ঝালকাঠিতে সড়ক দুর্ঘটনা: উঁচু সেতুর ঢালে বেড়ে যায় গতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল ও ঝালকাঠি সংবাদদাতা
Thumbnail image

দেশের সবচেয়ে উঁচু ঝালকাঠির গাবখান সেতুর টোলঘরে গত বুধবার ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশা ও প্রাইভেট কারের ১৪ যাত্রী নিহত হন। স্থানীয়দের দাবি, সেতু থেকে টোলঘরের দূরত্ব কম হওয়ায় ভয়াবহ সেই দুর্ঘটনা এবং এত প্রাণহানি। তাঁদের ভাষ্য, সেতু থেকে টোলঘর পর্যন্ত অ্যাপ্রোচ সড়ক খুবই ঢালু। ভারী যানবাহন নামার সময় টোলঘর পর্যন্ত গতি নিয়ন্ত্রণে না থেকে বেড়ে যায়।

এদিকে ঘাতক ট্রাকচালক আল আমিন হাওলাদার ও তাঁর সহকারী নাজমুল শেখের বিরুদ্ধে গতকাল মামলা হয়েছে। প্রাইভেট কারের নিহত চালকের ভাই হাদিউর রহমান গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সদর থানায় মামলাটি করেন।

ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, বিকেলে চালক ও তাঁর সহকারীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গাবখান এলাকার বাসিন্দারা জানান, গাবখান সেতুর উচ্চতা বেশি হওয়ায় সেতু থেকে টোলঘর পর্যন্ত অ্যাপ্রোচ সড়ক ঢালু বেশি। ভারী যানবাহন নামার সময় গতি বেড়ে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ করা কষ্টকর।

ঝালকাঠি সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহরিয়ার শরীফ খান বলেন, ‘গাবখান সেতু উদ্বোধনের পর গত ২৩ বছরে এমন দুর্ঘটনা এই প্রথম। তারপরেও টোলঘরটি কিছুটা দূরত্বে সরিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।’ 

শেষ দুই বোনের পরিবার
এদিকে ঈদের ছুটিতে বাবার বাড়ি বেড়াতে এসে শেষ হয়ে গেল রাজাপুরের সাংগর গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুল বারেক মৃধার দুই মেয়ের পরিবার। দুর্ঘটনায় বড় মেয়ে নাহিদা আক্তার, তাঁর স্বামী হাসিবুর রহমান, তাঁদের চার বছরের মেয়ে তাকিয়া ও এক বছর বয়সী ছেলে তাহমিদ; নাহিদার ছোট বোন রিপা আক্তার ও তাঁর স্বামী আল-ইমরান নিহত হন।

গতকাল ইমরান ছাড়া বাকিদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বিমানবাহিনীতে কর্মরত ইমরানের মরদেহ ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত