ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
গ্রামগঞ্জ থেকে ঐতিহ্যবাহী বাঁশের তৈরি নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী এখনো হারিয়ে যায়নি। বাঁশের তৈরি বাহারি নকশা ও কারুকাজের শৌখিন ছাদ ও বেড়া এখনো মানুষের মন কাড়ে। বাঁশে এখনো জীবিকার প্রধান মাধ্যম হিসেবে আঁকড়ে রেখেছে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার গুটিকয়েক পরিবার।
বাঁশের তৈরি বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়ায় এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত কারিগরেরা পেশা বদলাতে বাধ্য হচ্ছেন। আবার অনেকেই ধরে আছেন বাপ-দাদার এ পেশা। বাঁশের তৈরি এসব পণ্যের ভালো বিক্রি না থাকায় অভাবের তাড়নায় এই শিল্পের কারিগরদের অনেকেই বাপ-দাদার পেশা ছেড়ে অন্য পেশার দিকে ছুটছেন। অভাব অনটনের মাঝে উপজেলায় হাতেগোনা কয়েকটি পরিবার আজও এ পেশা আঁকড়ে রেখেছেন।
ফুলবাড়ীর মধ্য কাশিপুর, ধর্মপুর, শ্যামপুর এবং নেওয়াশী এলাকার ৭০ থেকে ৮০টি পরিবার এখনো এ পেশা আঁকড়ে আছেন। বাঁশের দাম বাড়ায় ধীরে ধীরে কমছে বাঁশ পণ্যের ব্যবহার। একটা সময়ে গ্রামে বাঁশের তৈরি বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী যেমন বাচ্চাদের দোলনা, পাখা, বাঁশি, ঝাড়ু, মাছ ধরার ফাঁদ, ঘরের ছাদ, বেড়া, গালি, কুলা, চালনি, ধারাসহ বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র তৈরি হতো।
২০ থেকে ৩০ টাকার বাঁশ এখন ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। উপজেলার শ্যামপুর শিমুলতলার কারিগর মকবুল হোসেন, জামাল মিয়া ও নাসির উদ্দিন বলেন, এ অঞ্চলে আমরা হাতেগোনা কয়েকটি পরিবার আজও ঘরের ছাদ ও বেড়া নির্মাণে নিয়োজিত আছি। আমাদের বাপ দাদারা এ পেশার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আমরা এর মায়া ত্যাগ করতে পারিনি।
উপজেলার কবির মামুদ গ্রামের তহিদুল হক জানান, একটি বাঁশ থেকে ১০ থেকে ১২টি ডালি হয়। সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতিটি বাঁশ থেকে ১০ থেকে ২০ টাকা লাভ থাকে।
উপজেলার সোনাইকাজী গ্ৰামের মহিলা উদ্দিন ও সুধাংশু রায় জানান, তাঁরা এই শিল্প টিকিয়ে রাখতে অতিকষ্টে ধারদেনা করে এবং বিভিন্ন সমিতি থেকে বেশি সুদে ঋণ নিয়ে কোনো মতে টিকে আছেন। স্বল্প সুদে ঋণ পেলে স্বাবলম্বী হতে পারতেন। ফলে শিল্পকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব হতো।
উপজেলার খড়িবাড়ি এলাকায় বাঁশ বেতের তৈরি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিপুণ হাতে তৈরি করেন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের নরেন বিশ্বাস, যোগেন, মাধবসহ ২০টি পরিবার। গৃহস্থালি কাজে ব্যবহৃত ডালা, চালনিসহ মাছ শিকারের বিভিন্ন সামগ্রী। এসব তাঁরা তৈরি করে পাইকারের কাছে বিক্রি করেন। বিনিময়ে সামান্য আয় পেয়ে তাঁরা খুশি হন।
উপজেলার দক্ষিণ শ্যামপুর গ্রামের জাহিদুল হক ও তাঁর স্ত্রী মিনু বেগম বলেন, বাপদাদার রেখে যাওয়া এ শিল্পের দুর্দিনেও তাঁরা হাতেগোনা কিছু পরিবার বাঁশ বেত শিল্পকে আঁকড়ে আছেন। অনেকে অন্য পেশায় গেলেও পূর্বপুরুষের এই পেশা কিছুতেই ছাড়তে পারেনি তাঁরা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন দাস বলেন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের যারা এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত আছেন, তাঁদের স্বল্প সুদে ঋণসহ সব সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
গ্রামগঞ্জ থেকে ঐতিহ্যবাহী বাঁশের তৈরি নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী এখনো হারিয়ে যায়নি। বাঁশের তৈরি বাহারি নকশা ও কারুকাজের শৌখিন ছাদ ও বেড়া এখনো মানুষের মন কাড়ে। বাঁশে এখনো জীবিকার প্রধান মাধ্যম হিসেবে আঁকড়ে রেখেছে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার গুটিকয়েক পরিবার।
বাঁশের তৈরি বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়ায় এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত কারিগরেরা পেশা বদলাতে বাধ্য হচ্ছেন। আবার অনেকেই ধরে আছেন বাপ-দাদার এ পেশা। বাঁশের তৈরি এসব পণ্যের ভালো বিক্রি না থাকায় অভাবের তাড়নায় এই শিল্পের কারিগরদের অনেকেই বাপ-দাদার পেশা ছেড়ে অন্য পেশার দিকে ছুটছেন। অভাব অনটনের মাঝে উপজেলায় হাতেগোনা কয়েকটি পরিবার আজও এ পেশা আঁকড়ে রেখেছেন।
ফুলবাড়ীর মধ্য কাশিপুর, ধর্মপুর, শ্যামপুর এবং নেওয়াশী এলাকার ৭০ থেকে ৮০টি পরিবার এখনো এ পেশা আঁকড়ে আছেন। বাঁশের দাম বাড়ায় ধীরে ধীরে কমছে বাঁশ পণ্যের ব্যবহার। একটা সময়ে গ্রামে বাঁশের তৈরি বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী যেমন বাচ্চাদের দোলনা, পাখা, বাঁশি, ঝাড়ু, মাছ ধরার ফাঁদ, ঘরের ছাদ, বেড়া, গালি, কুলা, চালনি, ধারাসহ বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র তৈরি হতো।
২০ থেকে ৩০ টাকার বাঁশ এখন ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। উপজেলার শ্যামপুর শিমুলতলার কারিগর মকবুল হোসেন, জামাল মিয়া ও নাসির উদ্দিন বলেন, এ অঞ্চলে আমরা হাতেগোনা কয়েকটি পরিবার আজও ঘরের ছাদ ও বেড়া নির্মাণে নিয়োজিত আছি। আমাদের বাপ দাদারা এ পেশার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আমরা এর মায়া ত্যাগ করতে পারিনি।
উপজেলার কবির মামুদ গ্রামের তহিদুল হক জানান, একটি বাঁশ থেকে ১০ থেকে ১২টি ডালি হয়। সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতিটি বাঁশ থেকে ১০ থেকে ২০ টাকা লাভ থাকে।
উপজেলার সোনাইকাজী গ্ৰামের মহিলা উদ্দিন ও সুধাংশু রায় জানান, তাঁরা এই শিল্প টিকিয়ে রাখতে অতিকষ্টে ধারদেনা করে এবং বিভিন্ন সমিতি থেকে বেশি সুদে ঋণ নিয়ে কোনো মতে টিকে আছেন। স্বল্প সুদে ঋণ পেলে স্বাবলম্বী হতে পারতেন। ফলে শিল্পকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব হতো।
উপজেলার খড়িবাড়ি এলাকায় বাঁশ বেতের তৈরি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিপুণ হাতে তৈরি করেন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের নরেন বিশ্বাস, যোগেন, মাধবসহ ২০টি পরিবার। গৃহস্থালি কাজে ব্যবহৃত ডালা, চালনিসহ মাছ শিকারের বিভিন্ন সামগ্রী। এসব তাঁরা তৈরি করে পাইকারের কাছে বিক্রি করেন। বিনিময়ে সামান্য আয় পেয়ে তাঁরা খুশি হন।
উপজেলার দক্ষিণ শ্যামপুর গ্রামের জাহিদুল হক ও তাঁর স্ত্রী মিনু বেগম বলেন, বাপদাদার রেখে যাওয়া এ শিল্পের দুর্দিনেও তাঁরা হাতেগোনা কিছু পরিবার বাঁশ বেত শিল্পকে আঁকড়ে আছেন। অনেকে অন্য পেশায় গেলেও পূর্বপুরুষের এই পেশা কিছুতেই ছাড়তে পারেনি তাঁরা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন দাস বলেন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের যারা এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত আছেন, তাঁদের স্বল্প সুদে ঋণসহ সব সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে