ছুটি শেষেও পর্যটকের ঢল কুয়াকাটায়

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ জুলাই ২০২২, ১১: ১২
Thumbnail image

ঈদুল আজহার ছুটি শেষ হয়ে গেলেও শেষ হয়নি কুয়াকাটার পর্যটকদের ভিড়। পদ্মা সেতু খুলে দিয়েছে কুয়াকাটার ভাগ্য। পর্যটন ব্যবসায়ীদের মধ্যে বইছে উৎসবের আমেজ।

এদিকে ঈদের আগেই কুয়াকাটায় অধিকাংশ হোটেল মোটেলের বুকিং সম্পন্ন হয়েছে। এতে ১২, ১৩ ও ১৪ জুলাই কুয়াকাটাতে ঘুরতে এসে যারা থাকার জন্য রুম বুকিং করেননি তাদের বেশির ভাগকেই অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হয়। কেউ কেউ রুম পেতে বিড়ম্বনায় পড়েন।

গতকাল বৃহস্পতিবার সৈকতের জিরো পয়েন্ট, লেম্বুরবন, ঝাউবন, গঙ্গামতিসহ বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখা যায়, সৈকতের নোনা জলে পা ভিজিয়ে, ছাতার নিচে বসে কিংবা সমুদ্রে গোসল করে সময় কাটাচ্ছেন পর্যটকেরা। প্রতিটি পয়েন্টে ছিল পর্যটকে টয়টুম্বুর।

ঢাকার সাভার থেকে আসা এমি আহমেদ বলেন, ‘পদ্মা সেতু হওয়ায় এবং ঢাকা থেকে কুয়াকাটা যেতে কোনো ফেরি না থাকার খবর শুনে এখানে আসার লোভ সামলাতে পারিনি। ঈদের ছুটি শেষ হলে পর্যটকদের ভিড় কম থাকবে ভেবে এখন এসেছি। কিন্তু এসে দেখছি প্রচুর পর্যটক। তবে ভোগান্তি হয়নি।’

কুয়াকাটা ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি কেএম বাচ্চু বলেন, ‘গত দুই দিন অনেক পর্যটক রুম না পেয়ে ফিরে গেছেন। আবার অনেকে সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করে রুমের খোঁজে ছিলেন। যখন কুয়াকাটায় অতিরিক্ত পর্যটকদের চাপ থাকে তখন কিছু অসাধু হোটেল ব্যবসায়ী সুযোগ নিয়ে অতিরিক্ত ভাড়ায় রুম বুকিং দেয়। তাই অতিরিক্ত চাপের সময়টাতে অগ্রিম বুকিং দিলে এই ভোগান্তির স্বীকার পর্যটকেরা হবেন না।’

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোতালেব হাওলাদার বলেন, ‘পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকেই কুয়াকাটার চিত্র পাল্টাতে শুরু করেছে। এখানে ১৬০টি হোটেল-মোটেল রয়েছে। তাতে ১৫-১৬ হাজার পর্যটকদের সেবা দিতে পারে। তবে হঠাৎ পর্যটকদের চাপ বেড়ে যাওয়ার কারণে এই সমস্যাটা তৈরি হয়েছে। বড় বড় বিনিয়োগকারীরা তাঁদের স্থাপনা তৈরিতে ব্যস্ত রয়েছে।’

কুয়াকাটা জোনের টুরিস্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. হাচনাইন পারভেজ বলেন, ‘ঈদের ছুটি শেষ হলেও পর্যটকদের চাপ এখনো বেশি। তাঁদের নিরাপত্তা দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত