খায়রুল বাসার নির্ঝর, ঢাকা
শুভর সঙ্গে অশুভর লড়াই চিরদিনের। একদল চায় সমাজের শান্তি, সৌহার্দ্য ধ্বংস করে নিজেদের কর্তৃত্ব জাহির করতে। আরেক দল শান্তিকামী। নিজেদের জীবনের বিনিময়ে হলেও তারা রক্ষা করতে চায় দেশ-মাটি-মায়ের মুখের হাসি। ‘ব্ল্যাক ওয়ার’ এই দুই দলের গল্পই বলে। আরও অজস্র গল্পের মতো এখানেও শান্তিকামীদের জয় হয় ঠিকই, কিন্তু কী উপায়ে এ জয় ছিনিয়ে আনা হয়, সেটাই ‘ব্ল্যাক ওয়ার’ সিনেমার মূল কাহিনি।
গল্পে জঙ্গিদের অপতৎপরতার খবর পেয়ে নাবিদ (আরিফিন শুভ) তার সহকর্মী ইরাকে (সাদিয়া নাবিলা) নিয়ে দুবাই যায়। কিন্তু দুবাই পুলিশের সঙ্গে যেহেতু বাংলাদেশ পুলিশের কোনো চুক্তি নেই, তাই এ অপারেশন নাবিদকে করতে হবে খালি হাতে। সেখানকার কোনো প্রশাসনিক সহযোগিতা ছাড়াই। দুবাইয়ে নাবিদের সোর্স হিসেবে আছে ডিব্বা (ফজলুর রহমান বাবু)। তার মাধ্যমে এক পার্টিতে গিয়ে সেখানকার ধনকুবের খান সাহেবের (মিশা সওদাগর) ফোন থেকে ডেটা ট্রান্সফার করে নেয় ইরা।
নাবিদের এ গোপন মিশনের কথা পুলিশের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে চাউর হলে মিশন বাতিল করে তাকে ফিরে আসতে বলা হয়। নাবিদ ফিরেও আসে। কিন্তু ততক্ষণে তার কাছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চলে এসেছে। সে তথ্যকে সম্বল করে এবার দেশে ফিরে নাবিদ শুরু করে তার মিশনের পরবর্তী ধাপ। এ মিশনের পদে পদে বাধা আছে, উত্তেজনা আছে, গাদ্দারি আছে, হেরে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। ঘন জঙ্গলে ওত পেতে থাকা আবু দোজানা (তাসকিন রহমান) ঠান্ডা মাথায় একের পর এক পরিকল্পনা বদলাতে থাকে। যেকোনো মূল্যে দেশের ক্ষমতার মসনদ দখল করতে চায় সে। পুরো সিনেমায় নাবিদ ও দোজানার আধিপত্য।
দীর্ঘ দিন ধরে এই সিনেমা নিয়ে পড়ে ছিলেন শুভ। শারীরিক পরিবর্তন এনেছেন, সেটা করতে গিয়ে অসুস্থও ছিলেন অনেক দিন, বদল এনেছেন অভিনয়ের ধরনেও। তাঁর এসব পরিশ্রমের ছাপ লেগে আছে ‘ব্ল্যাক ওয়ার’ সিনেমার গায়ে। নিয়ন্ত্রিত আবেগ নিয়ে যেভাবে মেদবিহীন ঝরঝরে অভিনয় করেছেন তিনি, তা তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো।
ঢাকাই সিনেমায় নেতিবাচক চরিত্রে ইদানীং তাসকিন রহমান টাইপকাস্ট হয়ে গেছেন যদিও, কিন্তু ‘ব্ল্যাক ওয়ার’-এ অভিনয়ের ধরনে বদল এনেছেন তিনিও। ইরা চরিত্রে নজর কেড়েছেন সাদিয়া নাবিলা। তবে এ পর্বের গল্প যেহেতু এগিয়েছে শুধু মিশনের দিকেই, তাই আরিফিন শুভর প্রেমিকা হিসেবে দু-একবার কান্নাকাটি আর অভিযোগ-অনুযোগ করা ছাড়া বাড়তি কিছু দেখানোর সুযোগই পেলেন না ঐশী। স্বল্প উপস্থিতির ডিব্বা চরিত্রে ফজলুর রহমান বাবুকে বোধ হয় মিসইউজই করা হলো।
মাঝরাস্তা পর্যন্ত ‘ব্ল্যাক ওয়ার’-এর গল্প এগিয়েছে বেশ দ্রুত। ফলে পর্দা থেকে চোখ সরানোর উপায় ছিল না। কিন্তু এটার প্রভাব পড়েছে শেষের দিকে। গল্পের সংকটে পড়ে অনেক জায়গায় অযথা ধীরগতি আর গোঁজামিল কিছুটা হলেও বিরক্তির উদ্রেক করে। বিশেষ করে জঙ্গিদের কর্মকাণ্ডে। শুধু স্যাটেলাইট দখল করে নিজেদের ভিডিও প্রচারের চেষ্টা আর একটা জায়গায় আত্মঘাতী আক্রমণেই সীমাবদ্ধ থেকে গেল আবু দোজানার মিশন। আরও অসংখ্য অ্যাকশন সিনেমার মতো গোলাগুলির একপর্যায়ে দুই পক্ষেরই গুলি শেষ হয়ে যাওয়া, তারপর হাতাহাতির মুখস্থ দৃশ্য ‘ব্ল্যাক ওয়ার’ সিনেমায়ও আছে। আর আছে প্রোডাক্ট রিপ্লেসমেন্টের যন্ত্রণা। গল্পের নানা জায়গায় যেভাবে পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়েছে, সেটা চোখে লাগে।
এটুকু অস্বস্তি পাশ কাটিয়ে গেলে সিনেমাটির আগাগোড়া দারুণ উপভোগ্য। এ কথা নিশ্চিতভাবে বলাই যায়, বাংলা অ্যাকশন সিনেমায় ‘ব্ল্যাক ওয়ার’ এক নতুন দিক খুলে দিল। আরিফিন শুভ এবং শুভ শক্তি—দুটিরই হলো জয়।
শুভর সঙ্গে অশুভর লড়াই চিরদিনের। একদল চায় সমাজের শান্তি, সৌহার্দ্য ধ্বংস করে নিজেদের কর্তৃত্ব জাহির করতে। আরেক দল শান্তিকামী। নিজেদের জীবনের বিনিময়ে হলেও তারা রক্ষা করতে চায় দেশ-মাটি-মায়ের মুখের হাসি। ‘ব্ল্যাক ওয়ার’ এই দুই দলের গল্পই বলে। আরও অজস্র গল্পের মতো এখানেও শান্তিকামীদের জয় হয় ঠিকই, কিন্তু কী উপায়ে এ জয় ছিনিয়ে আনা হয়, সেটাই ‘ব্ল্যাক ওয়ার’ সিনেমার মূল কাহিনি।
গল্পে জঙ্গিদের অপতৎপরতার খবর পেয়ে নাবিদ (আরিফিন শুভ) তার সহকর্মী ইরাকে (সাদিয়া নাবিলা) নিয়ে দুবাই যায়। কিন্তু দুবাই পুলিশের সঙ্গে যেহেতু বাংলাদেশ পুলিশের কোনো চুক্তি নেই, তাই এ অপারেশন নাবিদকে করতে হবে খালি হাতে। সেখানকার কোনো প্রশাসনিক সহযোগিতা ছাড়াই। দুবাইয়ে নাবিদের সোর্স হিসেবে আছে ডিব্বা (ফজলুর রহমান বাবু)। তার মাধ্যমে এক পার্টিতে গিয়ে সেখানকার ধনকুবের খান সাহেবের (মিশা সওদাগর) ফোন থেকে ডেটা ট্রান্সফার করে নেয় ইরা।
নাবিদের এ গোপন মিশনের কথা পুলিশের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে চাউর হলে মিশন বাতিল করে তাকে ফিরে আসতে বলা হয়। নাবিদ ফিরেও আসে। কিন্তু ততক্ষণে তার কাছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চলে এসেছে। সে তথ্যকে সম্বল করে এবার দেশে ফিরে নাবিদ শুরু করে তার মিশনের পরবর্তী ধাপ। এ মিশনের পদে পদে বাধা আছে, উত্তেজনা আছে, গাদ্দারি আছে, হেরে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। ঘন জঙ্গলে ওত পেতে থাকা আবু দোজানা (তাসকিন রহমান) ঠান্ডা মাথায় একের পর এক পরিকল্পনা বদলাতে থাকে। যেকোনো মূল্যে দেশের ক্ষমতার মসনদ দখল করতে চায় সে। পুরো সিনেমায় নাবিদ ও দোজানার আধিপত্য।
দীর্ঘ দিন ধরে এই সিনেমা নিয়ে পড়ে ছিলেন শুভ। শারীরিক পরিবর্তন এনেছেন, সেটা করতে গিয়ে অসুস্থও ছিলেন অনেক দিন, বদল এনেছেন অভিনয়ের ধরনেও। তাঁর এসব পরিশ্রমের ছাপ লেগে আছে ‘ব্ল্যাক ওয়ার’ সিনেমার গায়ে। নিয়ন্ত্রিত আবেগ নিয়ে যেভাবে মেদবিহীন ঝরঝরে অভিনয় করেছেন তিনি, তা তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো।
ঢাকাই সিনেমায় নেতিবাচক চরিত্রে ইদানীং তাসকিন রহমান টাইপকাস্ট হয়ে গেছেন যদিও, কিন্তু ‘ব্ল্যাক ওয়ার’-এ অভিনয়ের ধরনে বদল এনেছেন তিনিও। ইরা চরিত্রে নজর কেড়েছেন সাদিয়া নাবিলা। তবে এ পর্বের গল্প যেহেতু এগিয়েছে শুধু মিশনের দিকেই, তাই আরিফিন শুভর প্রেমিকা হিসেবে দু-একবার কান্নাকাটি আর অভিযোগ-অনুযোগ করা ছাড়া বাড়তি কিছু দেখানোর সুযোগই পেলেন না ঐশী। স্বল্প উপস্থিতির ডিব্বা চরিত্রে ফজলুর রহমান বাবুকে বোধ হয় মিসইউজই করা হলো।
মাঝরাস্তা পর্যন্ত ‘ব্ল্যাক ওয়ার’-এর গল্প এগিয়েছে বেশ দ্রুত। ফলে পর্দা থেকে চোখ সরানোর উপায় ছিল না। কিন্তু এটার প্রভাব পড়েছে শেষের দিকে। গল্পের সংকটে পড়ে অনেক জায়গায় অযথা ধীরগতি আর গোঁজামিল কিছুটা হলেও বিরক্তির উদ্রেক করে। বিশেষ করে জঙ্গিদের কর্মকাণ্ডে। শুধু স্যাটেলাইট দখল করে নিজেদের ভিডিও প্রচারের চেষ্টা আর একটা জায়গায় আত্মঘাতী আক্রমণেই সীমাবদ্ধ থেকে গেল আবু দোজানার মিশন। আরও অসংখ্য অ্যাকশন সিনেমার মতো গোলাগুলির একপর্যায়ে দুই পক্ষেরই গুলি শেষ হয়ে যাওয়া, তারপর হাতাহাতির মুখস্থ দৃশ্য ‘ব্ল্যাক ওয়ার’ সিনেমায়ও আছে। আর আছে প্রোডাক্ট রিপ্লেসমেন্টের যন্ত্রণা। গল্পের নানা জায়গায় যেভাবে পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়েছে, সেটা চোখে লাগে।
এটুকু অস্বস্তি পাশ কাটিয়ে গেলে সিনেমাটির আগাগোড়া দারুণ উপভোগ্য। এ কথা নিশ্চিতভাবে বলাই যায়, বাংলা অ্যাকশন সিনেমায় ‘ব্ল্যাক ওয়ার’ এক নতুন দিক খুলে দিল। আরিফিন শুভ এবং শুভ শক্তি—দুটিরই হলো জয়।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে