জাহিদ হাসান ও সৌগত বসু যশোর থেকে
যশোর-৩ (সদর) আসনে এবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন ব্যবসায়ী কাজী নাবিল আহমেদ। এবার তাঁর শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ। এই দুজনকে ঘিরে ভাগ হয়ে গেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এই আসনে ছায়া পড়েছে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের নৌকার প্রার্থী শাহীন চাকলাদারের।
শাহীন চাকলাদার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় গোটা জেলার রাজনীতিতেই তাঁর প্রভাব আছে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নাবিলের আসনে জেলা আওয়ামী লীগের একটি বড় অংশ কাজ করছে মোহিত কুমার নাথের পক্ষে। আবার শাহীন চাকলাদারের আসনে স্বতন্ত্র হিসেবে আছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এইচ এম আমির হোসেন। তিনিও শাহীনের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী। সেখানেও স্থানীয় আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী কাজ করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে। চাকলাদারের কাজের মূল ক্ষেত্র সদর হওয়ায় কেশবপুরের নেতারা চান স্বতন্ত্র প্রার্থীকে জেতাতে। দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যশোরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে শাহীন-নাবিল বিরোধ এক দশকের। মূলত সদর আসনে দলীয় মনোনয়ন ঘিরেই এই দ্বন্দ্বের শুরু। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুজনই সদরে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত দলের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশে সদর থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করেননি শাহীন। এই আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন টানা দুইবারের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ। শাহীন চাকলাদার পেয়েছেন কেশবপুর আসন। তবে সদরের ভোটযুদ্ধে শাহীনের উপস্থিতি না থাকলেও আলোচনায় আছে তাঁর নাম। মোহিত কুমার নাথের প্রতি শাহীনের প্রচ্ছন্ন সমর্থন থাকার গুঞ্জনও উঠেছে। অনেক নেতা-কর্মীর মতে, এই আসনে চাকলাদার না থাকলেও তাঁর ছায়া আছে।
নাবিলের অনুসারী এবং সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল বলেন, মোহিতের প্রার্থী হওয়ার পেছনে আছেন শাহীন চাকলাদার। ফলে সদরের একটি বড় অংশ মোহিতের প্রচারে অংশ নিচ্ছে।
তবে এ বিষয়ে শাহীন চাকলাদার বলেন, মোহিতকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার কোনো পরামর্শ তিনি দেননি। আর যাঁরা দলের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন, তাঁরা তাঁর ও দলের কেউ নন।
যশোর নওয়াপাড়ার শেখহাটি গ্রামের এক চা বিক্রেতা বলেন, ‘এমপি সাহেবকে (নাবিল) গত ১০ বছরে সামনাসামনি দেখি নাই। তবে ওনার লোকদের দেখেছি মাঝে মাঝে। এবার ওনার বিপক্ষে স্বতন্ত্র যিনি দাঁড়িয়েছেন, তিনি ভালো প্রচার করছেন। তবে যাঁরা প্রতীকের রাজনীতি করেন, তাঁরা নৌকায় ভোট দেবেন।’
জেলা শ্রমিক লীগের একটি অংশ শনিবার মোহিতের নির্বাচনী কার্যালয়ে গিয়ে তাঁর প্রচারে অংশ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। দলের কয়েকজন নেতা-কর্মী জানান, সদরের শীর্ষস্থানীয় নেতারাও সদর ছেড়ে শাহীনের আসনে প্রচার চালাচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন যশোর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মাহমুদ হাসান বিপু, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোৎস্না আরা মিলি প্রমুখ।
তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহিত কুমার নাথ বলেন, ‘নেত্রী স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে বারণ করেননি; বরং ভোটার কেন্দ্রে আনাই মূল উদ্দেশ্য। আর আমাকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা দাঁড় করিয়েছেন।’
মোহিতের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে কথা বলার সময় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহারুল ইসলাম সেখানে ছিলেন। শাহারুল জানান, তিনি মোহিত কুমার নাথের পক্ষে। নেত্রীর নির্দেশও আছে। তাই এখানে কাজ করতে বাধা নেই।
জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মেহেদী হাসান মিন্টু বলেন, সদরের একটি পক্ষ নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এতে কিছুটা প্রভাব পড়বে।
কাজী নাবিলের মন্তব্য জানতে শুক্রবার তাঁর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। পরদিন ফোন করেও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
যশোর-৩ (সদর) আসনে এবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন ব্যবসায়ী কাজী নাবিল আহমেদ। এবার তাঁর শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ। এই দুজনকে ঘিরে ভাগ হয়ে গেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এই আসনে ছায়া পড়েছে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের নৌকার প্রার্থী শাহীন চাকলাদারের।
শাহীন চাকলাদার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় গোটা জেলার রাজনীতিতেই তাঁর প্রভাব আছে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নাবিলের আসনে জেলা আওয়ামী লীগের একটি বড় অংশ কাজ করছে মোহিত কুমার নাথের পক্ষে। আবার শাহীন চাকলাদারের আসনে স্বতন্ত্র হিসেবে আছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এইচ এম আমির হোসেন। তিনিও শাহীনের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী। সেখানেও স্থানীয় আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী কাজ করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে। চাকলাদারের কাজের মূল ক্ষেত্র সদর হওয়ায় কেশবপুরের নেতারা চান স্বতন্ত্র প্রার্থীকে জেতাতে। দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যশোরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে শাহীন-নাবিল বিরোধ এক দশকের। মূলত সদর আসনে দলীয় মনোনয়ন ঘিরেই এই দ্বন্দ্বের শুরু। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুজনই সদরে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত দলের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশে সদর থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করেননি শাহীন। এই আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন টানা দুইবারের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ। শাহীন চাকলাদার পেয়েছেন কেশবপুর আসন। তবে সদরের ভোটযুদ্ধে শাহীনের উপস্থিতি না থাকলেও আলোচনায় আছে তাঁর নাম। মোহিত কুমার নাথের প্রতি শাহীনের প্রচ্ছন্ন সমর্থন থাকার গুঞ্জনও উঠেছে। অনেক নেতা-কর্মীর মতে, এই আসনে চাকলাদার না থাকলেও তাঁর ছায়া আছে।
নাবিলের অনুসারী এবং সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল বলেন, মোহিতের প্রার্থী হওয়ার পেছনে আছেন শাহীন চাকলাদার। ফলে সদরের একটি বড় অংশ মোহিতের প্রচারে অংশ নিচ্ছে।
তবে এ বিষয়ে শাহীন চাকলাদার বলেন, মোহিতকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার কোনো পরামর্শ তিনি দেননি। আর যাঁরা দলের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন, তাঁরা তাঁর ও দলের কেউ নন।
যশোর নওয়াপাড়ার শেখহাটি গ্রামের এক চা বিক্রেতা বলেন, ‘এমপি সাহেবকে (নাবিল) গত ১০ বছরে সামনাসামনি দেখি নাই। তবে ওনার লোকদের দেখেছি মাঝে মাঝে। এবার ওনার বিপক্ষে স্বতন্ত্র যিনি দাঁড়িয়েছেন, তিনি ভালো প্রচার করছেন। তবে যাঁরা প্রতীকের রাজনীতি করেন, তাঁরা নৌকায় ভোট দেবেন।’
জেলা শ্রমিক লীগের একটি অংশ শনিবার মোহিতের নির্বাচনী কার্যালয়ে গিয়ে তাঁর প্রচারে অংশ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। দলের কয়েকজন নেতা-কর্মী জানান, সদরের শীর্ষস্থানীয় নেতারাও সদর ছেড়ে শাহীনের আসনে প্রচার চালাচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন যশোর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মাহমুদ হাসান বিপু, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোৎস্না আরা মিলি প্রমুখ।
তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহিত কুমার নাথ বলেন, ‘নেত্রী স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে বারণ করেননি; বরং ভোটার কেন্দ্রে আনাই মূল উদ্দেশ্য। আর আমাকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা দাঁড় করিয়েছেন।’
মোহিতের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে কথা বলার সময় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহারুল ইসলাম সেখানে ছিলেন। শাহারুল জানান, তিনি মোহিত কুমার নাথের পক্ষে। নেত্রীর নির্দেশও আছে। তাই এখানে কাজ করতে বাধা নেই।
জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মেহেদী হাসান মিন্টু বলেন, সদরের একটি পক্ষ নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এতে কিছুটা প্রভাব পড়বে।
কাজী নাবিলের মন্তব্য জানতে শুক্রবার তাঁর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। পরদিন ফোন করেও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে