আজাদুল আদনান, ঢাকা
মাদারীপুরের ভ্যানচালক ইমারাত হোসেনের (৪২) কিডনির সমস্যা দেখা দেয় গত বছরের মার্চে। ডায়ালাইসিস করার মতো আর্থিক সক্ষমতা নেই তাঁর। পরিচিত একজনের মাধ্যমে ইমারাতকে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালে (নিকডু) ভর্তি করেন তাঁর স্ত্রী হাওয়া বেগম। এই হাসপাতালে কম খরচে ডায়ালাইসিস সুবিধা দেয় ভারতীয় প্রতিষ্ঠান স্যানডোর ডায়ালাইসিস সার্ভিসেস। কিন্তু পাঁচ মাসেও শিডিউল না পাওয়ায় স্যানডোরেই ব্যক্তি উদ্যোগে চিকিৎসা করান। তিন মাস যেতেই কুলিয়ে উঠতে না পেরে স্বামীকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন হাওয়া বেগম। পরে স্বামীকে বাঁচাতে আবারও চিকিৎসা শুরু করেন। কিন্তু অর্থের সংস্থান করতে না পেরে শেষমেশ সদ্য জন্ম নেওয়া পাঁচ দিনের শিশুকে বিক্রি করতে বাধ্য হন এই নারী। ইমারাত এখন রাজধানীর আদ্-দীন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
হাওয়া বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিডিউল পাওয়ার জন্য দরজায় দরজায় ঘুরছি, কিন্তু পাইনি। আমার মতো অনেকেই আছে। গত সেপ্টেম্বরে মোহাম্মদপুর নারী ও শিশু হাসপাতালে সন্তান জন্ম দিই। স্বামীকে বাঁচাতে পাঁচ দিন পর ১ লাখ টাকায় একজনের কাছে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হই বাচ্চাটারে।’ আক্ষেপ করে হাওয়া বেগম বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রী নাই, কেউ নাই, তাই চিকিৎসাও নাই।’
শুধু ইমারাত নন, গত কয়েক দিন ঘুরে কিডনি হাসপাতালে এমন অনেককে পাওয়া যায়, যাঁরা মাসের পর মাস শিডিউলের অপেক্ষায় আছেন। তাদের বেশির ভাগই বছরের পর বছর বেসরকারিভাবে ডায়ালাইসিস করে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। অথচ কম খরচে দেশের দরিদ্র কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিস সুবিধা দিতে সাত বছর আগে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালে চালু হয় স্যানডোর ডায়ালাইসিস সার্ভিসেস। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) চুক্তির মাধ্যমে ২০১৫ সাল থেকে এই সুবিধা চালু রেখেছে সরকার। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, নিম্ন আয়ের মানুষদের সেই সুবিধার সিংহভাগই পাচ্ছেন উচ্চবিত্তের মানুষ ও মন্ত্রী-সাংসদদের সুপারিশপ্রাপ্তরা। ফলে বঞ্চিত হচ্ছেন হতদরিদ্ররা।
বিষয়টি স্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, কিছু হয়তো এমন হয়েছে, তবে সবগুলো নয়। এখনো মন্ত্রী ও সাংসদেরা সুপারিশ করেছেন, এমন আবেদন কয়েক শ অপেক্ষায় রয়েছে। সক্ষমতা নয়, শিডিউল দেখে এই সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জের ইসমাইল হোসেন (৪৪) দুই বছর ধরে কিডনি রোগে ভুগছেন। গত সেপ্টেম্বর থেকে ডায়ালাইসিস করাচ্ছেন। কিন্তু ডায়ালাইসিসের অর্থ জোগাড় করতে গিয়ে এখন নিঃস্ব হওয়ার পথে তিনি। পরিবার জানায়, চার মাস আগে শিডিউলের জন্য আবেদন করেছেন ইসমাইল। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া পাননি। ফলে ব্যক্তি উদ্যোগে ডায়ালাইসিস করাচ্ছেন। এতে প্রতি মাসে ডায়ালাইসিস, ইনজেকশন ও যাতায়াত মিলে অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা খরচ করতে হচ্ছে তাঁকে।
গতকাল শনিবার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালে স্যানডোর ডায়ালাইসিস কেন্দ্রে গিয়ে বেশ কয়েকজন রোগী ও স্বজনের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। এ সময় অন্তত দশজনকে পাওয়া যায়, যাঁরা মন্ত্রী থেকে শুরু করে সাংসদ ও সরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সুপারিশে ডায়ালাইসিস সুবিধা নিচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্যানডোর কয়েকজন টেকনিশিয়ান জানান, ‘আমাদের করার কিছুই নেই। হাসপাতাল থেকে যেভাবে দেওয়া হয় আমরা করে দেই। এখানে অধিকাংশই কারও না কারও তদবিরের মাধ্যমে এসেছেন। যাঁরা নিয়ম মেনে করেন কিন্তু তদবির নেই তাঁদের শিডিউল পেতে অন্তত ছয় মাস লেগে যায়। শিডিউল না পেয়ে স্বামীকে বাঁচাতে এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন তাঁর সন্তান বিক্রি করেছেন।’
বিষয়টি নিয়ে কথা হলে হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, চিকিৎসার জন্য সন্তান বিক্রি করতে হয়েছে—এমনটা মনে হয় ঠিক না। এর পেছনে অন্য কারণ থাকতে পারে। তদবিরের মাধ্যমে সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘একেবারে জরুরি ছাড়া তেমন দেওয়া হয় না। কোনো মন্ত্রী যখন ফোন করে বলেন, তখন আর করার কিছু থাকে না। যিনি আবেদন করেন, তাঁর ব্যক্তিগত সক্ষমতা আছে কি নেই, সেটা আমরা দেখি না। শিডিউল অনুযায়ী দিয়ে থাকি। এর মধ্যে দু-একটি থাকতে পারে। এখনো আমার হাতে অন্তত ৪০০ আবেদন আছে, যেগুলোতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন মন্ত্রী ও সরকারি কর্মকর্তাদের সুপারিশ করা। কিন্তু আমার এখানে সেই পরিমাণ শয্যা ও সুবিধা নেই, তাই দিতে পারছি না।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারি হাসপাতালেই ডায়ালাইসিস ও আনুষঙ্গিক ব্যয় অন্তত ১০ হাজার টাকা। হাসপাতাল ভেদে এই ব্যয় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত। বেসরকারি কেন্দ্রগুলোয় খরচ আরও কয়েক গুণ। অন্যদিকে কিডনি হাসপাতালের স্যানডোরে এই সেবা পাওয়া যায় ৫১০ টাকাতেই। তবে শিডিউলের বাইরে প্রায় তিন হাজার টাকা খরচ হয় এখানে।
বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ডায়ালাইসিস প্রয়োজন এমন কিডনি রোগী এই মুহূর্তে ৬০ হাজারের মতো। কিন্তু ডায়ালাইসিস নিতে পারছে মাত্র এক-চতুর্থাংশ। অন্যদিকে দেশের সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মাত্র ১০০টির মতো ডায়ালাইসিস সেন্টার রয়েছে।
কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ নেফ্রোলজিস্ট নাসির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, দু-একটি ছাড়া বেশির ভাগ বেসরকারি হাসপাতাল এখনো বাণিজ্যকে প্রাধান্য দিচ্ছে। ফলে দরিদ্র অনেক কিডনি রোগী ডায়ালাইসিস নিতে গিয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন। এজন্য বিভাগীয় মেডিকেল কলেজের পাশাপাশি প্রতিটি সদর হাসপাতালে কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টার চালু করতে যাচ্ছে সরকার। এটি হলে সব রোগীই সেবার আওতায় আসবে।
মাদারীপুরের ভ্যানচালক ইমারাত হোসেনের (৪২) কিডনির সমস্যা দেখা দেয় গত বছরের মার্চে। ডায়ালাইসিস করার মতো আর্থিক সক্ষমতা নেই তাঁর। পরিচিত একজনের মাধ্যমে ইমারাতকে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালে (নিকডু) ভর্তি করেন তাঁর স্ত্রী হাওয়া বেগম। এই হাসপাতালে কম খরচে ডায়ালাইসিস সুবিধা দেয় ভারতীয় প্রতিষ্ঠান স্যানডোর ডায়ালাইসিস সার্ভিসেস। কিন্তু পাঁচ মাসেও শিডিউল না পাওয়ায় স্যানডোরেই ব্যক্তি উদ্যোগে চিকিৎসা করান। তিন মাস যেতেই কুলিয়ে উঠতে না পেরে স্বামীকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন হাওয়া বেগম। পরে স্বামীকে বাঁচাতে আবারও চিকিৎসা শুরু করেন। কিন্তু অর্থের সংস্থান করতে না পেরে শেষমেশ সদ্য জন্ম নেওয়া পাঁচ দিনের শিশুকে বিক্রি করতে বাধ্য হন এই নারী। ইমারাত এখন রাজধানীর আদ্-দীন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
হাওয়া বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিডিউল পাওয়ার জন্য দরজায় দরজায় ঘুরছি, কিন্তু পাইনি। আমার মতো অনেকেই আছে। গত সেপ্টেম্বরে মোহাম্মদপুর নারী ও শিশু হাসপাতালে সন্তান জন্ম দিই। স্বামীকে বাঁচাতে পাঁচ দিন পর ১ লাখ টাকায় একজনের কাছে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হই বাচ্চাটারে।’ আক্ষেপ করে হাওয়া বেগম বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রী নাই, কেউ নাই, তাই চিকিৎসাও নাই।’
শুধু ইমারাত নন, গত কয়েক দিন ঘুরে কিডনি হাসপাতালে এমন অনেককে পাওয়া যায়, যাঁরা মাসের পর মাস শিডিউলের অপেক্ষায় আছেন। তাদের বেশির ভাগই বছরের পর বছর বেসরকারিভাবে ডায়ালাইসিস করে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। অথচ কম খরচে দেশের দরিদ্র কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিস সুবিধা দিতে সাত বছর আগে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালে চালু হয় স্যানডোর ডায়ালাইসিস সার্ভিসেস। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) চুক্তির মাধ্যমে ২০১৫ সাল থেকে এই সুবিধা চালু রেখেছে সরকার। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, নিম্ন আয়ের মানুষদের সেই সুবিধার সিংহভাগই পাচ্ছেন উচ্চবিত্তের মানুষ ও মন্ত্রী-সাংসদদের সুপারিশপ্রাপ্তরা। ফলে বঞ্চিত হচ্ছেন হতদরিদ্ররা।
বিষয়টি স্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, কিছু হয়তো এমন হয়েছে, তবে সবগুলো নয়। এখনো মন্ত্রী ও সাংসদেরা সুপারিশ করেছেন, এমন আবেদন কয়েক শ অপেক্ষায় রয়েছে। সক্ষমতা নয়, শিডিউল দেখে এই সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জের ইসমাইল হোসেন (৪৪) দুই বছর ধরে কিডনি রোগে ভুগছেন। গত সেপ্টেম্বর থেকে ডায়ালাইসিস করাচ্ছেন। কিন্তু ডায়ালাইসিসের অর্থ জোগাড় করতে গিয়ে এখন নিঃস্ব হওয়ার পথে তিনি। পরিবার জানায়, চার মাস আগে শিডিউলের জন্য আবেদন করেছেন ইসমাইল। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া পাননি। ফলে ব্যক্তি উদ্যোগে ডায়ালাইসিস করাচ্ছেন। এতে প্রতি মাসে ডায়ালাইসিস, ইনজেকশন ও যাতায়াত মিলে অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা খরচ করতে হচ্ছে তাঁকে।
গতকাল শনিবার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালে স্যানডোর ডায়ালাইসিস কেন্দ্রে গিয়ে বেশ কয়েকজন রোগী ও স্বজনের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। এ সময় অন্তত দশজনকে পাওয়া যায়, যাঁরা মন্ত্রী থেকে শুরু করে সাংসদ ও সরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সুপারিশে ডায়ালাইসিস সুবিধা নিচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্যানডোর কয়েকজন টেকনিশিয়ান জানান, ‘আমাদের করার কিছুই নেই। হাসপাতাল থেকে যেভাবে দেওয়া হয় আমরা করে দেই। এখানে অধিকাংশই কারও না কারও তদবিরের মাধ্যমে এসেছেন। যাঁরা নিয়ম মেনে করেন কিন্তু তদবির নেই তাঁদের শিডিউল পেতে অন্তত ছয় মাস লেগে যায়। শিডিউল না পেয়ে স্বামীকে বাঁচাতে এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন তাঁর সন্তান বিক্রি করেছেন।’
বিষয়টি নিয়ে কথা হলে হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, চিকিৎসার জন্য সন্তান বিক্রি করতে হয়েছে—এমনটা মনে হয় ঠিক না। এর পেছনে অন্য কারণ থাকতে পারে। তদবিরের মাধ্যমে সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘একেবারে জরুরি ছাড়া তেমন দেওয়া হয় না। কোনো মন্ত্রী যখন ফোন করে বলেন, তখন আর করার কিছু থাকে না। যিনি আবেদন করেন, তাঁর ব্যক্তিগত সক্ষমতা আছে কি নেই, সেটা আমরা দেখি না। শিডিউল অনুযায়ী দিয়ে থাকি। এর মধ্যে দু-একটি থাকতে পারে। এখনো আমার হাতে অন্তত ৪০০ আবেদন আছে, যেগুলোতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন মন্ত্রী ও সরকারি কর্মকর্তাদের সুপারিশ করা। কিন্তু আমার এখানে সেই পরিমাণ শয্যা ও সুবিধা নেই, তাই দিতে পারছি না।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারি হাসপাতালেই ডায়ালাইসিস ও আনুষঙ্গিক ব্যয় অন্তত ১০ হাজার টাকা। হাসপাতাল ভেদে এই ব্যয় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত। বেসরকারি কেন্দ্রগুলোয় খরচ আরও কয়েক গুণ। অন্যদিকে কিডনি হাসপাতালের স্যানডোরে এই সেবা পাওয়া যায় ৫১০ টাকাতেই। তবে শিডিউলের বাইরে প্রায় তিন হাজার টাকা খরচ হয় এখানে।
বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ডায়ালাইসিস প্রয়োজন এমন কিডনি রোগী এই মুহূর্তে ৬০ হাজারের মতো। কিন্তু ডায়ালাইসিস নিতে পারছে মাত্র এক-চতুর্থাংশ। অন্যদিকে দেশের সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মাত্র ১০০টির মতো ডায়ালাইসিস সেন্টার রয়েছে।
কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ নেফ্রোলজিস্ট নাসির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, দু-একটি ছাড়া বেশির ভাগ বেসরকারি হাসপাতাল এখনো বাণিজ্যকে প্রাধান্য দিচ্ছে। ফলে দরিদ্র অনেক কিডনি রোগী ডায়ালাইসিস নিতে গিয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন। এজন্য বিভাগীয় মেডিকেল কলেজের পাশাপাশি প্রতিটি সদর হাসপাতালে কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টার চালু করতে যাচ্ছে সরকার। এটি হলে সব রোগীই সেবার আওতায় আসবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে