খান রফিক, বরিশাল
শোকের মাস ঘিরে বরিশাল মহানগরীতে ভোটের প্রচার চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ। প্রতিটি কর্মসূচিতে নেতারা বলছেন সরকারের উন্নয়নের কথা। এ সময় তাঁরা সামনের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে ভোট দেওয়ারও আহ্বান জানাচ্ছেন। নগরীর ২১টি ওয়ার্ডে অনুষ্ঠিত শোকসভায় প্রধান আকর্ষণ থাকছেন মেয়র। তৃণমূল নেতাদের ভাষ্য, শোক দিবস ঘিরে নগরে মাসব্যাপী এ কর্মসূচি মূলত মেয়র সাদিকের নির্বাচনী সফর।
২ আগস্ট প্রচণ্ড বৃষ্টিতে নগরের ২ নম্বর ওয়ার্ডে শোকসভা চলছিল। সেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে নেতা-কর্মী আর আশপাশের মানুষ এনে জড়ো করা হয় সভাস্থলে। সভায় নগর ছাত্রলীগের সভাপতি রইজ আহমেদ মান্না মেয়রের উন্নয়ন আর সাহায্য-সহযোগিতার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘এত উন্নয়নের পরও মেয়র বলেছেন, ভবিষ্যতে ভোট চাইতে যাবেন না। আপনাদের কাছে কি আর ভোট চাইতে যাওয়া লাগবে?’ নেতা-কর্মীরা সমস্বরে বলেন, না!
একইভাবে গত শনিবার ২০ নম্বর ওয়ার্ডে অনুষ্ঠিত শোকসভায় ছাত্রলীগ সভাপতি মান্না বলেন, ‘মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে নগরের উন্নয়ন করছেন। তাঁর কারণে নগরের রাস্তা ৫ বছরের গ্যারান্টিতে নির্মাণ হচ্ছে। করোনার মধ্যে সাদিক ভাই ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন, করোনা ভ্যাকসিন দিয়েছেন। কারা কারা ২০ নম্বর ওয়ার্ডে ফ্যামিলি কার্ড পেয়েছেন হাত জাগান।’ তিনি বলেন, ‘সাদিক ভাই নগরে পানির সমস্যা দূর করেছেন, বিদ্যুৎ পাচ্ছেন। এত উন্নয়নের পরও কিছু টার্কি মুরগি সমালোচনা করে। ছাত্রলীগ তাদের দাঁতভাঙা জবাব দেবে। আমার বিশ্বাস, আগামী দিনে সাদিক ভাইয়ের ভোট চাইতে হবে না, নৌকার প্রার্থী সাদিক ভাইকে বিজয় করে তবেই আমরা ঘরে ফিরব।’
২১ দিন ধরে এভাবে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মেয়র সাদিকের উন্নয়ন আর সহায়তার ফুলঝুরি তুলে ধরে আগামী সিটি ভোটের ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ। নগরের ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখর দাস বলেন, ‘এটি সাংগঠনিকভাবে মেয়রের একধরনের সফর। মেয়র সাদিক সুযোগ পান না, তাই এখন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরছেন। এতে সংগঠন চাঙাও হলো, আগামী নির্বাচনের প্রচারও হলো। আমরা মনে করি, আবার মেয়র হবেন সাদিক আবদুল্লাহ। এ জন্য শোকসভায় নেতা-কর্মীরাও তাঁকে আগামী দিনে মেয়র দেখতে চেয়েছেন।’ ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মৃধা বলেন, ‘মেয়র সাদিক এই প্রথম শোকসভার মাধ্যমে প্রতিটি ওয়ার্ডে গিয়ে জনগণের সঙ্গে সরাসরি কথা বলছেন। জনগণও তাঁদের চাহিদা তুলে ধরছেন। এটি মূলত মেয়রের সাংগঠনিক ও নির্বাচনী সফর।’ তিনি আরও বলেন, ‘শোকসভায় নেতা-কর্মীরাও স্লোগানের মাধ্যমে সাদিককে আগামী নির্বাচনে আবারও মেয়র হিসেবে চেয়েছেন। এটি একটি নির্বাচনী মেসেজও, এতে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে।’
জানতে চাইলে মেয়র সাদিকের ঘনিষ্ঠ সহচর মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ বাবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এবার সব ওয়ার্ডে শোকের মাসের কর্মসূচি করার মূল লক্ষ্য শোককে তৃণমূলে শক্তিতে পরিণত করা। এতে দল যেমন সুসংগঠিত হবে, তেমনি আগামী সিটি নির্বাচনের প্রস্তুতিও এগিয়ে নেওয়া যাবে।’
বাবু বলেন, ‘মেয়র সাদিক আগামী নির্বাচনেও ভোট চাইবেন না। আওয়ামী লীগ নির্বাচনমুখী দল। তাই আগামী দিনে বিএনপির আন্দোলনের নামে সহিংসতা প্রতিহত করা এবং সিটি নির্বাচনমুখী তৎপরতাই চলছে ৩০টি ওয়ার্ড ঘিরে।’
মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আফজালুল করিম বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের সভায় ভোটের কথাই সাংগঠনিক কথা। ৩০টি ওয়ার্ড তো নগরেরই অংশ। এটি নিয়ে অন্য কিছু ভাবা ঠিক নয়।’
শোকের মাস ঘিরে বরিশাল মহানগরীতে ভোটের প্রচার চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ। প্রতিটি কর্মসূচিতে নেতারা বলছেন সরকারের উন্নয়নের কথা। এ সময় তাঁরা সামনের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে ভোট দেওয়ারও আহ্বান জানাচ্ছেন। নগরীর ২১টি ওয়ার্ডে অনুষ্ঠিত শোকসভায় প্রধান আকর্ষণ থাকছেন মেয়র। তৃণমূল নেতাদের ভাষ্য, শোক দিবস ঘিরে নগরে মাসব্যাপী এ কর্মসূচি মূলত মেয়র সাদিকের নির্বাচনী সফর।
২ আগস্ট প্রচণ্ড বৃষ্টিতে নগরের ২ নম্বর ওয়ার্ডে শোকসভা চলছিল। সেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে নেতা-কর্মী আর আশপাশের মানুষ এনে জড়ো করা হয় সভাস্থলে। সভায় নগর ছাত্রলীগের সভাপতি রইজ আহমেদ মান্না মেয়রের উন্নয়ন আর সাহায্য-সহযোগিতার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘এত উন্নয়নের পরও মেয়র বলেছেন, ভবিষ্যতে ভোট চাইতে যাবেন না। আপনাদের কাছে কি আর ভোট চাইতে যাওয়া লাগবে?’ নেতা-কর্মীরা সমস্বরে বলেন, না!
একইভাবে গত শনিবার ২০ নম্বর ওয়ার্ডে অনুষ্ঠিত শোকসভায় ছাত্রলীগ সভাপতি মান্না বলেন, ‘মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে নগরের উন্নয়ন করছেন। তাঁর কারণে নগরের রাস্তা ৫ বছরের গ্যারান্টিতে নির্মাণ হচ্ছে। করোনার মধ্যে সাদিক ভাই ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন, করোনা ভ্যাকসিন দিয়েছেন। কারা কারা ২০ নম্বর ওয়ার্ডে ফ্যামিলি কার্ড পেয়েছেন হাত জাগান।’ তিনি বলেন, ‘সাদিক ভাই নগরে পানির সমস্যা দূর করেছেন, বিদ্যুৎ পাচ্ছেন। এত উন্নয়নের পরও কিছু টার্কি মুরগি সমালোচনা করে। ছাত্রলীগ তাদের দাঁতভাঙা জবাব দেবে। আমার বিশ্বাস, আগামী দিনে সাদিক ভাইয়ের ভোট চাইতে হবে না, নৌকার প্রার্থী সাদিক ভাইকে বিজয় করে তবেই আমরা ঘরে ফিরব।’
২১ দিন ধরে এভাবে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মেয়র সাদিকের উন্নয়ন আর সহায়তার ফুলঝুরি তুলে ধরে আগামী সিটি ভোটের ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ। নগরের ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখর দাস বলেন, ‘এটি সাংগঠনিকভাবে মেয়রের একধরনের সফর। মেয়র সাদিক সুযোগ পান না, তাই এখন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরছেন। এতে সংগঠন চাঙাও হলো, আগামী নির্বাচনের প্রচারও হলো। আমরা মনে করি, আবার মেয়র হবেন সাদিক আবদুল্লাহ। এ জন্য শোকসভায় নেতা-কর্মীরাও তাঁকে আগামী দিনে মেয়র দেখতে চেয়েছেন।’ ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মৃধা বলেন, ‘মেয়র সাদিক এই প্রথম শোকসভার মাধ্যমে প্রতিটি ওয়ার্ডে গিয়ে জনগণের সঙ্গে সরাসরি কথা বলছেন। জনগণও তাঁদের চাহিদা তুলে ধরছেন। এটি মূলত মেয়রের সাংগঠনিক ও নির্বাচনী সফর।’ তিনি আরও বলেন, ‘শোকসভায় নেতা-কর্মীরাও স্লোগানের মাধ্যমে সাদিককে আগামী নির্বাচনে আবারও মেয়র হিসেবে চেয়েছেন। এটি একটি নির্বাচনী মেসেজও, এতে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে।’
জানতে চাইলে মেয়র সাদিকের ঘনিষ্ঠ সহচর মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ বাবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এবার সব ওয়ার্ডে শোকের মাসের কর্মসূচি করার মূল লক্ষ্য শোককে তৃণমূলে শক্তিতে পরিণত করা। এতে দল যেমন সুসংগঠিত হবে, তেমনি আগামী সিটি নির্বাচনের প্রস্তুতিও এগিয়ে নেওয়া যাবে।’
বাবু বলেন, ‘মেয়র সাদিক আগামী নির্বাচনেও ভোট চাইবেন না। আওয়ামী লীগ নির্বাচনমুখী দল। তাই আগামী দিনে বিএনপির আন্দোলনের নামে সহিংসতা প্রতিহত করা এবং সিটি নির্বাচনমুখী তৎপরতাই চলছে ৩০টি ওয়ার্ড ঘিরে।’
মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আফজালুল করিম বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের সভায় ভোটের কথাই সাংগঠনিক কথা। ৩০টি ওয়ার্ড তো নগরেরই অংশ। এটি নিয়ে অন্য কিছু ভাবা ঠিক নয়।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে