ভর্তি পরীক্ষায় বাড়তি আয়

জাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২১, ০৯: ২৫
আপডেট : ১৭ নভেম্বর ২০২১, ১৭: ৫৯

পঞ্চগড়ের সাকের মফিজউদ্দিন (৫৭)। নয় সদস্যের পরিবারে প্রধান উপার্জনকারী তিনি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গত আট বছর রিকশা চালাচ্ছে সাকের। তবে করোনা মহামারির দেড় বছর অর্থনৈতিক সংকটে দিনাতিপাত করতে হয়েছে তাঁকে। এর মধ্যে, ভর্তি পরীক্ষা তাঁর অর্থনৈতিক সংকটে আশীর্বাদরূপে হাজির হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি-ইচ্ছুক ও তাঁদের অভিভাবকদের পদচারণায় বাড়তি আয় হচ্ছে তাঁর।

শুধু সাকের নন তাঁর মতো অন্য রিকশাচালক, ভ্রাম্যমাণ দোকানি, ভ্রাম্যমাণ চা ওয়ালা ও বিভিন্ন ফেরিওয়ালার বাড়তি আয় হচ্ছে।

সাকের মফিজউদ্দিন বলেন, ‘এখন তাও দু-চার পয়সা হচছে। আগে তো পেটত জামিন বেঁধে রিকশা চালান লাগত। করোনার সময় দিন শেষে ৩০০ টাকা থাকত। এখন দৈনিক হাজার-বারো শো থেকে পনেরো শো টাকা থাকে। এতে আমার কিছু ঋণের কিস্তি পরিশোধ হচ্ছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবন জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯ দিন ভর্তি পরীক্ষা হবে। প্রতি দিন পাঁচটি শিফট অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি শিফটে প্রায় সাত হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে। ফলে দৈনিক প্রায় ৩৫ হাজার শিক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবক ক্যাম্পাসে আসে। এতে স্বাভাবিকভাবেই এখানকার মানুষের অর্থনীতিতে প্রাণ ফিরবে।

ভ্রাম্যমাণ চা-কফি বিক্রেতা মেরাজ মিয়া। তিনি বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা আমার জন্য আল্লাহর নেয়ামত। ভর্তি পরীক্ষা মানে পকেট গরম। এখন রোজগার পনেরো শ ছাড়িয়ে যায়। বিকেল হতে না হতেই দুই ফ্লাস্ক খালি হয়ে যায়। অন্যান্য দিনে সন্ধ্যা হয়ে গেলেও চা-কফি থেকে যায়।’

এদিকে, ভর্তি পরীক্ষাতে অনেক শিক্ষার্থী নিজেদের স্বেচ্ছাসেবী কর্মকাণ্ডে যুক্ত রেখেছে। আবার কিছু শিক্ষার্থী আর্থিক সচ্ছলতা ও অভিজ্ঞতার জন্য দিয়েছে খাবার দোকান, বইয়ের দোকান ও বিভিন্ন প্রকার সেবা।

ফ্রেন্ডস ক্যাফে, জাহাঙ্গীরনগর বিরিয়ানি হাউস, নিশাতশ কুকি, শাউন ফুড কর্নার ইত্যাদি নামে চলছে খাবার দোকান। এ ছাড়া রয়েছে কাপড় ও প্রসাধনের দোকান।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত