লক্ষ্মীপুর সদরে বিজয়ী ও পরাজিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে পৃথক হামলা-সংঘর্ষে পুলিশ-আনসারসহ ২০ জন আহত হয়েছে। ভোটের দিন গত রোববার রাতে ফল ঘোষণার পরপর এ ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, চন্দ্রগঞ্জ ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ধন্যপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোটের দিন গত রোববার সন্ধ্যায় ফলাফল ঘোষণা করার সময় ইউপি সদস্য প্রার্থী আলাউদ্দিনের ওপর হামলা করে অপর প্রার্থী কফিল উদ্দিনের সমর্থকেরা। একপর্যায়ে কফিল উদ্দিনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এর জের ধরে রাত ১০টার দিকে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এ সময় পরাজিত প্রার্থীর বড় ভাই নুর আলম বাবুল, খোরশেদ আলম, এমরান হোসেন, কবির হোসেন, ইয়াছিন আরাফাত ও পরাজিত প্রার্থী আলাউদ্দিনসহ ১০ জন আহত হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে রাত ১১টার দিকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ধন্যপুরে পরাজিত প্রার্থী আলাউদ্দিনের বড় ভাই নুর আলম বাবুলের অবস্থা গুরুতর।

পরাজিত প্রার্থী আলাউদ্দিন দাবি করেন, তাঁর ফল ছিনতাই করে প্রতিপক্ষ প্রার্থী কফিল উদ্দিনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। পরে পরিকল্পিতভাবে তাঁর ও সমর্থকদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এ ঘটনার বিচার চান তিনি।

অপরদিকে বিজয়ী কফিল উদ্দিন দাবি করেন, ‘নিজেরাই নিজেদের ওপর হামলা চালিয়ে আমার ও সমর্থকদের দোষারোপ করা হচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে আমরা কোনোভাবেই জড়িত নই।’

পৃথক ঘটনায় শাকচরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থী আব্বাছ উদ্দিনের সমর্থকদের হামলায় পুলিশ-আনসারসহ ১০ জন আহত হয়। আহতরা হলেন কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হামিম, কনস্টেবল মাহবুবুর রহমান, সামছুল ইসলাম, আনসার সদস্য শাহিনুর বেগম, পিয়ারা বেগম, রুমা আক্তার।

ফলাফল ঘোষণার পর ব্যালট নিয়ে লক্ষ্মীপুরের ফেরার পথে এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

পরাজিত প্রার্থী আব্বাছ উদ্দিন পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ওপর হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

সদর ও চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) যথাক্রমে জসিম উদ্দিন ও একে ফজলুল হক জানান, এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।