তাসনীম হাসান, চট্টগ্রাম
কোর্ট হিল ইস্যুতে আবারও সরব হয়েছেন চট্টগ্রামের আইনজীবী নেতারা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দুই মন্ত্রীর কাছ থেকে ‘সবুজ সংকেত’ পাওয়ার পর এখন নতুন নতুন কর্মসূচি দিয়ে জেলা প্রশাসনের ওপর চাপ তৈরি করতে চান তাঁরা। এর অংশ হিসেবে গত মঙ্গলবার প্রতিবাদ সমাবেশ করে আইনজীবী সমিতি।
দ্বন্দ্বের শুরুটা চার মাস আগে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি কোর্ট হিলে নতুন করে দুটি ভবন নির্মাণে উদ্যোগ নেয়। এতে বাধা দেয় জেলা প্রশাসন। এর প্রতিবাদে সরব হন আইনজীবীরা। জেলা প্রশাসনও নিজেদের সিদ্ধান্তে থেকেছে অনড়। দুপক্ষের সেই দ্বন্দ্ব গড়ায় আদালতে। তবে নভেম্বরের শেষের দিকে আইনজীবীদের পাঁচটি ভবনসহ ‘অবৈধ’ ৩৫০টি স্থাপনা সরাতে অন্তত ২৫ দপ্তর থেকে চিঠির দেওয়া হয়।
গত শনিবার জেলা আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে মিলনমেলা হয়। ওই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কোর্ট হিল নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব আইনজীবীরা যেভাবে মোকাবিলা করছেন তার প্রশংসা করেন। বলেন, ‘আপনারা যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং সেটি যেভাবে ধৈর্যের সঙ্গে আইনিভাবে মোকাবিলা করছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আপনারা ভালো ব্যবহার দেখিয়েছেন।’ এই দ্বন্দ্ব শিগগির সমাধান করার ঘোষণাও দেন আইনমন্ত্রী। একই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দিতে গিয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলও দ্রুত বিরোধ নিরসন করা হবে বলে জানান।
আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মিলনমেলা অনুষ্ঠানে দুই মন্ত্রীর বক্তব্যকে তাঁরা নিজেদের পক্ষে ‘সবুজ সংকেত’ হিসেবে দেখছেন। এত দিন ধরে তাঁরা এমন কিছুর অপেক্ষাতেই ছিলেন। কেননা এত দিন সব সিদ্ধান্ত আইনজীবীদের বিপক্ষে গেছে। দুই মন্ত্রীর বক্তব্যে আশার আলো দেখে নিজেদের দাবিতে আবারও ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন তাঁরা।
দুটি ভবন নির্মাণ বাধা দেওয়ার পর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইনজীবীদের চলাচল সীমিত করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের খোলা জায়গায় আগে আইনজীবীসহ কোর্ট হিলে আসা মানুষজন গাড়ি পার্কিং করতেন। তবে গত বছরের নভেম্বরে সেই জায়গাটিতে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ শুরু করে জেলা প্রশাসন। পরে ৩০ নভেম্বর জায়গাটি ঘিরে ‘শেখ রাসেল চত্বর’ নামকরণ করা হয়। এরপর থেকে এটি ‘দখলে’ রাখতে সেখানে নানা অনুষ্ঠান করে আসছে জেলা প্রশাসন। এই চত্বরের কারণে আইনজীবীদের হাঁটাচলা ও গাড়ি পার্কিংয়ের পথ অনেকটাই রুদ্ধ হয়ে গেছে। এত দিন বিষয়টি মুখ বুজে হজম করলেও মিলনমেলার পর এ নিয়ে কথা বলা শুরু করেছেন আইনজীবীরা।
মহানগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী জেলা প্রশাসককে ইঙ্গিত করে বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু পুত্র শেখ রাসেলের নাম করে একটি চত্বর করেছেন। এটা যদি ভালোবাসা থেকে করতেন, তাহলে মনকে বুঝাতাম। এটা করেছেন আইনজীবীদের দমাতে।’
জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম জিয়াউদ্দিনও একই কথা বলেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুজন মন্ত্রী মহোদয়ও আমাদের পক্ষে কথা বলেছেন। আমরা অবৈধভাবে ভবন করেছি—সেটি জেলা প্রশাসন বললে তো হবে না। আমরা প্রতিবন্ধকতা সরাতে তাঁদের সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছি। এর মধ্যে না সরালে আমরা সাধারণ বৈঠক ডেকে পুনরায় কর্মসূচি দেব।’
তবে আইনজীবীদের তৎপরতা নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অবৈধ স্থাপনা সরাতে অন্তত ২৫ দপ্তর চিঠি দিয়েছে। সে অনুযায়ী উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
কোর্ট হিল ইস্যুতে আবারও সরব হয়েছেন চট্টগ্রামের আইনজীবী নেতারা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দুই মন্ত্রীর কাছ থেকে ‘সবুজ সংকেত’ পাওয়ার পর এখন নতুন নতুন কর্মসূচি দিয়ে জেলা প্রশাসনের ওপর চাপ তৈরি করতে চান তাঁরা। এর অংশ হিসেবে গত মঙ্গলবার প্রতিবাদ সমাবেশ করে আইনজীবী সমিতি।
দ্বন্দ্বের শুরুটা চার মাস আগে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি কোর্ট হিলে নতুন করে দুটি ভবন নির্মাণে উদ্যোগ নেয়। এতে বাধা দেয় জেলা প্রশাসন। এর প্রতিবাদে সরব হন আইনজীবীরা। জেলা প্রশাসনও নিজেদের সিদ্ধান্তে থেকেছে অনড়। দুপক্ষের সেই দ্বন্দ্ব গড়ায় আদালতে। তবে নভেম্বরের শেষের দিকে আইনজীবীদের পাঁচটি ভবনসহ ‘অবৈধ’ ৩৫০টি স্থাপনা সরাতে অন্তত ২৫ দপ্তর থেকে চিঠির দেওয়া হয়।
গত শনিবার জেলা আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে মিলনমেলা হয়। ওই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কোর্ট হিল নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব আইনজীবীরা যেভাবে মোকাবিলা করছেন তার প্রশংসা করেন। বলেন, ‘আপনারা যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং সেটি যেভাবে ধৈর্যের সঙ্গে আইনিভাবে মোকাবিলা করছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আপনারা ভালো ব্যবহার দেখিয়েছেন।’ এই দ্বন্দ্ব শিগগির সমাধান করার ঘোষণাও দেন আইনমন্ত্রী। একই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দিতে গিয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলও দ্রুত বিরোধ নিরসন করা হবে বলে জানান।
আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মিলনমেলা অনুষ্ঠানে দুই মন্ত্রীর বক্তব্যকে তাঁরা নিজেদের পক্ষে ‘সবুজ সংকেত’ হিসেবে দেখছেন। এত দিন ধরে তাঁরা এমন কিছুর অপেক্ষাতেই ছিলেন। কেননা এত দিন সব সিদ্ধান্ত আইনজীবীদের বিপক্ষে গেছে। দুই মন্ত্রীর বক্তব্যে আশার আলো দেখে নিজেদের দাবিতে আবারও ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন তাঁরা।
দুটি ভবন নির্মাণ বাধা দেওয়ার পর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইনজীবীদের চলাচল সীমিত করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের খোলা জায়গায় আগে আইনজীবীসহ কোর্ট হিলে আসা মানুষজন গাড়ি পার্কিং করতেন। তবে গত বছরের নভেম্বরে সেই জায়গাটিতে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ শুরু করে জেলা প্রশাসন। পরে ৩০ নভেম্বর জায়গাটি ঘিরে ‘শেখ রাসেল চত্বর’ নামকরণ করা হয়। এরপর থেকে এটি ‘দখলে’ রাখতে সেখানে নানা অনুষ্ঠান করে আসছে জেলা প্রশাসন। এই চত্বরের কারণে আইনজীবীদের হাঁটাচলা ও গাড়ি পার্কিংয়ের পথ অনেকটাই রুদ্ধ হয়ে গেছে। এত দিন বিষয়টি মুখ বুজে হজম করলেও মিলনমেলার পর এ নিয়ে কথা বলা শুরু করেছেন আইনজীবীরা।
মহানগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী জেলা প্রশাসককে ইঙ্গিত করে বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু পুত্র শেখ রাসেলের নাম করে একটি চত্বর করেছেন। এটা যদি ভালোবাসা থেকে করতেন, তাহলে মনকে বুঝাতাম। এটা করেছেন আইনজীবীদের দমাতে।’
জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম জিয়াউদ্দিনও একই কথা বলেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুজন মন্ত্রী মহোদয়ও আমাদের পক্ষে কথা বলেছেন। আমরা অবৈধভাবে ভবন করেছি—সেটি জেলা প্রশাসন বললে তো হবে না। আমরা প্রতিবন্ধকতা সরাতে তাঁদের সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছি। এর মধ্যে না সরালে আমরা সাধারণ বৈঠক ডেকে পুনরায় কর্মসূচি দেব।’
তবে আইনজীবীদের তৎপরতা নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অবৈধ স্থাপনা সরাতে অন্তত ২৫ দপ্তর চিঠি দিয়েছে। সে অনুযায়ী উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে