মো. রিয়াদ হোসাইন, কালীগঞ্জ (গাজীপুর)
কল-কারখানার বর্জ্যে দূষিত হয়ে পড়েছে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বেলাই বিলের পানি। বিলে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে মাছ। বিল এলাকায় কমেছে ফসল উৎপাদনও।
না গেছে, বেলাই বিলের পানি একটা সময় ছিল স্বচ্ছ, টলটলে। পাওয়া যেত রুই-কাতল ছাড়াও কই, শিং, মাগুর, পুঁটি, টাকি, শোল, ট্যাংরা, গুলশা, গুতুম, বেলে, মলাসহ হরেক রকম দেশি মাছ। ১০ বছর আগেও জেলার মাছের চাহিদার ৫০ ভাগ খাল-বিল, নদী-নালা থেকে আসত। এর মধ্যে ৩০ ভাগই পাওয়া যেত বেলাই বিল থেকে। বিলের মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন এলাকার হাজারো জেলে। গাজীপুর জেলা ছাড়াও রাজধানী ঢাকা, নরসিংদী ও আশপাশের জেলায় সরবরাহ করা হতো বেলাই বিলের মাছ। দেশি মাছের জন্য বেলাই বিল ছিল জেলার ঐতিহ্য। কিন্তু কলকারখানার বর্জ্যে ধ্বংস হতে চলেছে বেলাই বিল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চিলাই, পারুলী, তুরাগ ও বালু নদ এবং মোগরখাল, হায়দারাবাদ খাল, জয়রামবের খালসহ ১০-১২টি নদ-নদী ও খাল জেলার বিভিন্ন এলাকা দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বেলাই বিলে গিয়ে মিশেছে। এসব নদী ও খাল দিয়ে কারখানার কেমিক্যাল বর্জ্য বেলাই বিলে গিয়ে মিশে দূষিত হচ্ছে পানি।
তিতারকূল এলাকায় বিলে জাল দিয়ে মাছ ধরছিলেন সুধন্য দাস। তিনি বলেন, ‘৩-৪ বছর আগেও প্রচুর মাছ পাওয়া যেত। আগে এক ঘণ্টায় যে মাছ পাওয়া যেত, এখন সারা দিনে এর অর্ধেকও পাওয়া যায় না। কারখানার বিষ বিল শেষ করে দিয়েছে। বিষাক্ত পানিতে পোনা মাছ মরে যাওয়ায় মাছের বৃদ্ধি হচ্ছে না।’
উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের গোয়ালবাড়িয়া গ্রামের কৃষক শাহজাহান মিয়া বলেন, শুধু মাছ নয়, দূষিত পানির কারণে ধান উৎপাদনও কমে গেছে। এখন বিলের পানিতে নামা যায় না। পানি লাগলে শরীর চুলকায়। কৃষকের সর্বনাশ করছেন কারখানার মালিকেরা।
বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দল কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মনির হোসেন বলেন, কারখানার বর্জ্যে গাজীপুর জেলার সব নদ-নদী, খাল-বিল ও জলাশয় দূষিত হয়ে পড়ছে। কারখানাগুলো ইটিপি ব্যবহার না করার কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
নদী বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক আনোয়ার সাদত বলেন, বেলাই বিলের ঐতিহ্য রক্ষার জন্য দূষণ বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
গাজীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. কায়সার মুহাম্মদ মঈনুল হাসান জানান, বেলাই বিলের দূষণ বন্ধে পদক্ষেপ নিতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে।
কল-কারখানার বর্জ্যে দূষিত হয়ে পড়েছে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বেলাই বিলের পানি। বিলে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে মাছ। বিল এলাকায় কমেছে ফসল উৎপাদনও।
না গেছে, বেলাই বিলের পানি একটা সময় ছিল স্বচ্ছ, টলটলে। পাওয়া যেত রুই-কাতল ছাড়াও কই, শিং, মাগুর, পুঁটি, টাকি, শোল, ট্যাংরা, গুলশা, গুতুম, বেলে, মলাসহ হরেক রকম দেশি মাছ। ১০ বছর আগেও জেলার মাছের চাহিদার ৫০ ভাগ খাল-বিল, নদী-নালা থেকে আসত। এর মধ্যে ৩০ ভাগই পাওয়া যেত বেলাই বিল থেকে। বিলের মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন এলাকার হাজারো জেলে। গাজীপুর জেলা ছাড়াও রাজধানী ঢাকা, নরসিংদী ও আশপাশের জেলায় সরবরাহ করা হতো বেলাই বিলের মাছ। দেশি মাছের জন্য বেলাই বিল ছিল জেলার ঐতিহ্য। কিন্তু কলকারখানার বর্জ্যে ধ্বংস হতে চলেছে বেলাই বিল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চিলাই, পারুলী, তুরাগ ও বালু নদ এবং মোগরখাল, হায়দারাবাদ খাল, জয়রামবের খালসহ ১০-১২টি নদ-নদী ও খাল জেলার বিভিন্ন এলাকা দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বেলাই বিলে গিয়ে মিশেছে। এসব নদী ও খাল দিয়ে কারখানার কেমিক্যাল বর্জ্য বেলাই বিলে গিয়ে মিশে দূষিত হচ্ছে পানি।
তিতারকূল এলাকায় বিলে জাল দিয়ে মাছ ধরছিলেন সুধন্য দাস। তিনি বলেন, ‘৩-৪ বছর আগেও প্রচুর মাছ পাওয়া যেত। আগে এক ঘণ্টায় যে মাছ পাওয়া যেত, এখন সারা দিনে এর অর্ধেকও পাওয়া যায় না। কারখানার বিষ বিল শেষ করে দিয়েছে। বিষাক্ত পানিতে পোনা মাছ মরে যাওয়ায় মাছের বৃদ্ধি হচ্ছে না।’
উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের গোয়ালবাড়িয়া গ্রামের কৃষক শাহজাহান মিয়া বলেন, শুধু মাছ নয়, দূষিত পানির কারণে ধান উৎপাদনও কমে গেছে। এখন বিলের পানিতে নামা যায় না। পানি লাগলে শরীর চুলকায়। কৃষকের সর্বনাশ করছেন কারখানার মালিকেরা।
বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দল কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মনির হোসেন বলেন, কারখানার বর্জ্যে গাজীপুর জেলার সব নদ-নদী, খাল-বিল ও জলাশয় দূষিত হয়ে পড়ছে। কারখানাগুলো ইটিপি ব্যবহার না করার কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
নদী বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক আনোয়ার সাদত বলেন, বেলাই বিলের ঐতিহ্য রক্ষার জন্য দূষণ বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
গাজীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. কায়সার মুহাম্মদ মঈনুল হাসান জানান, বেলাই বিলের দূষণ বন্ধে পদক্ষেপ নিতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে