সবুজ শর্মা শাকিল, সীতাকুণ্ড
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশে বাড়ছে দুর্ঘটনা। একই সঙ্গে উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এই মহাসড়কের পাশে হওয়ায় চলাচলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। মহাসড়কে মৃত্যুর মিছিল বন্ধে নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিভিন্ন সময় কর্মসূচি পালন করলেও সড়কগুলো আরও বেশি অনিরাপদ হয়ে উঠেছে।
মহাসড়কের এই অংশে দুর্ঘটনার বেশকিছু কারণ চিহ্নিত করেছে হাইওয়ে পুলিশ। এসবের মধ্যে আছে ট্রাফিক আইন অমান্য করে মহাসড়কে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালক (অধিকাংশ ক্ষেত্রে সহকারীর হাতে গাড়ি থাকা), নিয়ম ভঙ্গ করে ওভার লোডিং, ওভারটেকিংয়ের প্রবণতা, চালকদের দীর্ঘক্ষণ বিরামহীন গতিতে গাড়ি চালানো ট্রাফিক আইন যথাযথভাবে অনুসরণ না করা, উল্টোপথে গাড়ি চালানো, সংযোগ সড়ক থেকে দ্রুতগতিতে মহাসড়কে ওঠা, ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি চলাচল এবং ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক ও চলাচলের অনুপযোগী সড়ক অন্যতম।
এ ছাড়াও সময় বাঁচাতে পথচারীদের ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার না করা ও ঝুঁকি নিয়ে দ্রুত মহাসড়ক পারাপার করতে গিয়ে অনেক সময় দুর্ঘটনার শিকার হন। মহাসড়কে যানবাহন দুর্ঘটনায় পড়ে যত মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে, তার ৬০ শতাংশ হারাচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণভাবে সড়ক পার হতে গিয়ে। পথচারী ও সাধারণ মানুষ সড়ক পারাপারে একটু সতর্ক হলেই অনেক প্রাণ বেঁচে যাবে।
হাইওয়ে পুলিশের তথ্যানুসারে জানা গেছে, চলতি বছরের তিন মাসে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশে ছোট-বড় ৪৫টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় পথচারী, চালক ও চালকের সহকারীসহ ১৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে এবং আহত হয়েছে শতাধিক। এসব ঘটনায় ১০টি মামলা করা হয়েছে। শুধু গত এপ্রিলের ৪ দিনেই ৩ জন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, সিএনজিচালিত লেগুনা ও সেফ লাইন নামে তিন শতাধিক গাড়ি মহাসড়কে চলাচল করে। এ ছাড়া সীতাকুণ্ড এলাকায় তিন শতাধিক সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও দুই শতাধিক ব্যাটারিচালিত রিকশা রয়েছে। এসব গাড়ির চালকদের বেশির ভাগই অদক্ষ। স্থানীয় রিকশাচালকেরা অভিজ্ঞতা ছাড়াই এগোলো চালাচ্ছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। যার ফলে সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। এ ছাড়া মহাসড়ক চার লেন হওয়াতে সড়কে গাড়ির চাপ অনেকটা কমে গেছে। যার ফলে চালকেরা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাতে থাকেন। আর ওভারটেক প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে এসব গাড়ি।
পথচারী ও সাধারণ মানুষের অভিযোগ, বেপরোয়া ও অনিয়ন্ত্রিতভাবে গাড়ি চালানো, মাত্রাতিরিক্ত গতি ও ওভারটেকের প্রতিযোগিতা, চালকদের অবসাদগ্রস্ত কিংবা মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালানো, যানবাহনের যান্ত্রিক ত্রুটি এবং চালকদের অপর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ও অনভিজ্ঞতা এবং ট্রাফিক আইন না জানা ও যথাযথ অনুসরণ না করা এসব দুর্ঘটনার কারণ হলেও প্রশাসন বা কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনা রোধে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাব সভাপতি সৌমিত্র চক্রবর্তী জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে। মহাসড়কের এ অংশে বেড়ে যাওয়া দুর্ঘটনার অধিকাংশ ঘটছে চালক ও সাধারণ মানুষের সচেতনতার অভাবে।
কুমিরা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোহাম্মদ আবদুল্ল্যাহ জানান, মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশে চালকের ওভারস্পিড, ওভারটেক ও ওভারলোডের কারণে ক্রমে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে। এসবের নেপথ্যে রয়েছে অধিকাংশ চালকের দুর্বলতা। বেশি টাকা উপার্জন ও একাধিক ট্রিপ মারতে ঘুমচোখে গাড়ি চালানো এবং ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত পণ্য বহন করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। এ ছাড়া চালকের পরিবর্তে তার সহকারীকে দিয়ে গাড়ি চালানোর ফলেও ঘটছে দুর্ঘটনা।
বারো আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল জানান, সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে গতকাল শনিবার থেকে মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশে মাসব্যাপী হাইওয়ে পুলিশের উদ্যোগে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে। রমজান ও ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে চালকদের সচেতন করতে ও মহাসড়কে যানজট, চাঁদাবাজি বন্ধপূর্বক যাত্রা নিরাপদ করতে তারা এই তৎপরতা শুরু করেছেন। অভিযানকালে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে লাইসেন্সবিহীন চালক ও ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা, অনুমোদনবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা, পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ ও ফুটপাত দখলমুক্ত রাখাসহ নানামুখী কর্মতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশে বাড়ছে দুর্ঘটনা। একই সঙ্গে উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এই মহাসড়কের পাশে হওয়ায় চলাচলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। মহাসড়কে মৃত্যুর মিছিল বন্ধে নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিভিন্ন সময় কর্মসূচি পালন করলেও সড়কগুলো আরও বেশি অনিরাপদ হয়ে উঠেছে।
মহাসড়কের এই অংশে দুর্ঘটনার বেশকিছু কারণ চিহ্নিত করেছে হাইওয়ে পুলিশ। এসবের মধ্যে আছে ট্রাফিক আইন অমান্য করে মহাসড়কে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালক (অধিকাংশ ক্ষেত্রে সহকারীর হাতে গাড়ি থাকা), নিয়ম ভঙ্গ করে ওভার লোডিং, ওভারটেকিংয়ের প্রবণতা, চালকদের দীর্ঘক্ষণ বিরামহীন গতিতে গাড়ি চালানো ট্রাফিক আইন যথাযথভাবে অনুসরণ না করা, উল্টোপথে গাড়ি চালানো, সংযোগ সড়ক থেকে দ্রুতগতিতে মহাসড়কে ওঠা, ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি চলাচল এবং ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক ও চলাচলের অনুপযোগী সড়ক অন্যতম।
এ ছাড়াও সময় বাঁচাতে পথচারীদের ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার না করা ও ঝুঁকি নিয়ে দ্রুত মহাসড়ক পারাপার করতে গিয়ে অনেক সময় দুর্ঘটনার শিকার হন। মহাসড়কে যানবাহন দুর্ঘটনায় পড়ে যত মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে, তার ৬০ শতাংশ হারাচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণভাবে সড়ক পার হতে গিয়ে। পথচারী ও সাধারণ মানুষ সড়ক পারাপারে একটু সতর্ক হলেই অনেক প্রাণ বেঁচে যাবে।
হাইওয়ে পুলিশের তথ্যানুসারে জানা গেছে, চলতি বছরের তিন মাসে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশে ছোট-বড় ৪৫টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় পথচারী, চালক ও চালকের সহকারীসহ ১৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে এবং আহত হয়েছে শতাধিক। এসব ঘটনায় ১০টি মামলা করা হয়েছে। শুধু গত এপ্রিলের ৪ দিনেই ৩ জন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, সিএনজিচালিত লেগুনা ও সেফ লাইন নামে তিন শতাধিক গাড়ি মহাসড়কে চলাচল করে। এ ছাড়া সীতাকুণ্ড এলাকায় তিন শতাধিক সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও দুই শতাধিক ব্যাটারিচালিত রিকশা রয়েছে। এসব গাড়ির চালকদের বেশির ভাগই অদক্ষ। স্থানীয় রিকশাচালকেরা অভিজ্ঞতা ছাড়াই এগোলো চালাচ্ছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। যার ফলে সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। এ ছাড়া মহাসড়ক চার লেন হওয়াতে সড়কে গাড়ির চাপ অনেকটা কমে গেছে। যার ফলে চালকেরা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাতে থাকেন। আর ওভারটেক প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে এসব গাড়ি।
পথচারী ও সাধারণ মানুষের অভিযোগ, বেপরোয়া ও অনিয়ন্ত্রিতভাবে গাড়ি চালানো, মাত্রাতিরিক্ত গতি ও ওভারটেকের প্রতিযোগিতা, চালকদের অবসাদগ্রস্ত কিংবা মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালানো, যানবাহনের যান্ত্রিক ত্রুটি এবং চালকদের অপর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ও অনভিজ্ঞতা এবং ট্রাফিক আইন না জানা ও যথাযথ অনুসরণ না করা এসব দুর্ঘটনার কারণ হলেও প্রশাসন বা কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনা রোধে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাব সভাপতি সৌমিত্র চক্রবর্তী জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে। মহাসড়কের এ অংশে বেড়ে যাওয়া দুর্ঘটনার অধিকাংশ ঘটছে চালক ও সাধারণ মানুষের সচেতনতার অভাবে।
কুমিরা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোহাম্মদ আবদুল্ল্যাহ জানান, মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশে চালকের ওভারস্পিড, ওভারটেক ও ওভারলোডের কারণে ক্রমে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে। এসবের নেপথ্যে রয়েছে অধিকাংশ চালকের দুর্বলতা। বেশি টাকা উপার্জন ও একাধিক ট্রিপ মারতে ঘুমচোখে গাড়ি চালানো এবং ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত পণ্য বহন করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। এ ছাড়া চালকের পরিবর্তে তার সহকারীকে দিয়ে গাড়ি চালানোর ফলেও ঘটছে দুর্ঘটনা।
বারো আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল জানান, সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে গতকাল শনিবার থেকে মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশে মাসব্যাপী হাইওয়ে পুলিশের উদ্যোগে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে। রমজান ও ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে চালকদের সচেতন করতে ও মহাসড়কে যানজট, চাঁদাবাজি বন্ধপূর্বক যাত্রা নিরাপদ করতে তারা এই তৎপরতা শুরু করেছেন। অভিযানকালে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে লাইসেন্সবিহীন চালক ও ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা, অনুমোদনবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা, পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ ও ফুটপাত দখলমুক্ত রাখাসহ নানামুখী কর্মতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে