মীর মো. মহিব্বুল্লাহ, পটুয়াখালী
পটুয়াখালী শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া লোহালিয়া নদীর ওপর ১০ বছর আগে নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল লোহালিয়া সেতুর। এত বছরেও শেষ হয়নি সেতুর নির্মাণকাজ। দীর্ঘ সময় নিয়ে ৫৭৬ দশমিক ২৫ মিটার দৈর্ঘ্যের ও ৭ দশমিক ৩২ মিটার প্রস্থের এ সেতুর কাজ করায় একদিকে ব্যয় যেমন বেড়েছে, তেমনি সৃষ্টি হচ্ছে নানান জটিলতা।
এদিকে এলজিইডি বলছে, আগামী নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত লোহালিয়া নদীতে নৌ চলাচল বন্ধ রেখে আবারও কাজ শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। তবে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে সেতুটির নির্মাণকাজ নিয়ে একের পর এক জটিলতা তৈরি হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে নদীর দুই পাড়ের বাসিন্দারা। সেতুর অভাবে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষকে খেয়া নৌকায় পার হয়ে জেলা শহরে আসা-যাওয়া করতে হয়। তাই তো দ্রুত নির্মাণকাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছে তারা।
এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) ২০১২ সালে লোহালিয়া নদীর ওপর একটি গার্ডার সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। আর তখন সেতুর হরাইজন্টাল ক্লিয়ারেন্স ছিল ৩৫ মিটার এবং ভার্টিক্যাল ক্লিয়ারেন্স ৭ দশমিক ৩ মিটার এবং নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। সেতুর ৫৪ শতাংশ কাজ চলমান থাকা অবস্থায় ২০১৪ সালে পায়রা সমুদ্রবন্দর কর্তৃপক্ষ সেতু নির্মাণকাজে আপত্তি জানায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ১ অক্টোবর আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকে সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর নির্মাণকাজের আর অগ্রগতি হয়নি।
তবে কয়েক বছর কাজ বন্ধ থাকার পর আবার সেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ। ২০১৯ সালের আগস্টে সেতুর হরাইজন্টাল ক্লিয়ারেন্স ৭০ মিটার এবং ভার্টিক্যাল ক্লিয়ারেন্স ১৩ দশমিক ৫০ মিটার রেখে নতুন একটি প্রকল্পের মাধ্যমে অসমাপ্ত কাজ শুরু করা হয়, যা ২০২০ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসসহ বিভিন্ন কারণে কয়েক দফা সেতুটির নির্মাণকাজের মেয়াদ ও খরচ বাড়ানো হয়। আর এ বছরের জুনে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি।
এ ছাড়া সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুটি ধাপে লোহালিয়া সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হচ্ছে। সেতুর দুই পাশে কংক্রিটের কাঠামো থাকলেও নদীর মাঝখানে একটি ইস্পাতের কাঠামো থাকবে। ১০৭ মিটার দৈর্ঘ্যের ইস্পাতের কাঠামোটি চীনের একটি প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেছে। তবে স্টিলের কাঠামো স্থাপনের জন্য পটুয়াখালী-গলাচিপা নৌপথটি সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রাখা প্রয়োজন। এ বিষয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মধ্যে জটিলতা তৈরি হওয়ায় কয়েক মাস ধরে এটির নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। তবে সর্বশেষ গত ২৭ জুন আন্তমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে পটুয়াখালী-গলাচিপা নৌপথটি নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে লোহালিয়া এলাকার বাসিন্দা তৌফিক আলী খান কবির বলেন, ‘লোহালিয়া সেতুটা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে গুরুত্বহীন। ১০ বছরেও পারেনি এই সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করতে। এটা আমাদের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’
দশমিনার বেতাগী-সানকিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান ঝন্টু বলেন, ‘লোহালিয়া ব্রিজ দশমিনাবাসীর জন্য একটি স্বপ্ন। কারণ, লোহালিয়া নদীতে খেয়া পারাপার হয়ে এই উপজেলার মানুষের জেলা শহরে যেতে হয়। আর ওই খেয়াঘাটে নানান রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করছি, সেতুর নির্মাণকাজ যেন দ্রুত শেষ করে।’
পটুয়াখালী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. লতিফ হোসেন বলেন, ‘লোহালিয়া সেতুর কাজ অনেকটা সম্পূর্ণ হয়েছে। তবে নদীর মাঝের ইস্পাতের কাঠামো বাকি আছে। এই কাঠামো নির্মাণ করতে হলে নদীতে নৌ চলাচল বন্ধ করতে হবে। ইতিমধ্যে গত ২৭ জুন আন্তমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে তিন মাস নৌ চলাচল বন্ধ থাকবে। এখন স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে। এরপরই আমরা দ্রুত কাজ শুরু করব।’
পটুয়াখালী শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া লোহালিয়া নদীর ওপর ১০ বছর আগে নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল লোহালিয়া সেতুর। এত বছরেও শেষ হয়নি সেতুর নির্মাণকাজ। দীর্ঘ সময় নিয়ে ৫৭৬ দশমিক ২৫ মিটার দৈর্ঘ্যের ও ৭ দশমিক ৩২ মিটার প্রস্থের এ সেতুর কাজ করায় একদিকে ব্যয় যেমন বেড়েছে, তেমনি সৃষ্টি হচ্ছে নানান জটিলতা।
এদিকে এলজিইডি বলছে, আগামী নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত লোহালিয়া নদীতে নৌ চলাচল বন্ধ রেখে আবারও কাজ শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। তবে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে সেতুটির নির্মাণকাজ নিয়ে একের পর এক জটিলতা তৈরি হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে নদীর দুই পাড়ের বাসিন্দারা। সেতুর অভাবে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষকে খেয়া নৌকায় পার হয়ে জেলা শহরে আসা-যাওয়া করতে হয়। তাই তো দ্রুত নির্মাণকাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছে তারা।
এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) ২০১২ সালে লোহালিয়া নদীর ওপর একটি গার্ডার সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। আর তখন সেতুর হরাইজন্টাল ক্লিয়ারেন্স ছিল ৩৫ মিটার এবং ভার্টিক্যাল ক্লিয়ারেন্স ৭ দশমিক ৩ মিটার এবং নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। সেতুর ৫৪ শতাংশ কাজ চলমান থাকা অবস্থায় ২০১৪ সালে পায়রা সমুদ্রবন্দর কর্তৃপক্ষ সেতু নির্মাণকাজে আপত্তি জানায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ১ অক্টোবর আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকে সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর নির্মাণকাজের আর অগ্রগতি হয়নি।
তবে কয়েক বছর কাজ বন্ধ থাকার পর আবার সেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ। ২০১৯ সালের আগস্টে সেতুর হরাইজন্টাল ক্লিয়ারেন্স ৭০ মিটার এবং ভার্টিক্যাল ক্লিয়ারেন্স ১৩ দশমিক ৫০ মিটার রেখে নতুন একটি প্রকল্পের মাধ্যমে অসমাপ্ত কাজ শুরু করা হয়, যা ২০২০ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসসহ বিভিন্ন কারণে কয়েক দফা সেতুটির নির্মাণকাজের মেয়াদ ও খরচ বাড়ানো হয়। আর এ বছরের জুনে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি।
এ ছাড়া সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুটি ধাপে লোহালিয়া সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হচ্ছে। সেতুর দুই পাশে কংক্রিটের কাঠামো থাকলেও নদীর মাঝখানে একটি ইস্পাতের কাঠামো থাকবে। ১০৭ মিটার দৈর্ঘ্যের ইস্পাতের কাঠামোটি চীনের একটি প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেছে। তবে স্টিলের কাঠামো স্থাপনের জন্য পটুয়াখালী-গলাচিপা নৌপথটি সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রাখা প্রয়োজন। এ বিষয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মধ্যে জটিলতা তৈরি হওয়ায় কয়েক মাস ধরে এটির নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। তবে সর্বশেষ গত ২৭ জুন আন্তমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে পটুয়াখালী-গলাচিপা নৌপথটি নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে লোহালিয়া এলাকার বাসিন্দা তৌফিক আলী খান কবির বলেন, ‘লোহালিয়া সেতুটা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে গুরুত্বহীন। ১০ বছরেও পারেনি এই সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করতে। এটা আমাদের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’
দশমিনার বেতাগী-সানকিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান ঝন্টু বলেন, ‘লোহালিয়া ব্রিজ দশমিনাবাসীর জন্য একটি স্বপ্ন। কারণ, লোহালিয়া নদীতে খেয়া পারাপার হয়ে এই উপজেলার মানুষের জেলা শহরে যেতে হয়। আর ওই খেয়াঘাটে নানান রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করছি, সেতুর নির্মাণকাজ যেন দ্রুত শেষ করে।’
পটুয়াখালী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. লতিফ হোসেন বলেন, ‘লোহালিয়া সেতুর কাজ অনেকটা সম্পূর্ণ হয়েছে। তবে নদীর মাঝের ইস্পাতের কাঠামো বাকি আছে। এই কাঠামো নির্মাণ করতে হলে নদীতে নৌ চলাচল বন্ধ করতে হবে। ইতিমধ্যে গত ২৭ জুন আন্তমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে তিন মাস নৌ চলাচল বন্ধ থাকবে। এখন স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে। এরপরই আমরা দ্রুত কাজ শুরু করব।’
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে