রিমন রহমান, রাজশাহী
স্বর্ণালি মুকুলে এবার রাজশাহীর সব আমগাছ ভরে ওঠেনি। গত বছরের চেয়েও এবার গাছে মুকুলের পরিমাণ কম। এই কম মুকুলই যেন ঝরে না পড়ে, তার জন্য পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চাষিরা। তাঁরা বলছেন, এবার আবহাওয়া ভালো। যে মুকুল এসেছে তা টিকলে বেশি ক্ষতি হবে না। তাই মুকুল টেকাতে পরিচর্যায় ঘাটতি রাখছেন না তাঁরা।
গত বছর আম উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যায়। জেলায় এবার আমবাগান বাড়লেও লক্ষ্যমাত্রা গত বছরের চেয়ে কমই ধরা হয়েছে।
এ বছর বাগান রয়েছে ১৮ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ১৭ হাজার মেট্রিক টন আম। গত বছর ১৭ হাজার ৯৪৩ হেক্টর জমির আমবাগান থেকে ২ লাখ ১৯ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু সেটি ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
গতকাল বুধবার সকালে রাজশাহীর পবা উপজেলার হরিপুর এলাকায় বাগানে আমগাছে স্প্রে করছিলেন চাষি রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, গত বছর মুকুলের ভারে ছোট ছোট গাছগুলোর ডাল নুইয়ে পড়ছিল। এবার সে তুলনায় মুকুল অনেক কম। কোনো কোনো গাছে একটা মুকুলেরও দেখা নেই। মুকুল কম বলে তিনি পরিচর্যা একটু বেশিই করছেন।
পবার আলিমগঞ্জ এলাকার চাষি আতাউর রহমানও গাছে কম মুকুলের কথা জানালেন। বললেন, এমনিতেই মুকুল কম। সেটা যেন ঝরে না যায়, সে জন্য কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। গত বছর প্রচুর আম ধরেছিল। কিন্তু করোনার কারণে নানা বিধিনিষেধ আর রমজান মাসের কারণে আম বেচতে বেগ পেতে হয়েছিল। এবার আম পাকবে রোজার পর। তাই আম বেচতে সমস্যা হবে না। তখন ভালো দাম পাওয়া যাবে বলেও তিনি আশা করছেন।
গাছে এবার মুকুল কম আসার বিষয়টি স্বীকার করেছেন রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলীম উদ্দিন। তিনি জানান, এবার ৮০ ভাগ গাছে মুকুল এসেছে। কিছু কিছু এলাকায় ওই ৮০ ভাগ গাছেও মুকুল দেখা যাচ্ছে না। তবে এবার আবহাওয়া খুব ভালো। মুকুল আসার সময় তিন-চার দিন ধরে কুয়াশা পড়েনি। কুয়াশা মুকুলের ক্ষতি করে। এবার সেই ক্ষতি হয়নি।
আলীম উদ্দিন বলেন, আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় শুধু মুকুল টিকিয়ে রাখতে পারলেই ভালো আম উৎপাদন হবে। অনেক চাষি মুকুল আসার আগেই গাছে কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক মেশানো পানি স্প্রে করেছেন। আগে যারা স্প্রে করেননি, তাঁরা এখন মুকুল আসার পর করছেন। গাছে যখন মটরদানার মতো আমের গুটি ধরবে, তখন আরেকবার স্প্রে করা হবে। সে সময় গুটি টেকাতে গাছের গোড়ায় পানিও দেওয়া হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোজদার হোসেন বলেন, তিনি এখনো রাজশাহীর সব এলাকায় গিয়ে আমের মুকুল দেখতে পারেননি। তবে যেটুকু দেখেছেন, তাতে তাঁর কাছে গাছে মুকুল খুব একটা কম মনে হয়নি। মুকুল আসার সময় এখনো শেষ হয়ে যায়নি। মুকুল আসার জন্য যে ধরনের আবহাওয়া দরকার, সে রকমই আছে। ফলে আরও কিছুদিনের মধ্যে গাছে মুকুল আসতে পারে। এবারও আমের উৎপাদন খারাপ হবে না বলেই মনে করছেন তিনি।
স্বর্ণালি মুকুলে এবার রাজশাহীর সব আমগাছ ভরে ওঠেনি। গত বছরের চেয়েও এবার গাছে মুকুলের পরিমাণ কম। এই কম মুকুলই যেন ঝরে না পড়ে, তার জন্য পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চাষিরা। তাঁরা বলছেন, এবার আবহাওয়া ভালো। যে মুকুল এসেছে তা টিকলে বেশি ক্ষতি হবে না। তাই মুকুল টেকাতে পরিচর্যায় ঘাটতি রাখছেন না তাঁরা।
গত বছর আম উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যায়। জেলায় এবার আমবাগান বাড়লেও লক্ষ্যমাত্রা গত বছরের চেয়ে কমই ধরা হয়েছে।
এ বছর বাগান রয়েছে ১৮ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ১৭ হাজার মেট্রিক টন আম। গত বছর ১৭ হাজার ৯৪৩ হেক্টর জমির আমবাগান থেকে ২ লাখ ১৯ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু সেটি ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
গতকাল বুধবার সকালে রাজশাহীর পবা উপজেলার হরিপুর এলাকায় বাগানে আমগাছে স্প্রে করছিলেন চাষি রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, গত বছর মুকুলের ভারে ছোট ছোট গাছগুলোর ডাল নুইয়ে পড়ছিল। এবার সে তুলনায় মুকুল অনেক কম। কোনো কোনো গাছে একটা মুকুলেরও দেখা নেই। মুকুল কম বলে তিনি পরিচর্যা একটু বেশিই করছেন।
পবার আলিমগঞ্জ এলাকার চাষি আতাউর রহমানও গাছে কম মুকুলের কথা জানালেন। বললেন, এমনিতেই মুকুল কম। সেটা যেন ঝরে না যায়, সে জন্য কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। গত বছর প্রচুর আম ধরেছিল। কিন্তু করোনার কারণে নানা বিধিনিষেধ আর রমজান মাসের কারণে আম বেচতে বেগ পেতে হয়েছিল। এবার আম পাকবে রোজার পর। তাই আম বেচতে সমস্যা হবে না। তখন ভালো দাম পাওয়া যাবে বলেও তিনি আশা করছেন।
গাছে এবার মুকুল কম আসার বিষয়টি স্বীকার করেছেন রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলীম উদ্দিন। তিনি জানান, এবার ৮০ ভাগ গাছে মুকুল এসেছে। কিছু কিছু এলাকায় ওই ৮০ ভাগ গাছেও মুকুল দেখা যাচ্ছে না। তবে এবার আবহাওয়া খুব ভালো। মুকুল আসার সময় তিন-চার দিন ধরে কুয়াশা পড়েনি। কুয়াশা মুকুলের ক্ষতি করে। এবার সেই ক্ষতি হয়নি।
আলীম উদ্দিন বলেন, আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় শুধু মুকুল টিকিয়ে রাখতে পারলেই ভালো আম উৎপাদন হবে। অনেক চাষি মুকুল আসার আগেই গাছে কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক মেশানো পানি স্প্রে করেছেন। আগে যারা স্প্রে করেননি, তাঁরা এখন মুকুল আসার পর করছেন। গাছে যখন মটরদানার মতো আমের গুটি ধরবে, তখন আরেকবার স্প্রে করা হবে। সে সময় গুটি টেকাতে গাছের গোড়ায় পানিও দেওয়া হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোজদার হোসেন বলেন, তিনি এখনো রাজশাহীর সব এলাকায় গিয়ে আমের মুকুল দেখতে পারেননি। তবে যেটুকু দেখেছেন, তাতে তাঁর কাছে গাছে মুকুল খুব একটা কম মনে হয়নি। মুকুল আসার সময় এখনো শেষ হয়ে যায়নি। মুকুল আসার জন্য যে ধরনের আবহাওয়া দরকার, সে রকমই আছে। ফলে আরও কিছুদিনের মধ্যে গাছে মুকুল আসতে পারে। এবারও আমের উৎপাদন খারাপ হবে না বলেই মনে করছেন তিনি।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪