দুই কলেজের শতভাগ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য

হুমায়ুন মাসুদ, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২: ২৮
Thumbnail image

দুই বছর আগে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে রসায়নে অকৃতকার্য হন। এরপর মাঝখানে এক বছর পরীক্ষায় অংশ নেননি। এবার শিক্ষা বোর্ড থেকে বিশেষ অনুমতি (রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ) নিয়ে আবার পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ওই ছাত্রী। কিন্তু এবারও তিনি পাস করতে পারেননি। আর তাতেই শতভাগ ফেলের তালিকায় উঠে আসে চিটাগাং আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় এই কলেজ থেকে অংশ নেওয়া একমাত্র পরীক্ষার্থীই ফেল করেন।

গতকাল রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এবার চিটাগাং আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে মাত্র একজন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ফেল করেছেন। প্রতিষ্ঠানটি ছাড়া আরও একটি প্রতিষ্ঠান এবার শতভাগ ফেলের তালিকায় উঠে এসেছে। খাগড়াছড়ির মহালছড়ি এলাকার ওই কলেজ থেকে চার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিলেও তাঁদের কেউ পাস করেননি। ছাত্রসংখ্যা কম থাকার পরও কী কারণে তাঁরা ফেল করেছে বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।’

ফলাফলে দেখা গেছে, ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় ২৬৭টি কলেজ থেকে ৯৯ হাজার ৬২৮ জন জন পরীক্ষায় অংশ নেন। এর মধ্যে ২৬৫টি কলেজ থেকে অংশ নেওয়া ৯৯ হাজার ৬২ জন পরীক্ষার্থী পাস করেন। বাকি দুটি কলেজ থেকে কেউ পাস করেনি। এর মধ্যে পটিয়া থানাধীন চিটাগাং আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে একজন মাত্র শিক্ষার্থী পরীক্ষায় নিয়ে অকৃতকার্য হন। এ ছাড়া খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ির বৌদ্ধ শিশুঘর হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে চার পরীক্ষার্থীয় অংশ নিয়ে কেউই পাস করেনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চিটাগাং আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্কুল সেকশনের প্রধান শাহেলা নাসরিন শিউলি বলেন, ‘আমাদের কলেজ সেকশনটা ৪ বছর আগে বন্ধ হয়ে যায়। যে কারণে গত তিন বছর কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়নি।’

তাহলে এই একজন শিক্ষার্থী কীভাবে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন জানতে চাইলে শাহেলা নাসরিন বলেন, ‘এটি কলেজের অধ্যক্ষ স্যার বলতে পারবেন।’

পরে ওই কলেজের কলেজ সেকশনের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইউছুফ বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থী ২০১৯ সালে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে রসায়নে অকৃতকার্য হন। এরপর মাঝখানে দুই বছর তাঁর কোনো খোঁজখবর ছিল না। এবার এসে তিনি আবার পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করেন। আমরা বলেছি, শিক্ষা বোর্ড যদি অনুমতি দেয়, তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। পরে শিক্ষা বোর্ড থেকে রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ বাড়িয়ে তিনি এবার পরীক্ষায় অংশ নেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত