নুরুল আমীন রবীন, শরীয়তপুর
পদ্মাপারের জেলা শরীয়তপুরে গ্যাসকূপ খননের কাজ শুরু করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত পেট্রোলিয়াম অনুসন্ধান ও উৎপাদন প্রতিষ্ঠান (বাপেক্স)। কূপ খননের পর গ্যাসের সন্তোষজনক মজুত নিশ্চিত হলেই শুরু হবে উত্তোলন প্রক্রিয়া। কর্তৃপক্ষও আশাবাদী এখানে চাহিদা অনুযায়ী গ্যাসের মজুত রয়েছে। নতুন এই কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন সম্ভব হলে পাল্টে যাবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনীতি। স্থানীয়রাও তাই স্বপ্ন দেখছে এই গ্যাসক্ষেত্র পাল্টে দেবে তাঁদের জীবন।
বাপেক্স সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে দ্বিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপে প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান মেলে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার চামটা ইউনিয়নের দিনারা গ্রামে। গ্যাসের মজুত জানতে ২০২১ সালে দেড় বছর মেয়াদে ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে কূপ খননের কাজ শুরু করে বাপেক্স। প্রাথমিক পর্যায়ে মজুত নিশ্চিত হতে অবকাঠামো আর যন্ত্রপাতি স্থাপনে ৭ দশমিক ১২ একর জমির দখল বুঝে নেয় বাপেক্স। ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণের টাকাও নির্ধারিত সময়ে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই জমির ওপর মূল কূপের রিগ প্যাড, বিদ্যুৎ-সংযোগ, ওয়াশ ব্লগ, ওয়াটার টার্মিনাল, পাম্পহাউস, সীমানাপ্রাচীর, আবাসন, পয়োনিষ্কাশনের নালা নির্মাণ করা হয়েছে। প্রধান সড়ক থেকে ভারী যন্ত্রপাতি পরিবহনের জন্য নতুন সড়ক উন্নয়নের কাজও শেষ করা হয়েছে। এখন চলছে কেমিক্যাল গোডাউনের নির্মাণকাজ। ফেঞ্চুগঞ্জ গ্যাস ফিল্ড থেকে কূপ খননের জন্য প্রয়োজনীয় ভারী যন্ত্রপাতি ও শ্রমিকদের আবাসনের প্রয়োজনীয় উপকরণের প্রথম চালান পৌঁছে গেছে প্রকল্প এলাকায়। শিগগির শুরু হবে ড্রিলিং রিগ প্যাডে ৩.৫ কিলোমিটার ভূ-গর্ভস্থ কূপ খনন। কূপ খননের পর গ্যাসের পরিমাণ ২০০ থেকে ১০০০ পিএসআই হলেই উত্তোলন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। মূল কূপ খননের আগে শেষ মুহূর্তের কাজ সম্পন্ন করতে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন শ্রমিক ও প্রকৌশলীরা।
সারা বিশ্বের মতো দেশেও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে জ্বালানি সংকট। এই মুহূর্তে গ্যাস অনুসন্ধানের এমন উদ্যোগ মানুষের মাঝে আশার সঞ্চার করেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে গ্যাসের সন্ধান মেলায় খুশি স্থানীয়রা। গ্যাস উত্তোলনের পর এলাকায় কলকারখানা নির্মাণে বিশাল কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। পদ্মা সেতুর পর এই ক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনীতিতে বিশাল ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত বৃহস্পতিবার সকালে দিনারা গ্রামের গ্যাসকূপ প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায়, কাঁটাতারের বেড়ায় প্রকল্প এলাকার শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করতে হলো প্রকল্প এলাকায়। ভেতরে মূল গেটের দেড় শ মিটার সামনেই চলছে কেমিক্যাল গোডাউনের নির্মাণকাজ। ভবনের বেইজ ঢালাইয়ের জন্য রড বাইন্ডিংয়ের কাজ করছেন শ্রমিকেরা। কিছু শ্রমিক আবার ঢালাই করা অংশে পানি দিচ্ছেন। যেখানে কূপ খনন করা হবে সেই অংশে ১২ থেকে ১৫ ফুটের একটি বিশাল মুখ রেখে বাকি অংশ ১০ ইঞ্চি আরসিসি ঢালাই দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রকল্প এলাকায় প্রবেশের মুখে কথা হয় স্থানীয় মুদিদোকানি মো. ইব্রাহিমের সঙ্গে। উচ্ছ্বসিত ইব্রাহিম বলেন, ‘জীবনে কল্পনাও করিনি আমাদের মাটির নিচে এমন মূল্যবান সম্পদ লুকিয়ে আছে। এখন অপেক্ষায় আছি কবে গ্যাস উত্তোলন শুরু হবে। এখান থেকে গ্যাস উত্তোলন সম্ভব হলে আমাদের এই এলাকার চিত্র বদলে যাবে। বড় বড় শিল্পকলকারখানা হবে, যেখানে আমাদের এলাকার মানুষের বিশাল কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।’
বাপেক্সের পুরকৌশল বিভাগের ব্যবস্থাপক আলতাফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কূপ খননের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো আর ভূমি উন্নয়নের কাজ ৯৮ শতাংশ শেষ হয়েছে। ভারী যন্ত্রাংশ আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এরপরই শুরু হবে ড্রিলিংয়ের মূল কাজ। যে কাজের জন্য আমরা অধীর আগ্রহের সঙ্গে অপেক্ষা করছি। আমরা আশাবাদী এখানে উত্তোলনের জন্য চাহিদা অনুযায়ী গ্যাসের মজুত রয়েছে।’
পদ্মাপারের জেলা শরীয়তপুরে গ্যাসকূপ খননের কাজ শুরু করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত পেট্রোলিয়াম অনুসন্ধান ও উৎপাদন প্রতিষ্ঠান (বাপেক্স)। কূপ খননের পর গ্যাসের সন্তোষজনক মজুত নিশ্চিত হলেই শুরু হবে উত্তোলন প্রক্রিয়া। কর্তৃপক্ষও আশাবাদী এখানে চাহিদা অনুযায়ী গ্যাসের মজুত রয়েছে। নতুন এই কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন সম্ভব হলে পাল্টে যাবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনীতি। স্থানীয়রাও তাই স্বপ্ন দেখছে এই গ্যাসক্ষেত্র পাল্টে দেবে তাঁদের জীবন।
বাপেক্স সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে দ্বিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপে প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান মেলে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার চামটা ইউনিয়নের দিনারা গ্রামে। গ্যাসের মজুত জানতে ২০২১ সালে দেড় বছর মেয়াদে ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে কূপ খননের কাজ শুরু করে বাপেক্স। প্রাথমিক পর্যায়ে মজুত নিশ্চিত হতে অবকাঠামো আর যন্ত্রপাতি স্থাপনে ৭ দশমিক ১২ একর জমির দখল বুঝে নেয় বাপেক্স। ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণের টাকাও নির্ধারিত সময়ে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই জমির ওপর মূল কূপের রিগ প্যাড, বিদ্যুৎ-সংযোগ, ওয়াশ ব্লগ, ওয়াটার টার্মিনাল, পাম্পহাউস, সীমানাপ্রাচীর, আবাসন, পয়োনিষ্কাশনের নালা নির্মাণ করা হয়েছে। প্রধান সড়ক থেকে ভারী যন্ত্রপাতি পরিবহনের জন্য নতুন সড়ক উন্নয়নের কাজও শেষ করা হয়েছে। এখন চলছে কেমিক্যাল গোডাউনের নির্মাণকাজ। ফেঞ্চুগঞ্জ গ্যাস ফিল্ড থেকে কূপ খননের জন্য প্রয়োজনীয় ভারী যন্ত্রপাতি ও শ্রমিকদের আবাসনের প্রয়োজনীয় উপকরণের প্রথম চালান পৌঁছে গেছে প্রকল্প এলাকায়। শিগগির শুরু হবে ড্রিলিং রিগ প্যাডে ৩.৫ কিলোমিটার ভূ-গর্ভস্থ কূপ খনন। কূপ খননের পর গ্যাসের পরিমাণ ২০০ থেকে ১০০০ পিএসআই হলেই উত্তোলন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। মূল কূপ খননের আগে শেষ মুহূর্তের কাজ সম্পন্ন করতে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন শ্রমিক ও প্রকৌশলীরা।
সারা বিশ্বের মতো দেশেও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে জ্বালানি সংকট। এই মুহূর্তে গ্যাস অনুসন্ধানের এমন উদ্যোগ মানুষের মাঝে আশার সঞ্চার করেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে গ্যাসের সন্ধান মেলায় খুশি স্থানীয়রা। গ্যাস উত্তোলনের পর এলাকায় কলকারখানা নির্মাণে বিশাল কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। পদ্মা সেতুর পর এই ক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনীতিতে বিশাল ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত বৃহস্পতিবার সকালে দিনারা গ্রামের গ্যাসকূপ প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায়, কাঁটাতারের বেড়ায় প্রকল্প এলাকার শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করতে হলো প্রকল্প এলাকায়। ভেতরে মূল গেটের দেড় শ মিটার সামনেই চলছে কেমিক্যাল গোডাউনের নির্মাণকাজ। ভবনের বেইজ ঢালাইয়ের জন্য রড বাইন্ডিংয়ের কাজ করছেন শ্রমিকেরা। কিছু শ্রমিক আবার ঢালাই করা অংশে পানি দিচ্ছেন। যেখানে কূপ খনন করা হবে সেই অংশে ১২ থেকে ১৫ ফুটের একটি বিশাল মুখ রেখে বাকি অংশ ১০ ইঞ্চি আরসিসি ঢালাই দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রকল্প এলাকায় প্রবেশের মুখে কথা হয় স্থানীয় মুদিদোকানি মো. ইব্রাহিমের সঙ্গে। উচ্ছ্বসিত ইব্রাহিম বলেন, ‘জীবনে কল্পনাও করিনি আমাদের মাটির নিচে এমন মূল্যবান সম্পদ লুকিয়ে আছে। এখন অপেক্ষায় আছি কবে গ্যাস উত্তোলন শুরু হবে। এখান থেকে গ্যাস উত্তোলন সম্ভব হলে আমাদের এই এলাকার চিত্র বদলে যাবে। বড় বড় শিল্পকলকারখানা হবে, যেখানে আমাদের এলাকার মানুষের বিশাল কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।’
বাপেক্সের পুরকৌশল বিভাগের ব্যবস্থাপক আলতাফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কূপ খননের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো আর ভূমি উন্নয়নের কাজ ৯৮ শতাংশ শেষ হয়েছে। ভারী যন্ত্রাংশ আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এরপরই শুরু হবে ড্রিলিংয়ের মূল কাজ। যে কাজের জন্য আমরা অধীর আগ্রহের সঙ্গে অপেক্ষা করছি। আমরা আশাবাদী এখানে উত্তোলনের জন্য চাহিদা অনুযায়ী গ্যাসের মজুত রয়েছে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে