জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণহীন। এই অবস্থাতেও কোথাও স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। আর ২১-৪০ বছর বয়সীদের মধ্যে ‘ডোন্ট কেয়ার’ ভাব থাকায় তাঁরাই বেশি করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। ওমিক্রন নিয়ে সম্প্রতি চট্টগ্রামে এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
জেলার সিভিল সার্জন সূত্র জানায়, দেশে করোনা শুরু হওয়ার পর থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত আক্রান্তের মধ্যে ৪২ শতাংশ রোগীর বয়স ২১ থেকে ৪০ বছর। যেখানে ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ১৭ শতাংশ। আর ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ১৫ শতাংশ। এ ছাড়া ৬১ বছর ঊর্ধ্বে আক্রান্ত ১৫ শতাংশ। শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী আড়াই শতাংশ এবং ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী সাড়ে ৬ শতাংশ মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক ড. আদনান মান্নান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওমিক্রন নিয়ে সম্প্রতি গবেষণায় দেখা গেছে ২১ থেকে ৪০ বছর বয়সীরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। দুইটা কারণে এই বয়সের লোকজন বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। প্রথম কারণ হচ্ছে, এই বয়সের লোকজন চাকরির জন্য অফিস আদালতে যাচ্ছেন। মানুষের সঙ্গে মেলামেশা বেশি হচ্ছে। এই কারণে এই বয়সের লোকজন আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, এই বয়সের যুবকরা, বিশেষ করে ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী হওয়ায় তারা স্বাস্থ্যবিধি কিংবা শারীরিক দূরত্ব মানতে চান না। তাই এই বয়সের লোকজন আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি।
এই বয়সীরা আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে অনীহা। এমনটাই জানিয়ে সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, ২১ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের মধ্যে মাস্ক পরতে অনীহা রয়েছে। তাই তাঁরাই বেশি করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন।
গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, সংক্রমণের হারে যুবকরাই এগিয়ে থাকলেও মৃত্যুহারে বরাবরের মতো এবারও বয়স্কদের সংখ্যাই বেশি। এখন পর্যন্ত মারা যাওয়াদের মধ্যে ৬১ বছরের ঊর্ধ্বে শতকরা হার প্রায় ৫৬ শতাংশ। অর্থাৎ ১০০ জনের করোনায় মৃত্যু হলে ৫৬ জনের বয়স ৬১ বছরের ঊর্ধ্বে। এরপরে রয়েছেন ৫১-৬০ বছর বয়সীরা। তাঁদের হার ২৩ শতাংশ। তারপর ৪১-৫০ বছর বয়সীরা। তাঁদের মৃত্যুর হার ১২ শতাংশ। ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ৫ শতাংশ, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ২ শতাংশ, ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী শূন্য দশমিক ৬৭ এবং শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সীদের মৃত্যুর হার শূন্য দশমিক ৩৭ শতাংশ।
এদিকে সংক্রমণ বাড়লেও সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে করোনা শয্যা এখনো ৩ হাজার ৫০৬টি খালি রয়েছে। ভর্তি আছেন ৪৩৫ জন করোনা রোগী। এর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১ হাজার ১৪৪ শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি রয়েছে ২২১ জন। খালি আছে ৯২৩টি শয্যা।
বেসরকারি হাসপাতালে ৩ হাজার ৯৭১ শয্যার বিপরীতে ভর্তি ৪৩৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগী। খালি রয়েছে ৩ হাজার ৫০৬টি শয্যা।
সরকারি ও বেসরকারি মিলে আইসিইউতে ২৭৫ শয্যার মধ্যে রোগী ভর্তি ৪৫টিতে।
গত সপ্তাহ থেকে চট্টগ্রামে ধারাবাহিকভাবেই বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। সর্বশেষ গতকাল রোববার গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৬ জন। তবে এ দিন করোনায় আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামে কেউ মারা যায়নি।
গতকাল পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের ৯টি ল্যাবে ২ হাজার ৬৫৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এসব নমুনা পরীক্ষায় ১ হাজার ২৬ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এ নিয়ে এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে ১ লাখ ১১ হাজার ১২৩ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে। অন্যদিকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৩৪৩ জন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭২৮ জন। অন্যদিকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬১৫ জন।
চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণহীন। এই অবস্থাতেও কোথাও স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। আর ২১-৪০ বছর বয়সীদের মধ্যে ‘ডোন্ট কেয়ার’ ভাব থাকায় তাঁরাই বেশি করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। ওমিক্রন নিয়ে সম্প্রতি চট্টগ্রামে এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
জেলার সিভিল সার্জন সূত্র জানায়, দেশে করোনা শুরু হওয়ার পর থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত আক্রান্তের মধ্যে ৪২ শতাংশ রোগীর বয়স ২১ থেকে ৪০ বছর। যেখানে ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ১৭ শতাংশ। আর ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ১৫ শতাংশ। এ ছাড়া ৬১ বছর ঊর্ধ্বে আক্রান্ত ১৫ শতাংশ। শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী আড়াই শতাংশ এবং ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী সাড়ে ৬ শতাংশ মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক ড. আদনান মান্নান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওমিক্রন নিয়ে সম্প্রতি গবেষণায় দেখা গেছে ২১ থেকে ৪০ বছর বয়সীরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। দুইটা কারণে এই বয়সের লোকজন বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। প্রথম কারণ হচ্ছে, এই বয়সের লোকজন চাকরির জন্য অফিস আদালতে যাচ্ছেন। মানুষের সঙ্গে মেলামেশা বেশি হচ্ছে। এই কারণে এই বয়সের লোকজন আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, এই বয়সের যুবকরা, বিশেষ করে ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী হওয়ায় তারা স্বাস্থ্যবিধি কিংবা শারীরিক দূরত্ব মানতে চান না। তাই এই বয়সের লোকজন আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি।
এই বয়সীরা আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে অনীহা। এমনটাই জানিয়ে সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, ২১ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের মধ্যে মাস্ক পরতে অনীহা রয়েছে। তাই তাঁরাই বেশি করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন।
গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, সংক্রমণের হারে যুবকরাই এগিয়ে থাকলেও মৃত্যুহারে বরাবরের মতো এবারও বয়স্কদের সংখ্যাই বেশি। এখন পর্যন্ত মারা যাওয়াদের মধ্যে ৬১ বছরের ঊর্ধ্বে শতকরা হার প্রায় ৫৬ শতাংশ। অর্থাৎ ১০০ জনের করোনায় মৃত্যু হলে ৫৬ জনের বয়স ৬১ বছরের ঊর্ধ্বে। এরপরে রয়েছেন ৫১-৬০ বছর বয়সীরা। তাঁদের হার ২৩ শতাংশ। তারপর ৪১-৫০ বছর বয়সীরা। তাঁদের মৃত্যুর হার ১২ শতাংশ। ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ৫ শতাংশ, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ২ শতাংশ, ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী শূন্য দশমিক ৬৭ এবং শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সীদের মৃত্যুর হার শূন্য দশমিক ৩৭ শতাংশ।
এদিকে সংক্রমণ বাড়লেও সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে করোনা শয্যা এখনো ৩ হাজার ৫০৬টি খালি রয়েছে। ভর্তি আছেন ৪৩৫ জন করোনা রোগী। এর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১ হাজার ১৪৪ শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি রয়েছে ২২১ জন। খালি আছে ৯২৩টি শয্যা।
বেসরকারি হাসপাতালে ৩ হাজার ৯৭১ শয্যার বিপরীতে ভর্তি ৪৩৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগী। খালি রয়েছে ৩ হাজার ৫০৬টি শয্যা।
সরকারি ও বেসরকারি মিলে আইসিইউতে ২৭৫ শয্যার মধ্যে রোগী ভর্তি ৪৫টিতে।
গত সপ্তাহ থেকে চট্টগ্রামে ধারাবাহিকভাবেই বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। সর্বশেষ গতকাল রোববার গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৬ জন। তবে এ দিন করোনায় আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামে কেউ মারা যায়নি।
গতকাল পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের ৯টি ল্যাবে ২ হাজার ৬৫৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এসব নমুনা পরীক্ষায় ১ হাজার ২৬ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এ নিয়ে এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে ১ লাখ ১১ হাজার ১২৩ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে। অন্যদিকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৩৪৩ জন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭২৮ জন। অন্যদিকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬১৫ জন।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে