সম্পাদকীয়
হানিফ ফ্লাইওভার-সংলগ্ন আনন্দবাজারে গত বৃহস্পতিবার ঘটেছিল ঘটনাটি। ছিল তীব্র যানজট। এর সুযোগ নিয়ে একদল মোটরসাইকেল আরোহী রাস্তার উল্টোদিক দিয়ে চালাচ্ছিলেন তাঁদের বাইক। শুধু কি তা-ই, এই উল্টোযাত্রাকে স্মরণীয় করে রাখতে মুহুর্মুহু বাজাচ্ছিলেন হর্ন।
কাজটা যে ঠিক নয়, সেটা ভেবে এই উল্টোযাত্রার প্রতিবাদ করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী। এর ফল কী হয়েছিল, জানেন? বাইকচালকেরা ইচ্ছেমতো ‘ধোলাই দেয়’ শিক্ষার্থীদের। অস্ত্র বের করে দেখান এবং দ্রুত সে জায়গা থেকে চলে যান। তাঁরা নাকি সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের সমর্থক। সে সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন একাধিক পুলিশ সদস্য। এই মারপিটের ঘটনার সময় তাঁরা নির্বিকার থাকেন। কাউন্সিলর অবশ্য বলেছেন, যাঁরা মারধর করেছেন, তাঁরা তাঁর অনুসারী নন, তাঁদের তিনি চেনেন না। কোন পথে তাঁদের চেনা যাবে, সেটা নিয়ে তিনি অবশ্য কিছু বলেননি। তবে এই শোডাউন করা বাইকচালকদের যে শক্ত খুঁটি আছে, সে কথা না বললেও বুঝতে অসুবিধা হয় না।
বিপরীত রাস্তায় বেআইনিভাবে চলছে যে বাইকগুলো, সেগুলোকে থামাচ্ছে না পুলিশ। এতে লঙ্ঘিত হচ্ছে সড়কপথের আইন। আইন লঙ্ঘন করা মাস্তানেরা আইন রক্ষাকারীদের অনায়াসে মেরে পার পেয়ে যাচ্ছে। এরপর শিক্ষার্থীরা যখন এই অর্বাচীনদের বিচারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করেন, তখন শাস্তি পেতে থাকে ঢাকাবাসী। পুরো ঢাকা যানজটে স্থবির হয়ে পড়ে। বিকেল ৫টায় শুরু হওয়া ঘটনায় রাত ৯টা পর্যন্ত অবরোধ করে রাখা হয় রাস্তা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং ছাত্রলীগের নেতাদের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে রাস্তা ছেড়ে দেন শিক্ষার্থীরা।
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের বিষয় কিন্তু ঘটেই চলেছে। একটু লক্ষ করলেই দেখা যাবে, মোটরসাইকেলচালকদের অনেকেরই একটা প্রবণতা রয়েছে, চলাচলের আইন না মেনে বাইক চালাচ্ছেন। অন্য কোনো বাহনের বাঁ দিক দিয়ে যখন ওভারটেক করছে কোনো বাইক, তখন ডান দিক থেকেও আড়াআড়িভাবে আরেকটি মোটরসাইকেল বেরিয়ে যাচ্ছে সামনে দিয়ে। রাস্তায় এগোনোর পথ না থাকলে বাইক উঠিয়ে দিচ্ছেন ফুটপাতে। হর্ন দিয়ে পথচারীদের সরিয়ে চলেছেন যেন রাজাধিরাজ। সিএনজিচালিত অটোরিকশাগুলো যেকোনো সময় নিজেদের নাক বাড়িয়ে দিয়ে দখল করে নিচ্ছে রাস্তা। অন্য বাহনের চালক একটু সতর্ক না হলে যেকোনো সময় সংঘর্ষের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। যাত্রী ওঠানোর জন্য অন্য বাহনের চলাচল স্থবির করে দিয়ে আড়াআড়িভাবে রাস্তা দখল করে নিচ্ছে বাসগুলো। এগুলো তো হাজারো নিয়ম ভঙ্গের কয়েকটি উদাহরণমাত্র। ট্রাফিক আইন থাকলেও এর প্রয়োগে অবহেলা হলে এ রকম ঘটনা ঘটতেই থাকবে।
আমাদের আলোচ্য ঘটনার বাইকচালক মাস্তানদের শাস্তি দিতে হলে তো প্রথমে দেখতে হবে, তাঁদের পাকড়াও করার জন্য কোনো সিসিটিভির ফুটেজ কিংবা কারও মোবাইলে তোলা ছবি আছে কি না। এরপর দেখতে হবে, তাঁরা রাজনৈতিক প্রভাবশালী কি না এবং রাজনৈতিক চাপের ঊর্ধ্বে উঠেই ব্যবস্থা করতে হবে শাস্তির। নইলে আবার হবে অবরোধ, আবার থমকে যাবে নাগরিক জীবন।
হানিফ ফ্লাইওভার-সংলগ্ন আনন্দবাজারে গত বৃহস্পতিবার ঘটেছিল ঘটনাটি। ছিল তীব্র যানজট। এর সুযোগ নিয়ে একদল মোটরসাইকেল আরোহী রাস্তার উল্টোদিক দিয়ে চালাচ্ছিলেন তাঁদের বাইক। শুধু কি তা-ই, এই উল্টোযাত্রাকে স্মরণীয় করে রাখতে মুহুর্মুহু বাজাচ্ছিলেন হর্ন।
কাজটা যে ঠিক নয়, সেটা ভেবে এই উল্টোযাত্রার প্রতিবাদ করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী। এর ফল কী হয়েছিল, জানেন? বাইকচালকেরা ইচ্ছেমতো ‘ধোলাই দেয়’ শিক্ষার্থীদের। অস্ত্র বের করে দেখান এবং দ্রুত সে জায়গা থেকে চলে যান। তাঁরা নাকি সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের সমর্থক। সে সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন একাধিক পুলিশ সদস্য। এই মারপিটের ঘটনার সময় তাঁরা নির্বিকার থাকেন। কাউন্সিলর অবশ্য বলেছেন, যাঁরা মারধর করেছেন, তাঁরা তাঁর অনুসারী নন, তাঁদের তিনি চেনেন না। কোন পথে তাঁদের চেনা যাবে, সেটা নিয়ে তিনি অবশ্য কিছু বলেননি। তবে এই শোডাউন করা বাইকচালকদের যে শক্ত খুঁটি আছে, সে কথা না বললেও বুঝতে অসুবিধা হয় না।
বিপরীত রাস্তায় বেআইনিভাবে চলছে যে বাইকগুলো, সেগুলোকে থামাচ্ছে না পুলিশ। এতে লঙ্ঘিত হচ্ছে সড়কপথের আইন। আইন লঙ্ঘন করা মাস্তানেরা আইন রক্ষাকারীদের অনায়াসে মেরে পার পেয়ে যাচ্ছে। এরপর শিক্ষার্থীরা যখন এই অর্বাচীনদের বিচারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করেন, তখন শাস্তি পেতে থাকে ঢাকাবাসী। পুরো ঢাকা যানজটে স্থবির হয়ে পড়ে। বিকেল ৫টায় শুরু হওয়া ঘটনায় রাত ৯টা পর্যন্ত অবরোধ করে রাখা হয় রাস্তা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং ছাত্রলীগের নেতাদের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে রাস্তা ছেড়ে দেন শিক্ষার্থীরা।
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের বিষয় কিন্তু ঘটেই চলেছে। একটু লক্ষ করলেই দেখা যাবে, মোটরসাইকেলচালকদের অনেকেরই একটা প্রবণতা রয়েছে, চলাচলের আইন না মেনে বাইক চালাচ্ছেন। অন্য কোনো বাহনের বাঁ দিক দিয়ে যখন ওভারটেক করছে কোনো বাইক, তখন ডান দিক থেকেও আড়াআড়িভাবে আরেকটি মোটরসাইকেল বেরিয়ে যাচ্ছে সামনে দিয়ে। রাস্তায় এগোনোর পথ না থাকলে বাইক উঠিয়ে দিচ্ছেন ফুটপাতে। হর্ন দিয়ে পথচারীদের সরিয়ে চলেছেন যেন রাজাধিরাজ। সিএনজিচালিত অটোরিকশাগুলো যেকোনো সময় নিজেদের নাক বাড়িয়ে দিয়ে দখল করে নিচ্ছে রাস্তা। অন্য বাহনের চালক একটু সতর্ক না হলে যেকোনো সময় সংঘর্ষের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। যাত্রী ওঠানোর জন্য অন্য বাহনের চলাচল স্থবির করে দিয়ে আড়াআড়িভাবে রাস্তা দখল করে নিচ্ছে বাসগুলো। এগুলো তো হাজারো নিয়ম ভঙ্গের কয়েকটি উদাহরণমাত্র। ট্রাফিক আইন থাকলেও এর প্রয়োগে অবহেলা হলে এ রকম ঘটনা ঘটতেই থাকবে।
আমাদের আলোচ্য ঘটনার বাইকচালক মাস্তানদের শাস্তি দিতে হলে তো প্রথমে দেখতে হবে, তাঁদের পাকড়াও করার জন্য কোনো সিসিটিভির ফুটেজ কিংবা কারও মোবাইলে তোলা ছবি আছে কি না। এরপর দেখতে হবে, তাঁরা রাজনৈতিক প্রভাবশালী কি না এবং রাজনৈতিক চাপের ঊর্ধ্বে উঠেই ব্যবস্থা করতে হবে শাস্তির। নইলে আবার হবে অবরোধ, আবার থমকে যাবে নাগরিক জীবন।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে