ইলেকট্রোলাইট পরীক্ষা হয় না স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৫ জানুয়ারি ২০২২, ০৫: ০৭
আপডেট : ০৫ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ৪৯

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইলেকট্রোলাইট পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। কলেরায় আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় এ পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।

তবে কেউ চাইলে বেসরকারি একটি হাসপাতাল থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা খরচ করে এই পরীক্ষা করাতে পারছেন। উপজেলার ৯টি বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে মাত্র একটিতে এ ব্যবস্থা রয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ইয়াসিন মাহমুদ জানান, ইলেকট্রোলাইট মানবদেহের কোষ ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গের কার্যাবলি যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য খুব জরুরি। সাধারণত রক্ত নিয়ে পরীক্ষার মাধ্যমে ইলেকট্রোলাইট দেখা হয়।

লক্ষ্মীপুর জেলা হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও রায়পুর মাতৃছায়া হাসপাতালের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুর রহমান তুহিন চৌধুরী বলেন, প্রতি মাসে গড়ে তিন-চারজন রোগী আসে। যে কারণে এই মেশিন অনেকে কিনতে চায় না।

রায়পুরে নয়টি প্রাইভেট হাসপাতাল ও পাঁচটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার কাজ করছে। এর মধ্যে শুধু জনসেবা হাসপাতালে ইলেকট্রোলাইট পরীক্ষার মেশিন রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইজাজ হোসেন রুমান জানান, লোকসান হলেও রোগীদের স্বার্থে এ ব্যবস্থা চালু রাখা হয়েছে। তবে কলেরা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ার পর রোগীর চাপ বেড়েছে।

রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) বাহারুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কলেরা রোগীর চিকিৎসায় ইলেকট্রোলাইট পরীক্ষাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমাদের হাসপাতালে এটির ব্যবস্থা নেই। থাকলে রোগীদের আরও ভালো চিকিৎসা দেওয়া যেত। প্রাথমিকভাবে রোগীকে স্যালাইনসহ ওষুধ দিলে ভালো হয়ে যায়। অবস্থা গুরুতর হলে মতলব আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।’

উল্লেখ্য, আজকের পত্রিকায় গতকাল ‘রায়পুরে কলেরার প্রকোপ?’ ও গত ১৮ ডিসেম্বর ‘হঠাৎ বেড়েছে ডায়রিয়া রোগী’ শিরোনামে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত