Ajker Patrika

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে ফেরিসংকট, দুর্ভোগে যাত্রীরা

শিবালয় (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০২১, ১১: ০০
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে ফেরিসংকট, দুর্ভোগে যাত্রীরা

ফেরিসংকটে প্রায় এক মাস পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে যানবাহন পারাপার মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এতে প্রায়ই ঘাট এলাকায় দীর্ঘসময় আটকে থাকছে শত শত যানবাহন। দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন এ পথে যাতায়াতকারী দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীরা। তবে কবে নাগাদ এ সমস্যার সমাধান হবে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না সংশ্লিষ্ট ঘাট কর্তৃপক্ষ।

বিআইডব্লিউটিসি আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জিল্লুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, সমস্যা সমাধানে জোর চেষ্টা চলছে। বহরে নতুন ফেরি যুক্ত না হওয়া পর্যন্ত সহসাই সমস্যা সমাধান সম্ভব না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

ফেরি সেক্টর বিআইডব্লিউটিসি আরিচা আঞ্চলিক অফিস সূত্রে জানা গেছে, বহরের ছোট-বড় ২২টি ফেরির মধ্যে গত ২৭ অক্টোবর আমানত শাহ নামের একটি রো-রো ফেরি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। আরও চারটি বড় ফেরি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ঢাকার নারায়ণগঞ্জে সংস্থার নিজস্ব ডকইয়ার্ডে মেরামতে রয়েছে। বাকি ১৭ ফেরি দিয়ে কোনো রকম সার্ভিস চালু রাখা হয়েছে। চালু ফেরিগুলোর মধ্যে দুয়েকটি মাঝে-মধ্যেই বিকল হয়ে পড়ায় পরিস্থিতি আরও নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে। তবে এ রুটে ফেরিডুবির পর থেকে বাকি ফেরিগুলো চলাচলে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে।

বিআইডব্লিউটিসি পাটুরিয়া ভাসমান কারখানা মধুমতির নির্বাহী প্রকৌশলী রুবেলুজ্জামান বিপ্লব জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে ২২টি ফেরির মধ্যে ১৪টি বড়, দুটি মাঝারি ও ছয়টি ছোট আকারের। ইঞ্জিনসহ নানা সমস্যা নিয়ে ৪টি বড় ফেরি নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ডে মেরামতে আছে। বাকি ১৭টি ফেরি চালু থাকলেও তা বেশ পুরোনো হওয়ায় এর মধ্যে দুয়েকটা প্রায়শই বিকল হচ্ছে। প্রাথমিক কাজ শেষে সেগুলো পুনরায় বহরে যুক্ত হচ্ছে।

এ ছাড়া গত ২৭ অক্টোবর ডুবে যাওয়া ফেরি আমানত শাহ উদ্ধারের পর স্থানীয় ডকইয়ার্ডে ভাসমান কারখানা মধুমতিতে নোঙর করে আছে। এ ফেরির প্রাথমিক ধোয়া-মোছার কাজ শেষে আবার মেরামতের জন্য একেও নারায়ণগঞ্জে পাঠানো হবে। সব মিলিয়ে বিকল এ ৫টি ফেরি সচল হতে বেশ সময় লাগবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

মেরিন বিভাগ কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার জানান, পাটুরিয়া ঘাটের বড় ১৪টি ফেরির বেশির ভাগই বেশ পুরোনো। যার মধ্যে ফেরি শাহ-জালাল নির্মাণ হয়েছে ১৯৮০ সালে, শাহ-আলী ও শাহ-মখদুম নির্মাণ হয়েছে ১৯৮৫ সালে, শাহ-পরান ও খানজাহান আলী নির্মাণ হয়েছে ১৯৮৭ সালে, এনায়েতপুরী এবং কেরামত আলি নির্মাণ হয়েছিল ১৯৮৯ সালে। তবে, বহরের অন্যান্য বড় ফেরিগুলো তুলনামূলকভাবে একটু নতুন। যেমন বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর ও ভাষা শহীদ বরকত তৈরি হয় ১৯৯৩ সালে, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান ও বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান তৈরি হয় ২০০২ সালে, বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন নির্মাণ হয় ২০০৪ সালে এবং ড. গোলাম মাওলা নির্মিত হয় ২০১৫ সালে।

মাঝারি আকারের দুটি ফেরি ‘ঢাকা’ ও ‘কুমিল্লা’ও অনেক পুরোনো। এ ফেরি দুটি কত সালে নির্মাণ হয়েছে, এ সংক্রান্ত কোনো তথ্যই এরা দিতে পারেনি। কিন্তু ২০১৪ সালে নির্মিত ৬টি ছোট আকারের ডাম্প ফেরির অবস্থা অনেকটা ভালো বলে তারা দাবি করেছেন।

এদিকে পাটুরিয়া ঘাটের সহব্যবস্থাপক মহীউদ্দিন রাসেল জানান, সাধারণত এ রুটে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের প্রায় চার হাজার যানবাহন ফেরিতে পারাপার হয়। ফেরি স্বল্পতার কারণে বর্তমানে দুই থেকে আড়াই হাজার যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। এ রুটে ফেরিসংকটের পাশাপাশি শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে সীমিত আকারে ফেরি চলাচল করায় ওই নৌপথের অধিকাংশ যানবাহন পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথ ব্যবহার করছে। এতে করে পাটুরিয়া রুটে বাড়তি যানবাহনের চাপ পড়েছে। বহরের ছোট-বড় ১৬টি ফেরি চলাচল করছে। এলাকায় জনদুর্ভোগ লাঘবে কর্তৃপক্ষ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী যানবাহন পারাপার করছে। এতে পণ্যবাহী ট্রাকগুলো দীর্ঘ সময় ঘাট এলাকায় আটকে থাকছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মুসলিম থেকে খ্রিষ্টান হওয়া ইরানি নারী এখন পানামার জঙ্গলে

ঢাবি ছাত্রীকে যৌন হেনস্তাকারীর পক্ষে নামা ‘তৌহিদী জনতার’ আড়ালে এরা কারা

বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা হলেই মেয়াদ শেষ নতুন পরিচালনা কমিটির

এনসিপিকে চাঁদা দিচ্ছেন ধনীরা, ক্রাউডফান্ডিং করেও অর্থ সংগ্রহ করা হবে: নাহিদ ইসলাম

ভ্যানিটি ব্যাগ ধরে টান, সন্তানসহ ছিটকে পড়তেই তরুণীর গালে ছুরিকাঘাত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত