মীর মো. মহিব্বুল্লাহ, পটুয়াখালী
পটুয়াখালী এখন ধুলায় আচ্ছন্ন শহর। ধুলার কারণে ঘর থেকে বের হয়ে বিপাকে পড়েন এখানকার বাসিন্দারা। শহরের বিভিন্ন উন্নয়নকাজের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ৩৫ পুকুর পুনর্খননের মাটি পরিবহন করায় শহরের অলিগলি ও প্রধান সড়কগুলোতে মাটি পড়ছে। মূলত এ কারণে শহরের বিভিন্ন এলাকা ধুলায় ভরে গেছে।
কিন্তু এসব উন্নয়নকাজে ধুলা সৃষ্টি যেন না হয়, সেটি নিশ্চিত করার নির্দেশনা রয়েছে সংশ্লিষ্টদের প্রতি। অথচ তাদের খামখেয়ালি আচরণে বিপর্যস্ত শহরের জনজীবন। আবার এসবে যাঁরা নজরদারি করবেন, তাঁরাও নির্বিকার। সেই সঙ্গে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা রোগীর সংখ্যা। তবে শিগগিরই এ সমস্যা সমাধান করা হবে বলে জানান পৌর কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন।
গতকাল শুক্রবার সকালে শহরের চৌরাস্তা থেকে তিতাস মোড় পর্যন্ত এলাকায় দেখা যায় নানা ধরনের সংস্কার ও উন্নয়নকাজ। এ ছাড়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃক পৌর এলাকায় ৩৫টি পুকুর পুনর্খনন করছে। এসব পুকুরের খনন করা কাদামাটি ট্রাক্টর দিয়ে বহন করে নিয়ে যাওয়ার সময় তা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ছে। সেসব কাদামাটি শুকিয়ে বাতাসে মিশে ধুলা সৃষ্টি হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে সর্বত্র।
এ সময় শহরের তিতাস মোড় এলাকার বাসিন্দা আবু ইউসুফ সাঈদ বলেন, ‘বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে একদিকে যেমন তাপমাত্রা বেড়েছে, তেমনি পাল্লা দিয়ে কমেছে বাতাসের আর্দ্রতা। এ শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে ধুলা বেশি হওয়ার কথা। কিন্তু এর সঙ্গে নতুন যোগ হয়েছে শহরের মধ্যে চলমান অনিয়ন্ত্রিত পরিবহন ব্যবস্থা। ভারী ট্রাক্টরগুলো হরহামেশাই চলাচল করছে শহরের প্রধান প্রধান সড়কে। ফলে একদিকে যেমন রাস্তার ক্ষতি হচ্ছে, তেমনি শহরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে ধুলা। এ ছাড়া সরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তিমালিকানাধীন বিভিন্ন নির্মাণকাজের ফলেও শহরের ধুলার পরিমাণ বেড়েই চলছে। আমরা এই ধূলিময় শহর থেকে রক্ষা পেতে চাই।’
এ ব্যাপারে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পাপড়ি হাজরা বলেন, ‘ধুলোবালির কারণে পরিবেশের যেমন ক্ষতি হয় তেমনি মানুষের শ্বাসকষ্ট, চোখে ঝাপসা দেখা ও অ্যাজমাসহ নানান রকম শারীরিক সমস্যা হয়। এ ছাড়া গাছের পাতায় ধুলো থাকলে সালোকসংশ্লেষণে বাধাগ্রস্ত হয়। পরিবেশকে রক্ষা করতে হলে অবশ্যই নির্মাণাধীন কাজ থাকলে তাড়াতাড়ি সেরে ফেলতে হবে। কর্তৃপক্ষের বিষয়টি গুরুত্ব নিয়ে দেখা উচিত।’
পটুয়াখালী পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন আরজু বলেন, ‘পটুয়াখালীতে বেশ কিছু নির্মাণকাজ চলছে। এ কারণেও কিছুটা ধুলাময় হচ্ছে শহর। অন্যদিকে এলজিইডি কর্তৃক পৌর শহরে ৩৫টি পুকুর পুনঃখননের কাজ চলছে। পরিবহনের মাটি সারা শহরে পড়ছে। এটাও ধুলার অন্যতম কারণ। এ ক্ষেত্রে পৌরসভা ভূমিকা অবশ্যই নেবে। আমরা বলব নির্মাণসামগ্রী পরিবহনে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে নিতে হবে ও সড়কের নির্মাণসামগ্রী মালামাল রাখা যাবে না।’
পটুয়াখালী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী জি এম শাহাবুদ্দিনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
পটুয়াখালী পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কাজী সাইফুদ্দীন বলেন, ব্যক্তিমালিকানাধীন ও উন্নয়নমূলক নির্মাণ কাজ করার ক্ষেত্রে পরিবেশের যাতে ক্ষতি না হয়, সে জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্দেশনা রয়েছে। যদি কেউ না মানে গুরুত্ব সহকারে দেখে ব্যবস্থা নিবো।’
পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, ‘শহরে ধুলা বাড়ার কারণে ইতিমধ্যে মেয়র মহোদয়কে বলেছি সড়কে পানি দেওয়ার জন্য। এ ছাড়া যদি পুকুর পুনঃখননের মাটি পরিবহন থেকে সড়কে পড়ে, খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি।’
পটুয়াখালী এখন ধুলায় আচ্ছন্ন শহর। ধুলার কারণে ঘর থেকে বের হয়ে বিপাকে পড়েন এখানকার বাসিন্দারা। শহরের বিভিন্ন উন্নয়নকাজের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ৩৫ পুকুর পুনর্খননের মাটি পরিবহন করায় শহরের অলিগলি ও প্রধান সড়কগুলোতে মাটি পড়ছে। মূলত এ কারণে শহরের বিভিন্ন এলাকা ধুলায় ভরে গেছে।
কিন্তু এসব উন্নয়নকাজে ধুলা সৃষ্টি যেন না হয়, সেটি নিশ্চিত করার নির্দেশনা রয়েছে সংশ্লিষ্টদের প্রতি। অথচ তাদের খামখেয়ালি আচরণে বিপর্যস্ত শহরের জনজীবন। আবার এসবে যাঁরা নজরদারি করবেন, তাঁরাও নির্বিকার। সেই সঙ্গে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা রোগীর সংখ্যা। তবে শিগগিরই এ সমস্যা সমাধান করা হবে বলে জানান পৌর কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন।
গতকাল শুক্রবার সকালে শহরের চৌরাস্তা থেকে তিতাস মোড় পর্যন্ত এলাকায় দেখা যায় নানা ধরনের সংস্কার ও উন্নয়নকাজ। এ ছাড়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃক পৌর এলাকায় ৩৫টি পুকুর পুনর্খনন করছে। এসব পুকুরের খনন করা কাদামাটি ট্রাক্টর দিয়ে বহন করে নিয়ে যাওয়ার সময় তা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ছে। সেসব কাদামাটি শুকিয়ে বাতাসে মিশে ধুলা সৃষ্টি হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে সর্বত্র।
এ সময় শহরের তিতাস মোড় এলাকার বাসিন্দা আবু ইউসুফ সাঈদ বলেন, ‘বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে একদিকে যেমন তাপমাত্রা বেড়েছে, তেমনি পাল্লা দিয়ে কমেছে বাতাসের আর্দ্রতা। এ শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে ধুলা বেশি হওয়ার কথা। কিন্তু এর সঙ্গে নতুন যোগ হয়েছে শহরের মধ্যে চলমান অনিয়ন্ত্রিত পরিবহন ব্যবস্থা। ভারী ট্রাক্টরগুলো হরহামেশাই চলাচল করছে শহরের প্রধান প্রধান সড়কে। ফলে একদিকে যেমন রাস্তার ক্ষতি হচ্ছে, তেমনি শহরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে ধুলা। এ ছাড়া সরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তিমালিকানাধীন বিভিন্ন নির্মাণকাজের ফলেও শহরের ধুলার পরিমাণ বেড়েই চলছে। আমরা এই ধূলিময় শহর থেকে রক্ষা পেতে চাই।’
এ ব্যাপারে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পাপড়ি হাজরা বলেন, ‘ধুলোবালির কারণে পরিবেশের যেমন ক্ষতি হয় তেমনি মানুষের শ্বাসকষ্ট, চোখে ঝাপসা দেখা ও অ্যাজমাসহ নানান রকম শারীরিক সমস্যা হয়। এ ছাড়া গাছের পাতায় ধুলো থাকলে সালোকসংশ্লেষণে বাধাগ্রস্ত হয়। পরিবেশকে রক্ষা করতে হলে অবশ্যই নির্মাণাধীন কাজ থাকলে তাড়াতাড়ি সেরে ফেলতে হবে। কর্তৃপক্ষের বিষয়টি গুরুত্ব নিয়ে দেখা উচিত।’
পটুয়াখালী পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন আরজু বলেন, ‘পটুয়াখালীতে বেশ কিছু নির্মাণকাজ চলছে। এ কারণেও কিছুটা ধুলাময় হচ্ছে শহর। অন্যদিকে এলজিইডি কর্তৃক পৌর শহরে ৩৫টি পুকুর পুনঃখননের কাজ চলছে। পরিবহনের মাটি সারা শহরে পড়ছে। এটাও ধুলার অন্যতম কারণ। এ ক্ষেত্রে পৌরসভা ভূমিকা অবশ্যই নেবে। আমরা বলব নির্মাণসামগ্রী পরিবহনে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে নিতে হবে ও সড়কের নির্মাণসামগ্রী মালামাল রাখা যাবে না।’
পটুয়াখালী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী জি এম শাহাবুদ্দিনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
পটুয়াখালী পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কাজী সাইফুদ্দীন বলেন, ব্যক্তিমালিকানাধীন ও উন্নয়নমূলক নির্মাণ কাজ করার ক্ষেত্রে পরিবেশের যাতে ক্ষতি না হয়, সে জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্দেশনা রয়েছে। যদি কেউ না মানে গুরুত্ব সহকারে দেখে ব্যবস্থা নিবো।’
পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, ‘শহরে ধুলা বাড়ার কারণে ইতিমধ্যে মেয়র মহোদয়কে বলেছি সড়কে পানি দেওয়ার জন্য। এ ছাড়া যদি পুকুর পুনঃখননের মাটি পরিবহন থেকে সড়কে পড়ে, খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪