জানতে পারেন আগস্ট মাসের মাঝামাঝি। এরপর তাঁরা উপজেলা ও জেলা প্রশাসনে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, তিনি অভিযোগের কপি পাননি, পেলেই ব্যবস্থা নেবেন।
শুধু সফিয়ার ও মেহেদীর পক্ষে তো এ কাজ করা সম্ভব নয়, নিশ্চয়ই তাঁদের সহযোগিতা করেছেন ডিমলার সাবরেজিস্ট্রার মনিষা রায় এবং দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মতিউর রহমান চৌধুরী; এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। ভূমি অফিস ও স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যায়, দলিল লেখক মতিউর রহমান চৌধুরীর সম্পাদনায় পাঁচটি দলিলের মাধ্যমে জমি হস্তান্তর হয়।
স্থানীয় ব্যক্তিদের আরও একটি অভিযোগ—ডিমলা উপজেলায় জাল দলিলের একটি চক্র সৃষ্টি হয়েছে। এর আগেও অনেকে এই চক্রের প্রতারণার শিকার হয়েছেন। প্রতিবাদ করলেই মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। তাহলে কেন চরবাসী একটু সতর্ক থাকলেন না? খালি কাগজে স্বাক্ষর না করা আর দলিল পড়ে স্বাক্ষর করার সতর্কবাণী কিন্তু পুরোনো।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা কেউই দায় স্বীকার করেননি। তাঁরা কি নিজেদের খুব ক্ষমতাধর ভাবছেন? আর এমনটা হলেই কি যে কারও সঙ্গে জুলুম বা প্রতারণা করা যায়? আশা করি, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ছলচাতুরী করা প্রতারকেরা ধরা পড়বে। তবে হয়রানির শিকার হয়ে স্থানীয়দের পিছিয়ে গেলে চলবে না, সতর্ক থাকতে হবে তাঁদেরও। এক জোট হয়ে সমবেত প্রতিবাদই পারে ছলচাতুরীর মতো যেকোনো অপরাধকে সমূলে উপড়ে ফেলতে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও অপরাধ দমনে উদ্যোগী হতে হবে। প্রশাসনের কাছে এই প্রত্যাশা কি অন্যায্য?
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২১ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে