মো. আকতারুজ্জামান, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা)
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের তেজেরবাজারে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের ৯টি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় তিনটি বিষয় সামনে রেখে তদন্ত চলছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। সেগুলো হলো গরমে রেললাইন বেঁকে যাওয়া, তেজেরবাজার এলাকায় বেঙিরপুলের দুর্বল স্লিপার ভেঙে পড়া এবং নাশকতার উদ্দেশ্যে নাটবোল্ট খুলে রাখা।
রোববার দুপুরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থলে ছুটে যান রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি দাবি করেন, প্রচণ্ড গরমে লাইন বেঁকে যাওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। বিকেলে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিয়া জানান, বেঁকে যাওয়ার কারণে বগি লাইনচ্যুত হওয়ার যে কারণ বলা হচ্ছে, সরেজমিনে তা পাওয়া যায়নি। তবে ঠিক কী কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে—এর কারণ খুঁজে বের করার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ছায়া তদন্ত করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
স্থানীয়দেরও দাবি, গরমে রেললাইন বেঁকে নয়, তেজেরবাজার এলাকায় বেঙিরপুলের দুর্বল স্লিপারের কাঠ ভেঙে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। নতুন করে সোমবার যোগ হয় নাটবোল্ট খোলার কারণে এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। সর্বশেষ গতকাল রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা তিনটি বিষয় নিয়েই তদন্ত করে যাচ্ছে।
চট্টগ্রাম পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী গতকাল দুপুরে বলেন, ‘তিনটি বিষয় নিয়ে কমিটি তদন্ত করে যাচ্ছে। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন পাব।’
সরেজমিনে দেখা যায়, এক লেনে স্বল্পপরিসরে ট্রেন চলাচল করছে। বিচ্যুত হওয়া ৯টি বগি এখনো পড়ে রয়েছে। লাইন মেরামতের কাজে নিয়োজিত রয়েছেন বিপুলসংখ্যক শ্রমিক। যে বেঙিরপুল নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, সে পুলটির নিচে নতুন করে কাঠ বসানো হয়েছে। রেলওয়ের তদন্তকারী কর্মকর্তারা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। তবে কেউ গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
ঢালুয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর উরকোটি ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন বলেন, ‘যে গরম পড়ছে, এতে রেললাইন বাঁকা হওয়ার কথা নয়। মূল সমস্যা বেঙিরপুল এলাকাটি নিয়ে।’
সাহাব উদ্দিন বলেন, ‘দুর্ঘটনার পরে উরকোটি গ্রামের কামাল বাবুর্চি আমাকে জানান, দুর্ঘটনার কিছু সময় আগে কয়েকজন অল্প বয়সের কিশোর বেঙিরপুলের ওপর বসে কী জানি করছিল। কামাল কাছে যেতেই ছেলেরা পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় একটি ব্যাগ ফেলে যায়।
তখন কামাল দেখে বেঙিরপুলে রেললাইনের তিনটি বোল্ট খোলা। বিষয়টি কামাল তাৎক্ষণিক দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রহরীকে মোবাইল ফোনে জানান বলে আমাকে জানিয়েছেন। এ সময় ওই প্রহরী কামালকে পরামর্শ দেন, লাল পতাকা নিয়ে ট্রেন থামানোর জন্য। ততক্ষণে দুর্ঘটনাটি ঘটে যায়।’
রেলওয়ে লাকসাম থানার ওসি মুরাদ উল্লাহ বাহার বলেন, ‘রেল দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমরা বিভিন্ন বিষয় মাথায় নিয়ে তদন্ত করে যাচ্ছি। গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য পেলে অবশ্যই মিডিয়াকে জানাব।’
রেলওয়ে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার মো. হাসান চৌধুরী মোবাইল ফোনে বলেন, ‘এখনো তদন্ত চলমান। তবে প্রচণ্ড দাপদাহে লাইন বেঁকেছে কি না, বেঙিরপুলে লাইনে দুর্বল কাঠের কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে কি না, তা আমরা তদন্ত করছি। নাটবোল্ট খোলার বিষয়টিও মাথায় রয়েছে। তদন্ত করে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পেলে জানানো হবে।’
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের তেজেরবাজারে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের ৯টি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় তিনটি বিষয় সামনে রেখে তদন্ত চলছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। সেগুলো হলো গরমে রেললাইন বেঁকে যাওয়া, তেজেরবাজার এলাকায় বেঙিরপুলের দুর্বল স্লিপার ভেঙে পড়া এবং নাশকতার উদ্দেশ্যে নাটবোল্ট খুলে রাখা।
রোববার দুপুরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থলে ছুটে যান রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি দাবি করেন, প্রচণ্ড গরমে লাইন বেঁকে যাওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। বিকেলে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিয়া জানান, বেঁকে যাওয়ার কারণে বগি লাইনচ্যুত হওয়ার যে কারণ বলা হচ্ছে, সরেজমিনে তা পাওয়া যায়নি। তবে ঠিক কী কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে—এর কারণ খুঁজে বের করার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ছায়া তদন্ত করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
স্থানীয়দেরও দাবি, গরমে রেললাইন বেঁকে নয়, তেজেরবাজার এলাকায় বেঙিরপুলের দুর্বল স্লিপারের কাঠ ভেঙে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। নতুন করে সোমবার যোগ হয় নাটবোল্ট খোলার কারণে এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। সর্বশেষ গতকাল রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা তিনটি বিষয় নিয়েই তদন্ত করে যাচ্ছে।
চট্টগ্রাম পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী গতকাল দুপুরে বলেন, ‘তিনটি বিষয় নিয়ে কমিটি তদন্ত করে যাচ্ছে। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন পাব।’
সরেজমিনে দেখা যায়, এক লেনে স্বল্পপরিসরে ট্রেন চলাচল করছে। বিচ্যুত হওয়া ৯টি বগি এখনো পড়ে রয়েছে। লাইন মেরামতের কাজে নিয়োজিত রয়েছেন বিপুলসংখ্যক শ্রমিক। যে বেঙিরপুল নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, সে পুলটির নিচে নতুন করে কাঠ বসানো হয়েছে। রেলওয়ের তদন্তকারী কর্মকর্তারা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। তবে কেউ গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
ঢালুয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর উরকোটি ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন বলেন, ‘যে গরম পড়ছে, এতে রেললাইন বাঁকা হওয়ার কথা নয়। মূল সমস্যা বেঙিরপুল এলাকাটি নিয়ে।’
সাহাব উদ্দিন বলেন, ‘দুর্ঘটনার পরে উরকোটি গ্রামের কামাল বাবুর্চি আমাকে জানান, দুর্ঘটনার কিছু সময় আগে কয়েকজন অল্প বয়সের কিশোর বেঙিরপুলের ওপর বসে কী জানি করছিল। কামাল কাছে যেতেই ছেলেরা পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় একটি ব্যাগ ফেলে যায়।
তখন কামাল দেখে বেঙিরপুলে রেললাইনের তিনটি বোল্ট খোলা। বিষয়টি কামাল তাৎক্ষণিক দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রহরীকে মোবাইল ফোনে জানান বলে আমাকে জানিয়েছেন। এ সময় ওই প্রহরী কামালকে পরামর্শ দেন, লাল পতাকা নিয়ে ট্রেন থামানোর জন্য। ততক্ষণে দুর্ঘটনাটি ঘটে যায়।’
রেলওয়ে লাকসাম থানার ওসি মুরাদ উল্লাহ বাহার বলেন, ‘রেল দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমরা বিভিন্ন বিষয় মাথায় নিয়ে তদন্ত করে যাচ্ছি। গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য পেলে অবশ্যই মিডিয়াকে জানাব।’
রেলওয়ে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার মো. হাসান চৌধুরী মোবাইল ফোনে বলেন, ‘এখনো তদন্ত চলমান। তবে প্রচণ্ড দাপদাহে লাইন বেঁকেছে কি না, বেঙিরপুলে লাইনে দুর্বল কাঠের কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে কি না, তা আমরা তদন্ত করছি। নাটবোল্ট খোলার বিষয়টিও মাথায় রয়েছে। তদন্ত করে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পেলে জানানো হবে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪