মাগুরা প্রতিনিধি
দেশে করোনা শনাক্ত কমলেও রয়েছে বিধিনিষেধ। মাস্ক ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব মানার নির্দেশনাও রয়েছে। কিন্তু মাগুরা জেলাজুড়ে এ বিধিনিষেধের বাস্তবায়ন দেখা যাচ্ছে না। বিষয়টি ঝুঁকিপূর্ণ বলছে মাগুরা স্বাস্থ্য বিভাগ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাগুরায় এক মাসের বেশি সময় করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি না মানায় করোনা ফের বাড়তে পারে।
জেলার বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতা ও অনুষ্ঠানে কোনো রকম স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। সাম্প্রতিক সময়ে নৌকাবাইচে মধুমতী ও গড়াই নদীতে লক্ষাধিক মানুষের ভিড়ে দেখা যায়নি স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো প্রবণতা। আয়োজক কমিটিরা ঘোষণা করলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে এখন করোনায় সচেতনতা নেই বললেই চলে। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও মাস্ক ব্যবহার আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে।
গ্রাম ও শহরের হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, শতকরা ৪ থেকে ৮ জন এখন মাস্ক ব্যবহার করছেন। মাগুরা শহরের নতুন বাজারর এলাকায় আসা ক্রেতা রহমান শেখ বলেন, ‘করোনার টিকা নিয়েছি। এখন তাই মাস্ক ব্যবহার করছি না। এমনিতেই শুনছি করোনা রোগী মাগুরাতে আর নেই।’ একই বাজারের পাইকারি সবজি বিক্রেতা জামাল মিয়া বলেন, ‘করোনার টিকা নিচ্ছি তাইলে কি জন্যি। দেখেন টিকা নেওয়ার পর কোনো রোগী কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে না। তাই মাস্ক বাড়ি রেখে আইছি।’
মাগুরা জেলা শহরের দুটি বড় বাজারের মধ্যে পুরাতন বাজার একটি। এ বাজারে মাছ কিনতে আসা শিক্ষক রবিউল হাসান বলেন, ‘মাস্ক পরে আসছি। সব সময় ব্যবহার করি। স্কুলে তো অবশ্যই পরে যাচ্ছি। তবে আমি গ্রামের স্কুল-কলেজে দেখেছি সেখানে শিক্ষার্থী শুধু নয় শিক্ষকেরাও মাস্ক ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছেন।’
কাঁচাবাজার পুরাতন সমিতির সভাপতি জিয়া ইসলাম বলেন, ‘মাস্ক বিক্রেতারাও পরছে না আবার ক্রেতারাও বেশির ভাগ ব্যবহার করছে না। আমি সমিতির পক্ষ থেকে বলেছি নিজের নিরাপদ থাকতে হবে, মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু জোর করে কি এসব করা যায়।’
সরকারি প্রাথমিক স্কুল ও কিন্ডারগার্টেন এ মাস্ক ব্যবহার শতভাগ থাকলে কমেছে হাইস্কুল ও কলেজ পর্যায়ে। মাগুরা সদরের ইউনিয়নের স্কুল ও কলেজে ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে শতকরা ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী মাস্ক ব্যবহার করছে না। তাদের পাশাপাশি বেশ কিছু শিক্ষকও মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। তবে বিষয়টি সাময়িক বলেছেন সেই সব প্রতিষ্ঠানে প্রধানেরা।
মাগুরা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিয়াউল ইসলাম জানান, সরকারি ঘোষণা মতে এখানে প্রতিটি শিক্ষার্থী মাস্ক পরে স্কুলে আসছে। যারা আনতে ভুলে যায় তাদের স্কুল থেকে মাস্ক সরবরাহ করা হচ্ছে। স্যানিটাইজার রাখা আছে, সবাই নিয়মিত এটি ব্যবহার করে।
এ বিষয়ে মাগুরা সিভিল সার্জন ডা. শহিদুল্লাহ দেওয়ান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাস্ক ব্যবহার কমে যাচ্ছে। এটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়। করোনা দেশ থেকে এখনো যায়নি। আমরা সতর্কতার সঙ্গে করোনা মোকাবিলা করছি। শতভাগ টিকার আওতায় সবাইকে আনার কার্যক্রম সরকার নিয়েছে। জেলার প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় এনেছি।’
শহিদুল্লাহ দেওয়ান আরও বলেন, ‘আমাদের স্বাস্থ্যবিধি না মানার জন্যই করোনা বাড়তে পারে। উন্নত দেশগুলোতে বিভিন্ন সময় এটা কিন্তু দেখা গেছে। তাই টিকা নেওয়ার পরও সবাইকে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।’
এ পর্যন্ত মাগুরা জেলায় করোনায় মারা গেছেন ৯১ জন। শনাক্ত হয়েছে ৪ হাজার ১৫৪ জন।
দেশে করোনা শনাক্ত কমলেও রয়েছে বিধিনিষেধ। মাস্ক ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব মানার নির্দেশনাও রয়েছে। কিন্তু মাগুরা জেলাজুড়ে এ বিধিনিষেধের বাস্তবায়ন দেখা যাচ্ছে না। বিষয়টি ঝুঁকিপূর্ণ বলছে মাগুরা স্বাস্থ্য বিভাগ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাগুরায় এক মাসের বেশি সময় করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি না মানায় করোনা ফের বাড়তে পারে।
জেলার বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতা ও অনুষ্ঠানে কোনো রকম স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। সাম্প্রতিক সময়ে নৌকাবাইচে মধুমতী ও গড়াই নদীতে লক্ষাধিক মানুষের ভিড়ে দেখা যায়নি স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো প্রবণতা। আয়োজক কমিটিরা ঘোষণা করলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে এখন করোনায় সচেতনতা নেই বললেই চলে। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও মাস্ক ব্যবহার আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে।
গ্রাম ও শহরের হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, শতকরা ৪ থেকে ৮ জন এখন মাস্ক ব্যবহার করছেন। মাগুরা শহরের নতুন বাজারর এলাকায় আসা ক্রেতা রহমান শেখ বলেন, ‘করোনার টিকা নিয়েছি। এখন তাই মাস্ক ব্যবহার করছি না। এমনিতেই শুনছি করোনা রোগী মাগুরাতে আর নেই।’ একই বাজারের পাইকারি সবজি বিক্রেতা জামাল মিয়া বলেন, ‘করোনার টিকা নিচ্ছি তাইলে কি জন্যি। দেখেন টিকা নেওয়ার পর কোনো রোগী কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে না। তাই মাস্ক বাড়ি রেখে আইছি।’
মাগুরা জেলা শহরের দুটি বড় বাজারের মধ্যে পুরাতন বাজার একটি। এ বাজারে মাছ কিনতে আসা শিক্ষক রবিউল হাসান বলেন, ‘মাস্ক পরে আসছি। সব সময় ব্যবহার করি। স্কুলে তো অবশ্যই পরে যাচ্ছি। তবে আমি গ্রামের স্কুল-কলেজে দেখেছি সেখানে শিক্ষার্থী শুধু নয় শিক্ষকেরাও মাস্ক ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছেন।’
কাঁচাবাজার পুরাতন সমিতির সভাপতি জিয়া ইসলাম বলেন, ‘মাস্ক বিক্রেতারাও পরছে না আবার ক্রেতারাও বেশির ভাগ ব্যবহার করছে না। আমি সমিতির পক্ষ থেকে বলেছি নিজের নিরাপদ থাকতে হবে, মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু জোর করে কি এসব করা যায়।’
সরকারি প্রাথমিক স্কুল ও কিন্ডারগার্টেন এ মাস্ক ব্যবহার শতভাগ থাকলে কমেছে হাইস্কুল ও কলেজ পর্যায়ে। মাগুরা সদরের ইউনিয়নের স্কুল ও কলেজে ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে শতকরা ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী মাস্ক ব্যবহার করছে না। তাদের পাশাপাশি বেশ কিছু শিক্ষকও মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। তবে বিষয়টি সাময়িক বলেছেন সেই সব প্রতিষ্ঠানে প্রধানেরা।
মাগুরা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিয়াউল ইসলাম জানান, সরকারি ঘোষণা মতে এখানে প্রতিটি শিক্ষার্থী মাস্ক পরে স্কুলে আসছে। যারা আনতে ভুলে যায় তাদের স্কুল থেকে মাস্ক সরবরাহ করা হচ্ছে। স্যানিটাইজার রাখা আছে, সবাই নিয়মিত এটি ব্যবহার করে।
এ বিষয়ে মাগুরা সিভিল সার্জন ডা. শহিদুল্লাহ দেওয়ান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাস্ক ব্যবহার কমে যাচ্ছে। এটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়। করোনা দেশ থেকে এখনো যায়নি। আমরা সতর্কতার সঙ্গে করোনা মোকাবিলা করছি। শতভাগ টিকার আওতায় সবাইকে আনার কার্যক্রম সরকার নিয়েছে। জেলার প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় এনেছি।’
শহিদুল্লাহ দেওয়ান আরও বলেন, ‘আমাদের স্বাস্থ্যবিধি না মানার জন্যই করোনা বাড়তে পারে। উন্নত দেশগুলোতে বিভিন্ন সময় এটা কিন্তু দেখা গেছে। তাই টিকা নেওয়ার পরও সবাইকে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।’
এ পর্যন্ত মাগুরা জেলায় করোনায় মারা গেছেন ৯১ জন। শনাক্ত হয়েছে ৪ হাজার ১৫৪ জন।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে