সরিষার বাম্পার ফলনের আশা কৃষকদের

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২২, ০৭: ৪৫
আপডেট : ১৭ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ৪৫

চলতি মৌসুমে বরগুনার আমতলী উপজেলায় পতিত জমিতে লবণসহিষ্ণু সরিষা চাষ করা হয়েছে। বেড়ে ওঠা গাছ আর ফুল দেখে সরিষার বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকেরা। গত বছর সরিষার ভালো দাম পাওয়ায় এবারও সরিষা চাষে আগ্রহী হয়েছেন চাষিরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছরও লাভবান হবে বলে আশা করছেন কৃষকেরা।

আমতলী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এ বছর সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫০ হেক্টর। এর মধ্যে ১৫ হেক্টর পতিত। লবণাক্ততার কারণে ১৫ হেক্টর জমি দীর্ঘদিন পতিত ছিল। উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে ওই পতিত জমিতে কৃষকেরা লবণসহিষ্ণু জাতের বিনা সরিষা-৯ চাষ করেছেন। এ ছাড়া তিন জাতের উচ্চ ফলনশীল বিনা-৪, বারি সরিষা-১৪ ও বারি সরিষা-১৫ বেশি চাষ করেছেন কৃষকেরা। অগ্রহায়ণ মাসের শুরুতে কৃষকেরা উচ্চ ফলনশীল সরিষা চাষ করেন। তিন মাসের মধ্যে সরিষার ফলন আসে। মাঘ মাসের শেষে কৃষকেরা সরিষার ফলন কাটা শুরু করবেন। তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকেরা পুষ্টিকর তেল পেতে সরিষা চাষে ঝুঁকছেন বলে জানান উপসহকারী কৃষি অফিসার মো. বাবুল মিয়া।

ঘটখালী গ্রামের কৃষক মো. মহসিন হাওলাদার বলেন, ‘গত ১০ বছর ধরে আমার এক একর জমি পতিত ছিল। লবণাক্ততার কারণে ওই জমিতে ফসল তো দূরের কথা, ঘাসও হতো না। ওই জমিতে এ বছর লবণসহিষ্ণু সরিষা চাষ করেছি। বাম্পার ফলন হয়েছে। আশা করি নিজের তেলের চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি করে ভালো লাভবান হব। উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ ও তাঁদের দেওয়া লবণসহিষ্ণু বীজ আবাদ করেছি।’

একই গ্রামের মিঠু ও নেপাল বলেন, পতিত জমিতে সরিষা চাষ করেছি। ভালো ফলন হয়েছে। আশা করি পরিবারের তেলের চাহিদা পূরণ করে বেশ ভালো লাভবান হতে পারব।

চালিতাবুনিয়া গ্রামের মহিউদ্দিন মাতুব্বর বলেন, এ বছর উচ্চ ফলনশীল জাতের সরিষা চাষ করেছি। এর আগে সরিষা চাষ করিনি। ভালো ফলন হয়েছে।

আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার সি এম রেজাউল করিম বলেন, ‘পতিত জমিতে লবণসহিষ্ণু বিনা সরিষা-৯ চাষ করে করেছেন কৃষকেরা। ফলনও ভালো হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর কৃষকেরা সরিষা চাষে বেশি ঝুঁকছেন। এ বছর পতিত জমিসহ ৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত