ড. বিজন কুমার শীল
বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষা শেষ করে গবেষণা নাকি চাকরি–এ দোটানায় পড়েন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা সম্পৃক্ত বিষয়ে পড়াশোনা করেও অনেকে ছোটেন সরকারি চাকরির পেছনে। আবার ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও অনেকে বিনিয়োগের অভাবে ছিটকে পড়েন গবেষণা থেকে। এরপরও অনেকে চান নিজের উদ্ভাবনা দিয়ে দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে। গবেষণা, ক্যারিয়ার, সম্ভাবনা, সংকটসহ নানা বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান বিজ্ঞানী ও গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান ড. বিজন কুমার শীল।
গবেষণার জন্য উপযোগী সময় বিশ্ববিদ্যালয় লেভেল
গবেষণার জন্য সবচেয়ে উপযোগী সময় বিশ্ববিদ্যালয় লেভেলটা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ যখন ইন্টার্নশিপে যান, তখন তিনি বিভিন্ন প্রোডাক্টের সঙ্গে পরিচিত হন। ইন্ডাস্ট্রিতে গিয়ে দেখেন কীভাবে একটা প্রোডাক্ট বেরিয়ে আসে। তখনই তাঁর মধ্যে গবেষণার সর্বোচ্চ ফোর্স কাজ করতে থাকে। অবশ্য পরে মাস্টার ডিগ্রি, পিএইচডি চলাকালে গবেষণার পদ্ধতি শেখেন কিন্তু কাজ অ্যাকচুয়ালি ডেভেলপ হয় প্রথম দিকেই।
গবেষণার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ফ্রিডম
গবেষণার জন্য পরিবেশটা সর্বদা উন্মুক্ত থাকতে হবে। গবেষণার ক্ষেত্রে নিয়ম বেঁধে দিলে, কোনো গবেষকের পক্ষে সফল হওয়া সম্ভব নয়। আমরা যখন করোনাভাইরাস নিয়ে কাজ শুরু করি, আমাদের দুই হাত খুলে দিয়েছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাহেব। কোনো অর্থের সমস্যাও ছিল না। কোনো ধরাবাঁধা নিয়মও ছিল না। অবাধ স্বাধীনতা নিয়ে আমরা কাজ করেছি এবং সফল হয়েছি। তাই গবেষণার জন্য সবচেয়ে যে জিনিসটি প্রয়োজন, সেটা হলো ফ্রিডম।
সর্বদা মনোবল ধরে রাখতে হবে...
গবেষণার সফলতা নির্ভর করে মানুষের স্যাটিসফেকশনের ওপর। কেউ যদি গবেষণাকে হাতিয়ার বানিয়ে কোটি কোটি অর্থ উপার্জনের মনমানসিকতা পোষণ করেন, তাহলে তাঁর গবেষণা কখনো সফল হবে না। গবেষণার ফসলকে বিলিয়ে দিতে হবে সাধারণ মানুষের মঙ্গলের স্বার্থে। আর এর জন্য শ্রমও দিতে হবে নিঃস্বার্থভাবে। মনে রাখতে হবে আমার পরিশ্রমের সুফল আমি পাই আর না পাই, সাধারণ মানুষ যেন পায়। এই মনমানসিকতা থাকলে তবেই সফলতা আসবে, অন্যথায় ব্যর্থতা, হতাশা চলে আসবে। আর একটা কথা, গবেষণায় সর্বদা মনোবল ধরে রাখতে হবে।
গবেষকদের মূল্যায়ন করতে হবে
এটা বলা খুবই জটিল। আমাদের দেশে প্রতিটি পরিবারের চিত্র প্রায় একই। তাদের ধারণা, আমার সন্তান একদিন সরকারি চাকরি করবে এবং আমাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘব হবে। ফলে একটা প্রেশার থাকে, আকাঙ্ক্ষা থাকে, মোহ থাকে সরকারি চাকরিপ্রত্যাশীদের পরিবার থেকে। কারণ এটা একটা কনফার্ম ইনকাম সোর্স। এই জায়গা থেকে বেরিয়ে তরুণ প্রজন্মকে গবেষণায় ইনপুট করতে হলে আগে গবেষকদের মূল্যায়ন করতে হবে। তাহলেই তরুণেরা গবেষণায় আসবে, নতুবা সম্ভব নয়। কারণ এখন কেউ রিস্ক নিতে চায় না।
ইন্ডাস্ট্রি, গবেষণাপ্রতিষ্ঠান এবং জনগণের সমন্বয়
বিদেশে গবেষণা হয় মূলত ইন্ডাস্ট্রিতে। ইন্ডাস্ট্রির লোকেরা অনুরোধ করে গবেষককে তাদের কাজটি, অর্থাৎ গবেষণাটি করার জন্য। এই গবেষণার ফলস্বরূপ যে প্রোডাক্টটা আসবে, সেটা ইন্ডাস্ট্রি কিনে নেবে এবং সে ক্ষেত্রে তারা আগেই ফান্ডিং করে। কিন্তু আমাদের দেশে ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো লিংক নেই। এ ক্ষেত্রে আমাদের সিলেবাসকে গ্লোবাল করতে হবে, ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা অনুযায়ী আগাতে হবে। ইন্ডাস্ট্রি যদি একটা প্রোডাক্ট চায়, তাহলে এই প্রোডাক্টের সুফলটা দিনশেষে সাধারণ মানুষ ভোগ করবে; অন্যথায় গবেষণার ফসলটা থিসিস আকারে আলমারিতে আটকে থাকবে। এ জন্যই ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে গবেষণাপ্রতিষ্ঠানের একটা লিংক থাকতে হবে। ইন্ডাস্ট্রি, গবেষণাপ্রতিষ্ঠান এবং জনগণ–এ তিনটির সমন্বয় ছাড়া কিছুই হবে না।
যে রাঁধতে পারে, সে চুলও
বাঁধতে পারে
যে মন থেকে সত্যিকারের প্রস্তুতি নিয়ে কিছু করতে চায়, সে জানে কীভাবে সময় ম্যানেজ করতে হয়। কীভাবে একাগ্রতা ধরে রাখতে হয়। আর যে পারে না, সে কিছুই পারে না। যে রাঁধতে পারে, সে চুলও বাঁধতে পারে।
ধীরা ঢালী
বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষা শেষ করে গবেষণা নাকি চাকরি–এ দোটানায় পড়েন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা সম্পৃক্ত বিষয়ে পড়াশোনা করেও অনেকে ছোটেন সরকারি চাকরির পেছনে। আবার ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও অনেকে বিনিয়োগের অভাবে ছিটকে পড়েন গবেষণা থেকে। এরপরও অনেকে চান নিজের উদ্ভাবনা দিয়ে দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে। গবেষণা, ক্যারিয়ার, সম্ভাবনা, সংকটসহ নানা বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান বিজ্ঞানী ও গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান ড. বিজন কুমার শীল।
গবেষণার জন্য উপযোগী সময় বিশ্ববিদ্যালয় লেভেল
গবেষণার জন্য সবচেয়ে উপযোগী সময় বিশ্ববিদ্যালয় লেভেলটা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ যখন ইন্টার্নশিপে যান, তখন তিনি বিভিন্ন প্রোডাক্টের সঙ্গে পরিচিত হন। ইন্ডাস্ট্রিতে গিয়ে দেখেন কীভাবে একটা প্রোডাক্ট বেরিয়ে আসে। তখনই তাঁর মধ্যে গবেষণার সর্বোচ্চ ফোর্স কাজ করতে থাকে। অবশ্য পরে মাস্টার ডিগ্রি, পিএইচডি চলাকালে গবেষণার পদ্ধতি শেখেন কিন্তু কাজ অ্যাকচুয়ালি ডেভেলপ হয় প্রথম দিকেই।
গবেষণার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ফ্রিডম
গবেষণার জন্য পরিবেশটা সর্বদা উন্মুক্ত থাকতে হবে। গবেষণার ক্ষেত্রে নিয়ম বেঁধে দিলে, কোনো গবেষকের পক্ষে সফল হওয়া সম্ভব নয়। আমরা যখন করোনাভাইরাস নিয়ে কাজ শুরু করি, আমাদের দুই হাত খুলে দিয়েছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাহেব। কোনো অর্থের সমস্যাও ছিল না। কোনো ধরাবাঁধা নিয়মও ছিল না। অবাধ স্বাধীনতা নিয়ে আমরা কাজ করেছি এবং সফল হয়েছি। তাই গবেষণার জন্য সবচেয়ে যে জিনিসটি প্রয়োজন, সেটা হলো ফ্রিডম।
সর্বদা মনোবল ধরে রাখতে হবে...
গবেষণার সফলতা নির্ভর করে মানুষের স্যাটিসফেকশনের ওপর। কেউ যদি গবেষণাকে হাতিয়ার বানিয়ে কোটি কোটি অর্থ উপার্জনের মনমানসিকতা পোষণ করেন, তাহলে তাঁর গবেষণা কখনো সফল হবে না। গবেষণার ফসলকে বিলিয়ে দিতে হবে সাধারণ মানুষের মঙ্গলের স্বার্থে। আর এর জন্য শ্রমও দিতে হবে নিঃস্বার্থভাবে। মনে রাখতে হবে আমার পরিশ্রমের সুফল আমি পাই আর না পাই, সাধারণ মানুষ যেন পায়। এই মনমানসিকতা থাকলে তবেই সফলতা আসবে, অন্যথায় ব্যর্থতা, হতাশা চলে আসবে। আর একটা কথা, গবেষণায় সর্বদা মনোবল ধরে রাখতে হবে।
গবেষকদের মূল্যায়ন করতে হবে
এটা বলা খুবই জটিল। আমাদের দেশে প্রতিটি পরিবারের চিত্র প্রায় একই। তাদের ধারণা, আমার সন্তান একদিন সরকারি চাকরি করবে এবং আমাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘব হবে। ফলে একটা প্রেশার থাকে, আকাঙ্ক্ষা থাকে, মোহ থাকে সরকারি চাকরিপ্রত্যাশীদের পরিবার থেকে। কারণ এটা একটা কনফার্ম ইনকাম সোর্স। এই জায়গা থেকে বেরিয়ে তরুণ প্রজন্মকে গবেষণায় ইনপুট করতে হলে আগে গবেষকদের মূল্যায়ন করতে হবে। তাহলেই তরুণেরা গবেষণায় আসবে, নতুবা সম্ভব নয়। কারণ এখন কেউ রিস্ক নিতে চায় না।
ইন্ডাস্ট্রি, গবেষণাপ্রতিষ্ঠান এবং জনগণের সমন্বয়
বিদেশে গবেষণা হয় মূলত ইন্ডাস্ট্রিতে। ইন্ডাস্ট্রির লোকেরা অনুরোধ করে গবেষককে তাদের কাজটি, অর্থাৎ গবেষণাটি করার জন্য। এই গবেষণার ফলস্বরূপ যে প্রোডাক্টটা আসবে, সেটা ইন্ডাস্ট্রি কিনে নেবে এবং সে ক্ষেত্রে তারা আগেই ফান্ডিং করে। কিন্তু আমাদের দেশে ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো লিংক নেই। এ ক্ষেত্রে আমাদের সিলেবাসকে গ্লোবাল করতে হবে, ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা অনুযায়ী আগাতে হবে। ইন্ডাস্ট্রি যদি একটা প্রোডাক্ট চায়, তাহলে এই প্রোডাক্টের সুফলটা দিনশেষে সাধারণ মানুষ ভোগ করবে; অন্যথায় গবেষণার ফসলটা থিসিস আকারে আলমারিতে আটকে থাকবে। এ জন্যই ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে গবেষণাপ্রতিষ্ঠানের একটা লিংক থাকতে হবে। ইন্ডাস্ট্রি, গবেষণাপ্রতিষ্ঠান এবং জনগণ–এ তিনটির সমন্বয় ছাড়া কিছুই হবে না।
যে রাঁধতে পারে, সে চুলও
বাঁধতে পারে
যে মন থেকে সত্যিকারের প্রস্তুতি নিয়ে কিছু করতে চায়, সে জানে কীভাবে সময় ম্যানেজ করতে হয়। কীভাবে একাগ্রতা ধরে রাখতে হয়। আর যে পারে না, সে কিছুই পারে না। যে রাঁধতে পারে, সে চুলও বাঁধতে পারে।
ধীরা ঢালী
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে