মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার
কক্সবাজারে আওয়ামী লীগের কোন্দল ও সংঘাত দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা নির্বাচন, এলাকায় আধিপত্য ও নেতৃত্ব নিয়ে এ দ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্যে চলে এসেছে। পাশাপাশি দলের নেতারা ব্যক্তিগত সুবিধা ও আত্মীয়-স্বজনকে দলে প্রতিষ্ঠিত করতেও নানাভাবে দ্বন্দ্বে জড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে দলটিতে একাধিক ধারা ও উপধারা সৃষ্টি হয়েছে।
এই অস্থিরতার মধ্যে আজ বুধবার জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে তৃণমূলের প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সভায় দলের জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিটের প্রায় ৩ হাজার প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন বলে জানিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ। জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সকাল ৯টার দিকে শহরের মোটেল উপলের জারা কনভেনশনে এ সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে জেলার চার পৌরসভা ও ৭১ ইউনিয়নের এবং দলের সহযোগী সংগঠনের ৩ হাজার প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে। প্রতিনিধি সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
এ সভায় দলের প্রভাবশালী নেতা, সাংসদ ও জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে অভিযোগ করতে চান বলে দলের একাধিক নেতা জানান। এর আগে কেন্দ্রের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ও সাংসদদের দূরত্ব কমাতে একাধিকবার বৈঠক করেও ফল পাননি।
দলের নেতারা জানান, দলের একটি ধারায় রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার-২ আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নজিবুল ইসলাম, মহেশখালী পৌরসভার মেয়র মকছুদ মিয়া। এই গ্রুপের কর্মকাণ্ড মেয়র মুজিবুর রহমানকে কেন্দ্র করেই চলছে।
আরেকটা গ্রুপে আছেন কক্সবাজার-১ আসনের সাংসদ চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম ও কক্সবাজার-৩ আসনের সাংসদ সাইমুম সারওয়ার কমল। এই গ্রুপের কার্যক্রম চলে জাফর আলমকে ঘিরে। এই দুই ধারার সঙ্গে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিভক্ত।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কক্সবাজারকে ঘিরে সরকারের অন্তত ৭২টি বড় প্রকল্পের উন্নয়নকাজ চলছে। এসব কাজে সুবিধা নেওয়া, আধিপত্য ও ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে নেতাদের মধ্যে বিরোধ চরম পর্যায়ে পৌঁছে।
কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নজিবুল ইসলাম বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের কারণে দীর্ঘদিন দলের কর্মকাণ্ড ঝিমিয়ে পড়েছিল। এবার প্রতিনিধি সম্মেলনের মাধ্যমে দল গোছানোর প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।
দলের কয়েকজন নেতা জানান, জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ ত্রিবার্ষিক কাউন্সিল হয়েছিল ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি। এ ছাড়া উপজেলা ও পৌরসভা কমিটিগুলোও মেয়াদোত্তীর্ণ। সামনের জেলা সম্মেলন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থিতা ঘিরে দ্বন্দ্ব হানাহানি পর্যায়ে যাবে। ইতিমধ্যে জেলার ১১টি সাংগঠনিক উপজেলা ও পৌরসভা কমিটির বেশির ভাগই পৃথক কর্মসূচি পালন করছে।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম বলেন, কিছু নেতা ব্যক্তি স্বার্থে দলকে ব্যবহার করছে, যা ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা নির্বাচনে দেখা গেছে। এসব বিষয়ে তৃণমূল সভায় খোলামেলা কথা হবে।
কক্সবাজার-১ আসনের সাংসদ ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম বলেন, দলে সুবিধাবাদীদের একটি চক্র দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। অতীতের চেয়ে চকরিয়া ও পেকুয়ায় আওয়ামী লীগ অনেক বেশি শক্তিশালী।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সুশৃঙ্খল ও বড় দল। তারপরও জেলা কমিটিতে কোনো বিরোধ নেই। যাঁরা দলের পদে থেকে ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা নির্বাচনে দলের বিরুদ্ধে করেছে তাঁদের বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ করা হয়েছে।’
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ে সম্মেলন সম্পন্ন হবে। এরপর উপজেলা ও জেলার সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত রয়েছে।’
কক্সবাজারে আওয়ামী লীগের কোন্দল ও সংঘাত দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা নির্বাচন, এলাকায় আধিপত্য ও নেতৃত্ব নিয়ে এ দ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্যে চলে এসেছে। পাশাপাশি দলের নেতারা ব্যক্তিগত সুবিধা ও আত্মীয়-স্বজনকে দলে প্রতিষ্ঠিত করতেও নানাভাবে দ্বন্দ্বে জড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে দলটিতে একাধিক ধারা ও উপধারা সৃষ্টি হয়েছে।
এই অস্থিরতার মধ্যে আজ বুধবার জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে তৃণমূলের প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সভায় দলের জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিটের প্রায় ৩ হাজার প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন বলে জানিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ। জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সকাল ৯টার দিকে শহরের মোটেল উপলের জারা কনভেনশনে এ সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে জেলার চার পৌরসভা ও ৭১ ইউনিয়নের এবং দলের সহযোগী সংগঠনের ৩ হাজার প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে। প্রতিনিধি সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
এ সভায় দলের প্রভাবশালী নেতা, সাংসদ ও জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে অভিযোগ করতে চান বলে দলের একাধিক নেতা জানান। এর আগে কেন্দ্রের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ও সাংসদদের দূরত্ব কমাতে একাধিকবার বৈঠক করেও ফল পাননি।
দলের নেতারা জানান, দলের একটি ধারায় রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার-২ আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নজিবুল ইসলাম, মহেশখালী পৌরসভার মেয়র মকছুদ মিয়া। এই গ্রুপের কর্মকাণ্ড মেয়র মুজিবুর রহমানকে কেন্দ্র করেই চলছে।
আরেকটা গ্রুপে আছেন কক্সবাজার-১ আসনের সাংসদ চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম ও কক্সবাজার-৩ আসনের সাংসদ সাইমুম সারওয়ার কমল। এই গ্রুপের কার্যক্রম চলে জাফর আলমকে ঘিরে। এই দুই ধারার সঙ্গে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিভক্ত।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কক্সবাজারকে ঘিরে সরকারের অন্তত ৭২টি বড় প্রকল্পের উন্নয়নকাজ চলছে। এসব কাজে সুবিধা নেওয়া, আধিপত্য ও ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে নেতাদের মধ্যে বিরোধ চরম পর্যায়ে পৌঁছে।
কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নজিবুল ইসলাম বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের কারণে দীর্ঘদিন দলের কর্মকাণ্ড ঝিমিয়ে পড়েছিল। এবার প্রতিনিধি সম্মেলনের মাধ্যমে দল গোছানোর প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।
দলের কয়েকজন নেতা জানান, জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ ত্রিবার্ষিক কাউন্সিল হয়েছিল ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি। এ ছাড়া উপজেলা ও পৌরসভা কমিটিগুলোও মেয়াদোত্তীর্ণ। সামনের জেলা সম্মেলন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থিতা ঘিরে দ্বন্দ্ব হানাহানি পর্যায়ে যাবে। ইতিমধ্যে জেলার ১১টি সাংগঠনিক উপজেলা ও পৌরসভা কমিটির বেশির ভাগই পৃথক কর্মসূচি পালন করছে।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম বলেন, কিছু নেতা ব্যক্তি স্বার্থে দলকে ব্যবহার করছে, যা ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা নির্বাচনে দেখা গেছে। এসব বিষয়ে তৃণমূল সভায় খোলামেলা কথা হবে।
কক্সবাজার-১ আসনের সাংসদ ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম বলেন, দলে সুবিধাবাদীদের একটি চক্র দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। অতীতের চেয়ে চকরিয়া ও পেকুয়ায় আওয়ামী লীগ অনেক বেশি শক্তিশালী।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সুশৃঙ্খল ও বড় দল। তারপরও জেলা কমিটিতে কোনো বিরোধ নেই। যাঁরা দলের পদে থেকে ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা নির্বাচনে দলের বিরুদ্ধে করেছে তাঁদের বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ করা হয়েছে।’
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ে সম্মেলন সম্পন্ন হবে। এরপর উপজেলা ও জেলার সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত রয়েছে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে