প্রথমে সামনে সাইনবোর্ড পরে দোকানঘরই দখল

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২২, ১৪: ১৮

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের যাত্রাপুর হাটে যুবলীগের সাইনবোর্ড লাগিয়ে ব্যবসায়ীর দোকানঘর এবং জমি দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে ওই ব্যবসায়ীর পরিবার।

অভিযোগ ওঠা ইউপি সদস্য হলেন যাত্রাপুর ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোয়াজ্জেম। তিনি স্থানীয় যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

অভিযোগ থেকে জানা গেছে, যাত্রাপুর হাটে আজিজার রহমানের কেনা জায়গায় আটটি দোকানঘর রয়েছে। গত ইউপি নির্বাচনের আগে ওই দোকানঘরসহ ১৫ শতক জমি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেন মোয়াজ্জেম ও তাঁর সঙ্গীরা। ওই সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও তৎকালীন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাফর আলীসহ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা বিষয়টি নিয়ে সালিসে বসেন। সালিসে উপস্থাপিত কাগজপত্রে আজিজার রহমান ওই জমি ও দোকানঘরের বৈধ মালিক প্রমাণ হওয়ায় আওয়ামী লীগ নেতারা ওই জমি থেকে যুবলীগ নেতাদের সরে যাওয়ার নির্দেশনা দেন এবং বিষয়টি তদারকির জন্য বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল গফুরকে দায়িত্ব দেন।

কিন্তু এক সপ্তাহ আগে যুবলীগ নেতা মোয়াজ্জেমের নেতৃত্বে স্থানীয় আইয়ুর আলী, সফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন আজিজার রহমানের দোকানঘরের সামনে ইউনিয়ন যুবলীগের সাইনবোর্ড সাঁটিয়ে দেন। আজিজার রহমানের ছেলেরা সাইনবোর্ড সরাতে বললে মোয়াজ্জেম তাঁদের কাছে ৩ লাখ টাকা দাবি করেন। তাঁরা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ১৯ আগস্ট সকালে মোয়াজ্জেম, আইয়ুব আলী, সফিকুলসহ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আজিজার রহমানের দোকানঘর থেকে তাঁদের মালামাল লুট করে নেন এবং সেখানে নতুন একটি ঘর তোলেন। এ সময় অভিযোগ ওঠা ব্যক্তিরা ওই জমিতে থাকা কয়েকটি বড় বড় গাছও কেটে নিয়ে যান। তাঁদের এই দখলদারি কাজে আজিজার রহমানের ছেলে আব্দুস সামাদ বাধা দিতে গেলে তাঁকে মারধর করেন তাঁরা। এ নিয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন আজিজার রহমানের আরেক ছেলে আতাউর রহমান।

গত রোববার যাত্রাপুর হাটে গিয়ে দেখা গেছে, আজিজার রহমানের দোকানের সামনে ইউনিয়ন যুবলীগ কার্যালয়ের সাইনবোর্ড লাগানো রয়েছে। তাতে লেখা রয়েছে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, যাত্রাপুর ইউনিয়ন শাখা কার্যালয়, কুড়িগ্রাম সদর, কুড়িগ্রাম।’

অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম। দখল করা জমিটি কখনো খাস, আবার কখনো স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের বলে দাবি করেন তিনি। তবে দোকান দখলে নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সাইনবোর্ড লাগানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি মোবাইল ফোনের সংযোগ কেটে দেন।

কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসি খান মো. শাহরিয়ার অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত