মিনহাজ তুহিন, চবি
গায়ে কালো গাউন জড়িয়ে মাথায় টুপি, আর হাতে শিক্ষাজীবনে অর্জিত সনদপত্র—এভাবে উচ্চশিক্ষার পাঠ চুকানোর স্বপ্ন থাকে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সব শিক্ষার্থীর। তবে নিয়মিত সমাবর্তন না হওয়ায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অধিকাংশ শিক্ষার্থীর এই স্বপ্ন থেকে যায় অধরাই। প্রতিষ্ঠার ৫৫ বছরে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন হয়েছে মাত্র ৪ বার। নিয়মিত সমাবর্তনের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মাধ্যমে দাবি জানিয়ে আসছেন। সমাবর্তনের জন্য দাবি জানানো হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ পর্ষদ সিনেটেও। এত কিছুর পরও সমাবর্তন আয়োজনে কেমন যেন গা-ছাড়া চবি প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ফাহিম হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে যাঁরা পড়েন, তাঁদের সবারই ইচ্ছে করে গাউন-টুপি পরে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সনদ নেওয়ার। কিন্তু কর্তৃপক্ষের অবহেলা আর সিদ্ধান্তের অভাবের কারণে চবিতে সমাবর্তন অনুষ্ঠানই হচ্ছে না। যা অত্যন্ত হতাশার।’ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সদিচ্ছার অভাব, প্রশাসনিক জটিলতা এবং আন্তরিকতার অভাবকেই এর জন্য দায়ী করেন তিনি।
জানা যায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বশেষ সমাবর্তন হয়েছে ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি। এতে ২০০৪ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পিএইচডি-এমফিলসহ বিভিন্ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সাত হাজার ১৯৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এতে উপস্থিত থেকে তাঁদের হাতে সনদ তুলে দিয়েছিলেন।
এর আগে ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত হয়েছিল তৃতীয় সমাবর্তন। ১৯৯৯ সালে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় সমাবর্তন। ১৯৯৪ সালে এখানে প্রথমবারের মতো সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। যা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ২৮ বছর পর।
এদিকে নিয়মিত সমাবর্তন না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের অর্জিত ডিগ্রির আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতিও মিলছে না। মূল সনদপত্রের পরিবর্তে সাময়িক সনদপত্র নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়তে হচ্ছে তাঁদের। নিয়মিত সমাবর্তন অনুষ্ঠিত না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ‘আন্তরিকতা’ ও ‘সদিচ্ছা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষার্থীরা।
২০১১ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৩০ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পরীক্ষা সম্পন্ন করেছেন। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি বর্ষের এমফিল ও পিএইচডি গবেষকেরা ডিগ্রি নিয়েছেন। তবে তাঁদের কেউই আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পাননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আলীম উল্লাহ খান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য ও সুনাম বজায় রাখার জন্য নিয়মিত সমাবর্তন করা প্রয়োজন। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আগ্রহ বাড়ে, পুরোনো-নতুনদের মধ্যে ঐক্য-সম্প্রীতি গড়ে ওঠে। এ ছাড়া এসব অনুষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থার মান আরও উন্নত করতে পরোক্ষভাবে সহায়তা করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের বর্তমান শিক্ষার্থী আল মুজাহিদ রায়হান বলেন, সমাবর্তন শুধুমাত্র গাউন আর টুপি পরে ছবি তোলা নয়, এর সঙ্গে অনেক সম্মান এবং গর্বও জড়িত। কিন্তু স্বায়ত্তশাসিত একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৫ বছরে মাত্র চারবার সমাবর্তন হয়েছে—এটি প্রশাসনের সদিচ্ছার অভাব ছাড়া আর কিছুই নয়।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. এমদাদুল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন হওয়াটা জরুরি। অবশ্যই এটা নিয়মিতই হওয়া উচিত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সেশনজট হয়েছে তা কাটিয়ে ওঠার বিষয়টা ভাবছি। নতুন শিক্ষাবর্ষের ক্লাস জানুয়ারির এক তারিখের মধ্যে শুরু করার পরিকল্পনা আছে। এরপর আমরা সমাবর্তন নিয়ে ভাবব।’
বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের মোবাইল ফোন নম্বরে কয়েকবার কল দিলেও তিনি ধরেননি।
গায়ে কালো গাউন জড়িয়ে মাথায় টুপি, আর হাতে শিক্ষাজীবনে অর্জিত সনদপত্র—এভাবে উচ্চশিক্ষার পাঠ চুকানোর স্বপ্ন থাকে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সব শিক্ষার্থীর। তবে নিয়মিত সমাবর্তন না হওয়ায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অধিকাংশ শিক্ষার্থীর এই স্বপ্ন থেকে যায় অধরাই। প্রতিষ্ঠার ৫৫ বছরে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন হয়েছে মাত্র ৪ বার। নিয়মিত সমাবর্তনের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মাধ্যমে দাবি জানিয়ে আসছেন। সমাবর্তনের জন্য দাবি জানানো হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ পর্ষদ সিনেটেও। এত কিছুর পরও সমাবর্তন আয়োজনে কেমন যেন গা-ছাড়া চবি প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ফাহিম হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে যাঁরা পড়েন, তাঁদের সবারই ইচ্ছে করে গাউন-টুপি পরে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সনদ নেওয়ার। কিন্তু কর্তৃপক্ষের অবহেলা আর সিদ্ধান্তের অভাবের কারণে চবিতে সমাবর্তন অনুষ্ঠানই হচ্ছে না। যা অত্যন্ত হতাশার।’ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সদিচ্ছার অভাব, প্রশাসনিক জটিলতা এবং আন্তরিকতার অভাবকেই এর জন্য দায়ী করেন তিনি।
জানা যায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বশেষ সমাবর্তন হয়েছে ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি। এতে ২০০৪ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পিএইচডি-এমফিলসহ বিভিন্ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সাত হাজার ১৯৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এতে উপস্থিত থেকে তাঁদের হাতে সনদ তুলে দিয়েছিলেন।
এর আগে ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত হয়েছিল তৃতীয় সমাবর্তন। ১৯৯৯ সালে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় সমাবর্তন। ১৯৯৪ সালে এখানে প্রথমবারের মতো সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। যা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ২৮ বছর পর।
এদিকে নিয়মিত সমাবর্তন না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের অর্জিত ডিগ্রির আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতিও মিলছে না। মূল সনদপত্রের পরিবর্তে সাময়িক সনদপত্র নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়তে হচ্ছে তাঁদের। নিয়মিত সমাবর্তন অনুষ্ঠিত না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ‘আন্তরিকতা’ ও ‘সদিচ্ছা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষার্থীরা।
২০১১ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৩০ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পরীক্ষা সম্পন্ন করেছেন। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি বর্ষের এমফিল ও পিএইচডি গবেষকেরা ডিগ্রি নিয়েছেন। তবে তাঁদের কেউই আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পাননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আলীম উল্লাহ খান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য ও সুনাম বজায় রাখার জন্য নিয়মিত সমাবর্তন করা প্রয়োজন। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আগ্রহ বাড়ে, পুরোনো-নতুনদের মধ্যে ঐক্য-সম্প্রীতি গড়ে ওঠে। এ ছাড়া এসব অনুষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থার মান আরও উন্নত করতে পরোক্ষভাবে সহায়তা করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের বর্তমান শিক্ষার্থী আল মুজাহিদ রায়হান বলেন, সমাবর্তন শুধুমাত্র গাউন আর টুপি পরে ছবি তোলা নয়, এর সঙ্গে অনেক সম্মান এবং গর্বও জড়িত। কিন্তু স্বায়ত্তশাসিত একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৫ বছরে মাত্র চারবার সমাবর্তন হয়েছে—এটি প্রশাসনের সদিচ্ছার অভাব ছাড়া আর কিছুই নয়।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. এমদাদুল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন হওয়াটা জরুরি। অবশ্যই এটা নিয়মিতই হওয়া উচিত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সেশনজট হয়েছে তা কাটিয়ে ওঠার বিষয়টা ভাবছি। নতুন শিক্ষাবর্ষের ক্লাস জানুয়ারির এক তারিখের মধ্যে শুরু করার পরিকল্পনা আছে। এরপর আমরা সমাবর্তন নিয়ে ভাবব।’
বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের মোবাইল ফোন নম্বরে কয়েকবার কল দিলেও তিনি ধরেননি।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১৯ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে