হোসাইন আহাম্মেদ সুলভ, মুক্তাগাছা
মুক্তাগাছা উপজেলার কুমারগাতা ইউনিয়নের মালতিপুর গ্রামের একটি খাল পুনঃখননের কাজ না করেই সমাপ্তি ঘোষণার অভিযোগ উঠেছে। লাকরী বিল এলাকা থেকে কান্দুলিয়া পর্যন্ত খাল খনন নিয়ে এ অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে প্রকল্প পরিচালক (ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন প্রকল্প), ময়মনসিংহ অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী (ক্ষুদ্র সেচ), দুর্নীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মালতিপুর গ্রামের লাকরী বিলের খালটি কৃষি কাজ ও বর্ষা মৌসুমের পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রায় ১০টি গ্রামবাসীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খালটি বোরো মৌসুমে সেচের পানি সরবরাহের জন্য নির্ভরযোগ্য। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন কর্তৃক খালটি পুনরায় খননের জন্য ফরিদপুরের গোলাম মোহাম্মদ নাছিরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ পায়।
অভিযোগ উঠেছে, খালটি খনন করার সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খালের এক-তৃতীয়াংশ নামমাত্র খনন দেখিয়ে বাকি কাজ করেননি। ওই অংশে কোনো কাজ না করেই খনন সমাপ্ত করেন বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। তাঁরা বলছেন, টেন্ডারের শিডিউল অনুযায়ী গভীরতায় খনন করা হয়নি। সিংহভাগ অংশেই কোনো কাজই করেনি।
এতে শুকনা মৌসুমে খালে পানি না থাকায় কৃষকের বোরো আবাদে ব্যাঘাত ঘটছে। অন্যদিকে বর্ষা মৌসুমে ১০টি গ্রাম ও বিলের পানি নিষ্কাশনের ব্যাঘাত ঘটার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এতে আমন ফসল পানিতে ডুবে ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এতে এলাকার কৃষকেরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সরেজমিনে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণসহ খালটি টেন্ডার শিডিউল মোতাবেক খনন করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ওই এলাকার মুকলেছুর রহমান বলেন, ‘খাল নামমাত্র খননও করা হয়নি। এর ফলে আমাদের সুবিধার পরিবর্তে অসুবিধাই বেশি হচ্ছে।’ সঠিকভাবে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘ঠিকাদার টেন্ডারের শিডিউল অনুযায়ী যে গভীরতায় খনন করার কথা ছিল, তা না করে প্রকল্পের কাজ শেষ করেছেন। এর ফলে এ সময়ে খালে পানি না থাকায় বোরো আবাদে কৃষকের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।’
এ ব্যাপারে তত্ত্বাবধানের কাজে নিয়োজিত উপসহকারী প্রকৌশলী ইসরাইল হোসেনের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, প্রকল্পের জন্য প্রতি কিলোমিটারে ৯ লাখ টাকা বরাদ্দ। এ খালে প্রথম দেড় কিলোমিটার কাজের টেন্ডার হয়। পরে আরও দেড় কিলোমিটার কাজ হয়। এখন কিছু মানুষ এ নিয়ে অভিযোগ করেছেন শুনেছি। তবে আমি দেখিনি।’
ইজরাইল হোসেন আরও বলেন, ‘অভিযোগটি যে পুরোপুরি অসত্য, তা না। তবে যথাযথ নয়। কিছু অংশে ভেকু নেওয়া যায়নি। কচুরিপনাও জমে আছে। ঠিকাদারকে বলা হয়েছে, টুকটাক কাজ যা বাকি আছে তা যেন সম্পন্ন করে দেন।’ এখনো ঠিকাদারের কোনো বিল পরিশোধ করা হয়নি বলেও জানান তিনি।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল-মনসুর বলেন, ‘কুমারগাতা ইউনিয়নের মালতিপুর গ্রামের লাকরী বিলের খাল খননের অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। অনিয়মের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সত্যতা পেলে, অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
মুক্তাগাছা উপজেলার কুমারগাতা ইউনিয়নের মালতিপুর গ্রামের একটি খাল পুনঃখননের কাজ না করেই সমাপ্তি ঘোষণার অভিযোগ উঠেছে। লাকরী বিল এলাকা থেকে কান্দুলিয়া পর্যন্ত খাল খনন নিয়ে এ অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে প্রকল্প পরিচালক (ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন প্রকল্প), ময়মনসিংহ অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী (ক্ষুদ্র সেচ), দুর্নীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মালতিপুর গ্রামের লাকরী বিলের খালটি কৃষি কাজ ও বর্ষা মৌসুমের পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রায় ১০টি গ্রামবাসীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খালটি বোরো মৌসুমে সেচের পানি সরবরাহের জন্য নির্ভরযোগ্য। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন কর্তৃক খালটি পুনরায় খননের জন্য ফরিদপুরের গোলাম মোহাম্মদ নাছিরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ পায়।
অভিযোগ উঠেছে, খালটি খনন করার সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খালের এক-তৃতীয়াংশ নামমাত্র খনন দেখিয়ে বাকি কাজ করেননি। ওই অংশে কোনো কাজ না করেই খনন সমাপ্ত করেন বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। তাঁরা বলছেন, টেন্ডারের শিডিউল অনুযায়ী গভীরতায় খনন করা হয়নি। সিংহভাগ অংশেই কোনো কাজই করেনি।
এতে শুকনা মৌসুমে খালে পানি না থাকায় কৃষকের বোরো আবাদে ব্যাঘাত ঘটছে। অন্যদিকে বর্ষা মৌসুমে ১০টি গ্রাম ও বিলের পানি নিষ্কাশনের ব্যাঘাত ঘটার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এতে আমন ফসল পানিতে ডুবে ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এতে এলাকার কৃষকেরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সরেজমিনে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণসহ খালটি টেন্ডার শিডিউল মোতাবেক খনন করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ওই এলাকার মুকলেছুর রহমান বলেন, ‘খাল নামমাত্র খননও করা হয়নি। এর ফলে আমাদের সুবিধার পরিবর্তে অসুবিধাই বেশি হচ্ছে।’ সঠিকভাবে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘ঠিকাদার টেন্ডারের শিডিউল অনুযায়ী যে গভীরতায় খনন করার কথা ছিল, তা না করে প্রকল্পের কাজ শেষ করেছেন। এর ফলে এ সময়ে খালে পানি না থাকায় বোরো আবাদে কৃষকের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।’
এ ব্যাপারে তত্ত্বাবধানের কাজে নিয়োজিত উপসহকারী প্রকৌশলী ইসরাইল হোসেনের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, প্রকল্পের জন্য প্রতি কিলোমিটারে ৯ লাখ টাকা বরাদ্দ। এ খালে প্রথম দেড় কিলোমিটার কাজের টেন্ডার হয়। পরে আরও দেড় কিলোমিটার কাজ হয়। এখন কিছু মানুষ এ নিয়ে অভিযোগ করেছেন শুনেছি। তবে আমি দেখিনি।’
ইজরাইল হোসেন আরও বলেন, ‘অভিযোগটি যে পুরোপুরি অসত্য, তা না। তবে যথাযথ নয়। কিছু অংশে ভেকু নেওয়া যায়নি। কচুরিপনাও জমে আছে। ঠিকাদারকে বলা হয়েছে, টুকটাক কাজ যা বাকি আছে তা যেন সম্পন্ন করে দেন।’ এখনো ঠিকাদারের কোনো বিল পরিশোধ করা হয়নি বলেও জানান তিনি।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল-মনসুর বলেন, ‘কুমারগাতা ইউনিয়নের মালতিপুর গ্রামের লাকরী বিলের খাল খননের অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। অনিয়মের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সত্যতা পেলে, অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে