উবায়দুল্লাহ বাদল, ঢাকা
শিল্পকারখানার অপরিশোধিত তরল বা কঠিন বর্জ্য হাওর ও জলাভূমিতে ফেলা হলে পানি দূষিত হয় এবং হাওর ও জলাভূমির পরিবেশ, উদ্ভিদ, প্রাণিকুলসহ জলজ বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ কারণে হাওর ও জলাভূমিতে শিল্পবর্জ্য ফেলাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে এর জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রেখে নতুন আইন করা হচ্ছে। এরই মধ্যে প্রস্তাবিত আইনের খসড়া চূড়ান্ত করেছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘হাওর ও জলাভূমি সুরক্ষা, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩’। খসড়া আইনটির বিষয়ে অংশীজনদের মতামতও নেওয়া হয়েছে। আরও দু-একটি আন্তমন্ত্রণালয় সভা করে যাচাই-বাছাই শেষে তা অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, প্রস্তাবিত আইনের খসড়ায় হাওর ও জলাভূমিতে শিল্পবর্জ্য ফেলার অপরাধে অনধিক ১০ বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। আর হাওর ও জলাভূমি অবৈধভাবে দখল, ভরাট বা অনুমতি ছাড়া খনন করলে অনধিক ৫ বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে। একই শাস্তি হবে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করলে। খসড়ায় বলা হয়েছে, এমন অপরাধে সহায়তা করলে সহায়তাকারীরও একই শাস্তি হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক করে এটির খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।আরও দু-একটি মিটিং করা লাগতে পারে।
সংবিধানের ১৮(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জন্য হাওর, জলাভূমিসহ সব প্রাকৃতিক সম্পদের সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধানের বাধ্যবাধকতা আছে। হাইকোর্ট বিভাগের এক আদেশেও হাওর ও জলাভূমি সুরক্ষা, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন দ্রুত প্রণয়ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কিশোরগঞ্জ—এই সাত জেলা মিলে হাওরাঞ্চল। মন্ত্রণালয়ের হিসাবমতে, এই ৭ জেলার ৭ লাখ ৮৪ হাজার হেক্টর জলাভূমিতে আছে ৪২৩টি হাওর। এর মধ্যে কিশোরগঞ্জেই আছে বিশাল আকারের ১২২টি হাওর। তবে দেশে জলাভূমির সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। হাওরের অনেক বাসিন্দার অভিযোগ, চৈত্র-বৈশাখ মাসে মাছ ধরতে স্থানীয় ব্যক্তিরা ছোট হাওর ও জলাভূমির পানি শুকিয়ে ফেলেন। এতে জলজ প্রাণীর আবাসস্থল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাশাপাশি স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নিজেদের সুবিধামতো বাঁধ কেটেও ফসলের ক্ষতি করে থাকেন। এ ছাড়া হাওরে অপরিকল্পিত রাস্তা, কালভার্ট, স্লুইসগেট ও বেড়িবাঁধ নির্মাণের অভিযোগও কম নয়। অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা এসব সেতু, রাস্তা ও বাঁধের কারণে হাওরে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। স্থানীয় পর্যায়ে এর প্রতিবাদ হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের হাওর-জলাভূমি রক্ষায় আইন করা হচ্ছে। ছয়টি অধ্যায়ে ২৯টি ধারা-সংবলিত খসড়া আইনটি তৈরি করেছে বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তর।
আইনটি পাস হলে দেশে ‘হাওর ও জলাভূমি কোর্ট’ নামে এক বা একাধিক কোর্ট থাকবে। প্রতিটি কোর্ট একজন বিচারকের সভাপতিত্বে গঠিত হবে। খসড়ায় বলা হয়েছে, এ কোর্ট তার এখতিয়ারাধীন হাওর ও জলাভূমিসংক্রান্ত অপরাধ আমলে নেবেন। এ কোর্ট প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে পারবেন এবং এ আইনের তফসিলভুক্ত হওয়া সাপেক্ষে, মোবাইল কোর্ট দণ্ড আরোপ করতে পারবেন। এ ছাড়া পানি ধারক স্তরের নিরাপদ সীমা ব্যাহত হয়, এমনভাবে পানি আহরণ করলে অনধিক তিন বছর কারাদণ্ড অথবা তিন লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে।
শিল্পকারখানার অপরিশোধিত তরল বা কঠিন বর্জ্য হাওর ও জলাভূমিতে ফেলা হলে পানি দূষিত হয় এবং হাওর ও জলাভূমির পরিবেশ, উদ্ভিদ, প্রাণিকুলসহ জলজ বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ কারণে হাওর ও জলাভূমিতে শিল্পবর্জ্য ফেলাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে এর জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রেখে নতুন আইন করা হচ্ছে। এরই মধ্যে প্রস্তাবিত আইনের খসড়া চূড়ান্ত করেছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘হাওর ও জলাভূমি সুরক্ষা, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩’। খসড়া আইনটির বিষয়ে অংশীজনদের মতামতও নেওয়া হয়েছে। আরও দু-একটি আন্তমন্ত্রণালয় সভা করে যাচাই-বাছাই শেষে তা অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, প্রস্তাবিত আইনের খসড়ায় হাওর ও জলাভূমিতে শিল্পবর্জ্য ফেলার অপরাধে অনধিক ১০ বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। আর হাওর ও জলাভূমি অবৈধভাবে দখল, ভরাট বা অনুমতি ছাড়া খনন করলে অনধিক ৫ বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে। একই শাস্তি হবে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করলে। খসড়ায় বলা হয়েছে, এমন অপরাধে সহায়তা করলে সহায়তাকারীরও একই শাস্তি হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক করে এটির খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।আরও দু-একটি মিটিং করা লাগতে পারে।
সংবিধানের ১৮(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জন্য হাওর, জলাভূমিসহ সব প্রাকৃতিক সম্পদের সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধানের বাধ্যবাধকতা আছে। হাইকোর্ট বিভাগের এক আদেশেও হাওর ও জলাভূমি সুরক্ষা, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন দ্রুত প্রণয়ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কিশোরগঞ্জ—এই সাত জেলা মিলে হাওরাঞ্চল। মন্ত্রণালয়ের হিসাবমতে, এই ৭ জেলার ৭ লাখ ৮৪ হাজার হেক্টর জলাভূমিতে আছে ৪২৩টি হাওর। এর মধ্যে কিশোরগঞ্জেই আছে বিশাল আকারের ১২২টি হাওর। তবে দেশে জলাভূমির সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। হাওরের অনেক বাসিন্দার অভিযোগ, চৈত্র-বৈশাখ মাসে মাছ ধরতে স্থানীয় ব্যক্তিরা ছোট হাওর ও জলাভূমির পানি শুকিয়ে ফেলেন। এতে জলজ প্রাণীর আবাসস্থল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাশাপাশি স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নিজেদের সুবিধামতো বাঁধ কেটেও ফসলের ক্ষতি করে থাকেন। এ ছাড়া হাওরে অপরিকল্পিত রাস্তা, কালভার্ট, স্লুইসগেট ও বেড়িবাঁধ নির্মাণের অভিযোগও কম নয়। অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা এসব সেতু, রাস্তা ও বাঁধের কারণে হাওরে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। স্থানীয় পর্যায়ে এর প্রতিবাদ হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের হাওর-জলাভূমি রক্ষায় আইন করা হচ্ছে। ছয়টি অধ্যায়ে ২৯টি ধারা-সংবলিত খসড়া আইনটি তৈরি করেছে বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তর।
আইনটি পাস হলে দেশে ‘হাওর ও জলাভূমি কোর্ট’ নামে এক বা একাধিক কোর্ট থাকবে। প্রতিটি কোর্ট একজন বিচারকের সভাপতিত্বে গঠিত হবে। খসড়ায় বলা হয়েছে, এ কোর্ট তার এখতিয়ারাধীন হাওর ও জলাভূমিসংক্রান্ত অপরাধ আমলে নেবেন। এ কোর্ট প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে পারবেন এবং এ আইনের তফসিলভুক্ত হওয়া সাপেক্ষে, মোবাইল কোর্ট দণ্ড আরোপ করতে পারবেন। এ ছাড়া পানি ধারক স্তরের নিরাপদ সীমা ব্যাহত হয়, এমনভাবে পানি আহরণ করলে অনধিক তিন বছর কারাদণ্ড অথবা তিন লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে