আবুল কালাম আজাদ, চারঘাট
দেখভালের অভাবে কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলছে না প্রত্যন্ত গ্রামের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থাপন করা সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পে। কোথাও কোথাও জ্বলছে না আলো। কোথাও স্বজনপ্রীতি করে বিত্তশালীদের আঙিনায় বসানো হয়েছে সোলার লাইট। তিন বছর পর্যন্ত দেখভালের কথা থাকলেও ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করছে না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো।
চারঘাট উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে ২০১৪-১৫ এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে ত্রাণ পুনর্বাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির আওতায় টিআর, কাবিখা ও বিশেষ বরাদ্দের প্রকল্পের মাধ্যমে সূর্যের আলোকে সোলার প্যানেলে ধারণ করে রাতে ল্যাম্পপোস্টের (সড়কবাতি) মাধ্যমে আলো দেওয়া হচ্ছে গ্রাম থেকে গ্রামে।
চারঘাট উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নসহ পৌরসভায় মসজিদ, মন্দির, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ রাস্তাঘাট, হাট-বাজার ও জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে ৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬৪৪টি সোলার সিস্টেম প্যানেল ল্যাম্পপোস্ট বসানো হয়। প্রতিটি ল্যাম্পপোস্টের বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৫৬ হাজার ৪৯০ টাকা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সাইফ পাওয়ারটেক ও এসডিআরএস মাঠপর্যায়ে এ কাজ বাস্তবায়ন করেছে। প্রতিটি স্ট্রিট লাইট মেরামতের জন্য তিন বছরের সার্ভিস ওয়ারেন্টি রয়েছে।
এদিকে সড়ক বাতিগুলো না জ্বলায় সরকারের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয়রা। সরকারের কোটি কোটি টাকা জলে গেছে বলে মনে করছেন স্থানীয় লোকজন। সরেজমিনে সরদহ ইউনিয়নের ঝিকরা-নন্দনগাছী সড়কে দেখা যায়, জনশূন্য এ সড়কের অধিকাংশ সৌরবাতি অকেজো হয়ে আছে। সৌরবাতির খুঁটিগুলো দাঁড়িয়ে আছে। ব্যাটারি ও লাইট হারিয়ে গেছে। একই অবস্থা চারঘাট ইউনিয়নের রাওথা, মনোহরপুর, অনুপামপুর, ফতেপুর, শিবপুর, বালুদিয়াড়, নিমপাড়া, বাসুদেবপুর, জয়পুর, ডাকরা ও রায়পুর বাজারসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো ল্যাম্পপোস্টের লাইটগুলোরও। সেগুলো এখন অকেজো, দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে।
নন্দনগাছী এলাকার বাসিন্দা আব্দুল কাদের জানান, নিম্নমানের উপকরণ দেওয়ায় সড়ক বাতিগুলো অকেজো হয়ে পড়েছে। রাত হলেই চারঘাট-নন্দনগাছী সড়কে নেমে আসছে ঘুটঘুটে অন্ধকার। সড়কে চুরি-ছিনতাই বেড়ে গেছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বারবার বলার পরও সৌরবাতিগুলো ঠিক হয়নি।
এ সম্পর্কে সরদহ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান মধু ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বলেন, সোলার প্যানেলে গুরুত্বপূর্ণ ল্যাম্পপোস্টগুলো মাঝে মধ্যেই বন্ধ হয়ে যায়। প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে বললে ঠিকাদারের লোকজন এসে ঠিক করে দেয়। তবে কয়েক দিন পর আবারও নষ্ট হয়ে যায়। আবার অনেক জায়গায় ব্যাটারি ও লাইট চুরির কারণে সৌরবাতি বন্ধ আছে।
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের চারঘাটের দায়িত্বপ্রাপ্ত জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘তিন বছরের সার্ভিস ওয়ারেন্টির মধ্যে লাইটে কোনো ত্রুটি হলে আমরা সংশোধন করে দিই। অভিযোগ পেলে নিয়ম অনুযায়ী সৌরবাতিগুলো সচল করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এস এম শামীম আহম্মেদ বলেন, সোলার প্যানেল প্রকল্পের বরাদ্দ এখন আর নেই। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের জামানত এখনো তাঁদের কাছে রয়েছে। খোঁজখবর নিয়ে সৌরবাতিগুলো ঠিকঠাক করা হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চারঘাট-নন্দনগাছী সড়কের সৌরবাতিগুলোর বিষয়ে জানানো হয়েছে।
দেখভালের অভাবে কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলছে না প্রত্যন্ত গ্রামের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থাপন করা সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পে। কোথাও কোথাও জ্বলছে না আলো। কোথাও স্বজনপ্রীতি করে বিত্তশালীদের আঙিনায় বসানো হয়েছে সোলার লাইট। তিন বছর পর্যন্ত দেখভালের কথা থাকলেও ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করছে না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো।
চারঘাট উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে ২০১৪-১৫ এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে ত্রাণ পুনর্বাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির আওতায় টিআর, কাবিখা ও বিশেষ বরাদ্দের প্রকল্পের মাধ্যমে সূর্যের আলোকে সোলার প্যানেলে ধারণ করে রাতে ল্যাম্পপোস্টের (সড়কবাতি) মাধ্যমে আলো দেওয়া হচ্ছে গ্রাম থেকে গ্রামে।
চারঘাট উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নসহ পৌরসভায় মসজিদ, মন্দির, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ রাস্তাঘাট, হাট-বাজার ও জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে ৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬৪৪টি সোলার সিস্টেম প্যানেল ল্যাম্পপোস্ট বসানো হয়। প্রতিটি ল্যাম্পপোস্টের বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৫৬ হাজার ৪৯০ টাকা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সাইফ পাওয়ারটেক ও এসডিআরএস মাঠপর্যায়ে এ কাজ বাস্তবায়ন করেছে। প্রতিটি স্ট্রিট লাইট মেরামতের জন্য তিন বছরের সার্ভিস ওয়ারেন্টি রয়েছে।
এদিকে সড়ক বাতিগুলো না জ্বলায় সরকারের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয়রা। সরকারের কোটি কোটি টাকা জলে গেছে বলে মনে করছেন স্থানীয় লোকজন। সরেজমিনে সরদহ ইউনিয়নের ঝিকরা-নন্দনগাছী সড়কে দেখা যায়, জনশূন্য এ সড়কের অধিকাংশ সৌরবাতি অকেজো হয়ে আছে। সৌরবাতির খুঁটিগুলো দাঁড়িয়ে আছে। ব্যাটারি ও লাইট হারিয়ে গেছে। একই অবস্থা চারঘাট ইউনিয়নের রাওথা, মনোহরপুর, অনুপামপুর, ফতেপুর, শিবপুর, বালুদিয়াড়, নিমপাড়া, বাসুদেবপুর, জয়পুর, ডাকরা ও রায়পুর বাজারসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো ল্যাম্পপোস্টের লাইটগুলোরও। সেগুলো এখন অকেজো, দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে।
নন্দনগাছী এলাকার বাসিন্দা আব্দুল কাদের জানান, নিম্নমানের উপকরণ দেওয়ায় সড়ক বাতিগুলো অকেজো হয়ে পড়েছে। রাত হলেই চারঘাট-নন্দনগাছী সড়কে নেমে আসছে ঘুটঘুটে অন্ধকার। সড়কে চুরি-ছিনতাই বেড়ে গেছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বারবার বলার পরও সৌরবাতিগুলো ঠিক হয়নি।
এ সম্পর্কে সরদহ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান মধু ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বলেন, সোলার প্যানেলে গুরুত্বপূর্ণ ল্যাম্পপোস্টগুলো মাঝে মধ্যেই বন্ধ হয়ে যায়। প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে বললে ঠিকাদারের লোকজন এসে ঠিক করে দেয়। তবে কয়েক দিন পর আবারও নষ্ট হয়ে যায়। আবার অনেক জায়গায় ব্যাটারি ও লাইট চুরির কারণে সৌরবাতি বন্ধ আছে।
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের চারঘাটের দায়িত্বপ্রাপ্ত জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘তিন বছরের সার্ভিস ওয়ারেন্টির মধ্যে লাইটে কোনো ত্রুটি হলে আমরা সংশোধন করে দিই। অভিযোগ পেলে নিয়ম অনুযায়ী সৌরবাতিগুলো সচল করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এস এম শামীম আহম্মেদ বলেন, সোলার প্যানেল প্রকল্পের বরাদ্দ এখন আর নেই। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের জামানত এখনো তাঁদের কাছে রয়েছে। খোঁজখবর নিয়ে সৌরবাতিগুলো ঠিকঠাক করা হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চারঘাট-নন্দনগাছী সড়কের সৌরবাতিগুলোর বিষয়ে জানানো হয়েছে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১৫ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে