ডায়রিয়া রোগী কমছেই না

রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২২, ০৭: ০৭
আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২২, ১৫: ০২

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা কমছেই না। হাসপাতালটিতে গতকাল বৃহস্পতিবারও শতাধিক ডায়রিয়া রোগী ভর্তি ছিল। গত মার্চের শুরু থেকেই এখানে ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হতে শুরু করেছে। মেডিসিন ওয়ার্ডগুলোর বারান্দায় রেখে ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসা চলছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, ওয়ার্ডের সামনে বারান্দায় বিছানা পেতে ডায়রিয়া রোগীরা শুয়ে আছে। রোগীরা জানান, ঈদের কারণে হাসপাতালে সাধারণ রোগীর চাপ কমেছে। ওয়ার্ডে শয্যা ফাঁকা আছে। কিন্তু ডায়রিয়া রোগীদের শয্যা দেওয়া হচ্ছে না। ভেতরে মেঝেতেও ডায়রিয়া রোগীকে রাখা হচ্ছে না। ওয়ার্ডের বাইরে একেবারে বারান্দায় ডায়রিয়া রোগী রাখা হচ্ছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত মার্চ মাসে এখানে ১ হাজার ৬৩৫ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছে। সবশেষ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ১১৯ জন রোগী ভর্তি ছিল। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় এখানে নতুন ৫৮ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছে। ওই ২৪ ঘণ্টায় ছাড়পত্র পেয়েছে ৫৭ জন। পানিশূন্যতা দূর করতে নতুন রোগীদের সবাইকেই চারটি থেকে সাতটি পর্যন্ত স্যালাইন দিতে হচ্ছে।

হাসপাতালের দেওয়া তথ্যমতে, চলতি মাসের ১৬ তারিখে হাসপাতালে সর্বোচ্চ ২০৭ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি ছিল। ২১ এপ্রিল রোগী কমে ১৩৭ জন হয়েছিল। কিন্তু ২৩ এপ্রিলেই রোগী বেড়ে ১৭৮ জন হয়। ২৬ এপ্রিল ভর্তি ছিল ১৪৭ জন। হাসপাতালের বহির্বিভাগেও প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ জন ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডায়রিয়া রোগী মাসুম আলী (২৬) বলেন, গত মঙ্গলবার রাত ২টায় তিনি ভর্তি হয়েছে। এ পর্যন্ত ছয়টি স্যালাইন দিতে হয়েছে তাঁকে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। নাসিমা বেগম (৪০) নামের এক রোগীর স্বজন ফেরদৌসী খাতুন বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় নাসিমাকে ভর্তি করা হয়েছে। স্যালাইনের স্ট্যান্ড ধরে একটু পরপর তাঁকে শৌচাগারে নিয়ে যেতে হচ্ছে।

রামেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক মাহাবুবুর রহমান বাদশা জানান, তীব্র গরমে দ্রুতই খাবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ইফতারে সেই খাবার খাওয়ার কারণে ডায়রিয়া হচ্ছে। এ ছাড়া অনেকে আবার তৃষ্ণা মেটাতে বাইরে খোলামেলাভাবে বিক্রি করা আখের রস বা বিভিন্ন ধরনের শরবত পান করছেন। এসব কারণে অনেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। তবে হাসপাতালে এলে তাদের সাধ্যমতো চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, মূলত তীব্র গরমের কারণেই ডায়রিয়া কমছে না। মাঝে একবার বৃষ্টি হলো, তখন দু-একদিনের জন্য ডায়রিয়া রোগী কমেছিল। আবার বেড়ে গেছে। রোজা শেষ হলে ইফতারের সময় বাইরের খোলামেলা খাবার খাওয়া বন্ধ হবে মানুষের। তখন পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

হাসপাতালের পরিচালক আরও বলেন, ডায়রিয়া রোগী বেশি হলেও চিকিৎসা দিতে সমস্যা হচ্ছে না। পর্যাপ্ত চিকিৎসক-নার্স আছে। রোগীরা বিনা মূল্যে স্যালাইনও পাচ্ছে। এই ঈদেও হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক-নার্স থাকবে। ঈদের ছুটিতে অন্তত এক দিন বহির্বিভাগ খুলে চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়েও চিন্তাভাবনা চলছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরিজীবীরা সম্পদের হিসাব না দিলে যেসব শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন

ভারতের পাল্টা আক্রমণে দিশেহারা অস্ট্রেলিয়া

ঢাকা কলেজে সংঘর্ষকালে বোমা বিস্ফোরণের ছিটকে পড়েন সেনাসদস্য—ভাইরাল ভিডিওটির প্রকৃত ঘটনা

ঐশ্বরিয়ার বিচ্ছেদের খবরে মুখ খুললেন অমিতাভ

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত