চাকরির নামে প্রতারণা

আবুল কাশেম, কুতুবদিয়া (কক্সবাজার)
প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২২, ০৭: ০৩
আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২২, ১৪: ৩৬

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় চাকরি দেওয়ার নামে তরুণদের ফাঁদে ফেলছে একটি প্রতারক চক্র। মোবাইল ফোনে এলাকায় পরিচিত সাবেক-বর্তমান সরকারি চাকরিজীবীদের নাম ভাঙিয়ে বিকাশের মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। চাকরির লোভে শিক্ষিত বেকার যুবকেরা ওই চক্রের ফাঁদে পড়ছেন। তবে যখন ঠকে যাচ্ছেন তাঁরা, তখন আর মুখ খুলছেন না। কারণ অধিকাংশ যুবককেই সরকারি নানা সংস্থায় চাকরির প্রলোভন দেখায় প্রতারকেরা।

উপজেলার দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নের পূর্ব আলী ফকির ডেইল গ্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা শাহেদুল আলম বলেন, গত সপ্তাহে তাঁর নাম ভাঙিয়ে কয়েকটি মোবাইল ফোন নম্বর (০১৮৭০৬৪৫১৪৭,০১৬২৪৯৮৫১৭৮, ০১৬১০৯৬৮৬০১) থেকে স্থানীয় বেশ যুবককে লোক দিতে বলে প্রতারক চক্র। তাঁদের বলা হয়, দ্বীপাঞ্চল কোটায় চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন ও ঊর্ধ্বতম কর্মকর্তাদের খুশি করার কথা বলে অন্তত ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকেরা। ওই চক্রটির দেওয়া বিকাশ নম্বরে (০১৭৫৪৫২৯৬০৫, ০১৮৬০২৫৯৯৯২, ০১৬২৪৯৮৫১৭৮) টাকা দেওয়ার পর নম্বর বন্ধ করে দেওয়া হয়।

প্রতারিত যুবকেরা পরে বিষয়টি শাহেদুল আলমের পারিবারের সদস্যদের জানান। তিনি বিষয়টি জানতে পেরে কুতুবদিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করার উদ্যোগ নেন। তবে সেখানে ডায়েরি না নেওয়ায় গত ২৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানায় ডায়েরিটি করান ওই সাবেক সেনা কর্মকর্তা।

একই ভাবে লেমশীখালীর নুর আলম সওদাগরের পুত্র খোরশেদ আলমকে সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নামে বিকাশের মাধ্যমে ৩ দফায় ৩৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকেরা। ওই যুবকের চাচা সাবেক ইউপি সদস্য নুর মোহাম্মদ বলেন, প্রতারক চক্রের সদস্যরা আবদুল মান্নান নামের এক সেনা সদস্যের নাম ভাঙিয়ে ওই টাকা নেয়।

ধুরুং বাজারের হোটেল ব্যবসায়ী মানিক সওদাগর বলেন, কয়েক মাস আগে দক্ষিণ ধুরুং ইউপির সাবেক চেয়ারম্যানের নাম করে তাঁর কাছ থেকে বিকাশে ১০ হাজার টাকা বিকাশে ধার নেয় প্রতারকেরা। পরে বিষয়টি ওই সাবেক চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। ওই প্রতারককে শনাক্ত করতে পারলেও ভয়ে তাঁর নাম প্রকাশ করতে চাননি ওই ব্যবসায়ী।

কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওমর হায়দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, অনেকই সম্প্রতি এ ধরনের প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। তবে অনেক প্রতারক দূরবর্তী বিভিন্ন জেলার মোবাইল ফোন নম্বর ব্যবহার করছে। অনেকেই না বুঝে বোকার মতো মিথ্যা প্রলোভনে সরকারি চাকরির লোভে টাকা দিচ্ছেন। অনেক সময় তাঁরা বিষয়গুলো চেপে যান। অনেকেই অভিযোগ করতে অনীহা দেখান।

ওসি আরও বলেন, বিশেষ করে সেনাবাহিনীতে চাকরির বেলায় কোনো ঘুষ বা আর্থিক লেনদেনের সুযোগ নেই। সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত